DIY-(এসো নিজে করি)//গ্লিটার ফোম সিট দিয়ে সুন্দর একটি ডেকোরেশন ফুল তৈরি ।।
আমার প্রাণ প্রিয় বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা এবং বিশ্বাস করি আপনারা সবাই আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো ও সুস্থ আছি ।আমি @mahfuzur888, বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে আপনাদের সাথে আছি ।
আমার বাংলা ব্লগের প্রাণপ্রিয় বন্ধুরা, প্রতিদিনের মতো আজকে নতুন আরো একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের সবার মাঝে। আজকের এই পোস্টটিও হচ্ছে একটি ডাই পোস্ট। যা তৈরি করেছিলাম গ্লিটার ফোম সিট দিয়ে। আজকে অফিস শেষ করে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সেখানে অনুষ্ঠান শেষ করে বাসায় আসতে আসতে রাত নয়টা বেজে গিয়েছিল। তারপর ৯:১৫ তে আমি হ্যাংআউটে যুক্ত হয়ে হ্যাংআউট শুনছিলাম। এবং গ্লিটার ফোম সিট দিয়ে এই সুন্দর ফুলটি তৈরি করছিলাম। হ্যাংআউট শুনতে শুনতে আমার ফুলটিও তৈরি হয়ে গিয়েছিল। তারপর ফ্রেশ হয়ে রাতের খাবার খেয়ে পোস্টটি লিখতে থাকলাম। তবে এই ফুলটি তৈরি করার পরে কেন যেন মনে হল গ্লিটার ফোম সিটটা একটু উজ্জ্বল হলে ভালো হতো। তারপরেও ফুলটি তৈরি করার পরে আমার কাছে ভালোই লেগেছিল আমি আশা করি আপনাদের কাছেও অনেক ভালো লাগবে। তো বন্ধুরা আর কথা না বাড়িয়ে চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক কিভাবে আমি গ্লিটার ফোম সিট দিয়ে আজকের এই সুন্দর ডেকোরেশন ফুলটি তৈরি করেছিলাম।
আমি গ্লিটার ফোম সিট দিয়ে কিভাবে সুন্দর একটি ডেকোরেশন ফুল তৈরি করেছিলাম তা ধাপে ধাপে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম।
১। গ্লিটার ফোম সিট।
২। কেচিঁ।
৩। স্কেল।
৪। গ্লু গান ।
৫। সাদা পুঁথি।
প্রথমে আমি একটি এ ফোর সাইজের গ্লিটার ফোম সিট থেকে ৪ সেন্টিমিটার বাই ৪ সেন্টিমিটার টোটাল ৮ টুকরো গ্লিটার ফোম সিট কেটে নিলাম। এবং একটি কেচিঁর সাহায্যে এক কোণা থেকে আরেক কোণা কেটে টোটাল ১৬ টুকরা করে নিলাম। যেমনটি আপনারা দেখতে পারছেন।
এবার আটটি টুকরো আলাদা করে লম্বা কোনাকুনি ভাঁজ করে নিয়ে অতিরিক্ত কোনাটি কেটে নিলাম। তারপর অবশিষ্ট অংশের ঠিক মাঝখান দিয়ে সমভাগে কেটে নিলাম যেমনটি আপনারা দেখতে পারছেন। এইখানে আপনাদের বোঝানোর জন্য শুধুমাত্র একটি গ্লিটার ফোম সিটের টুকরো দেখানো হয়েছে।
এবার বাকি ৮ টি টুকরো ঠিক মাঝখান দিয়ে ভাঁজ করে কেচিঁ দিয়ে কেটে চারটি ভাগে ভাগ করে শেষের অংশকে কেটে ফেলে দিলাম । ঠিক যেমনটি আপনারা দেখতে পারছেন।
এবার ফুলের পাপড়ি তৈরি করার জন্য প্রথমে কেটে রাখা ছোট অংশটির চওড়া পাশ গ্লু গান দিয়ে গাম লাগিয়ে জোড়া লাগিয়ে দিলাম। যেমনটি আপনারা দেখতে পারছেন ।
এবার ছোট পাপড়িগুলোর দুই সাইডে বড় পাপড়ির দুটি মাথা গ্লু গানের সাহায্যে লাগিয়ে দিলাম। যেমনটি আপনারা দেখতে পারছেন।
এবার বাকি আটটি টুকরো প্রত্যেক টুকরোর তিনটি মাথা একসাথে জোড়া লাগিয়ে দিলাম। এবং প্রথম দুটি অংশ উপর দিক থেকে নিজ দিকে নিয়ে এসে গ্লু গানের সাহায্যে বডিতে লাগিয়ে দিলাম। যেমনটি আপনারা দেখতে পারছেন।
এবার প্রথম আটটি পাপড়ির, প্রত্যেকটা পাপড়ি গ্লু গানের সাহায্যে একটি সাথে আরেকটি লাগিয়ে দিলাম। যেমনটি আপনারা দেখতে পারছেন।
এবার পরের আটটি পাপড়ি প্রথম আটটি পাপড়ির গ্যাপে গ্যাপে গ্লু গানের সাহায্যে লাগিয়ে দিলাম যেমনটি আপনারা দেখতে পারছেন।
সর্বশেষ ধাপে এসে তিন সেন্টিমিটার ব্যাসার্ধের আরো এক টুকরো গ্লিটার ফোম সিট কেটে আয়রনের তাপ দিয়ে গোলাকার করে ফুলের উপরে লাগিয়ে দিলাম। এবং ফুলটির সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য কিছু সাদা পুঁথি ফুলের উপর দিয়ে লাগিয়ে দিলাম। আর এরই মাধ্যমে ডেকোরেশন ফুলটি তৈরীর শেষের ধাপে এসে পৌঁছাইলাম।
অবশেষে এই মধ্যরাতে গ্লিটার ফোম সিট দিয়ে তৈরি এই ডেকোরেশন ফুলটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে। আমি আশা করি এই ডেকোরেশন ফুলটি দেখার পরে আপনাদের কাছেও অনেক ভালো লাগবে। তো বন্ধুরা আজকে তাহলে এ পর্য্যন্ত্যই পরবর্তীতে আবারো যে কোন একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সাথে দেখা হবে। সে পর্য্যন্ত্য পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ডাই পোস্ট । |
মডেল | এম ৬২ |
ক্যাপচার | @mahfuzur888 |
অবস্থান | রাজশাহী- বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃমাহফুজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের একজন সুনাগরিক। সর্বদাই নিজেকে দেশের মঙ্গল কামনায় ব্যস্ত রাখি। আমার জন্মভূমিকে আমি মায়ের মতো ভালোবাসি।আমি ভ্রমণ করতে খুবি ভালোবাসি।তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে আমার ভালো লাগে,আর রান্না করা আমার নেশা, এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। তাই আমি আমার সৃজনশীলতা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে চাই। এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়,ধন্যবাদ সবাইকে।🌹💖🌹।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.