ও.এফ.সি রেস্টুরেন্টে খাওয়ার অনুভূতি || শেষ পর্ব
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারও ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি ও. এফ. সি. ফাস্টফুড এন্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়ার অনুভূতি শেষ পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। এইতো সেদিন আমার অর্ধাঙ্গিনী ও ছেলেকে নিয়ে ও. এফ. সি. রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম। সেদিন অবশ্য আমার মেয়ে ছিল না, কেননা আমার মেয়ে তার নানির সাথে খালামনির বাসায় বেড়াতে গিয়েছিল। তাই মেয়েকে রেখে সেখানে আমরা গিয়েছিলাম ভারী খাবার খাওয়ার উদ্দেশ্যে। তবে প্রচন্ড গরমে আমি অস্থির হয়ে যাওয়ার কারণে আগে লাচ্ছি খেয়ে নিয়েছিলাম।
লাচ্ছি শুধু আমি একাই খেয়েছিলাম, আমার ছেলে ও আমার অর্ধাঙ্গিনী খায়নি। কারণ তারা দুজনে বাইরে থেকে আইসক্রিম খেয়েছিল। যার কারনে রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে ঠান্ডা আর কিছু খায়নি। যাইহোক সেদিন আমরা মেনু কার্ড দেখে অর্ডার করেছিলাম, ফ্রাইড রাইস, থাই চিকেন ফ্রাই, ভেজিটেবল, মাশালা চিকেন, সফট ড্রিংকস। আর এই খাবারগুলো কিন্তু সেট মেনু হিসেবে রয়েছে, যার মূল্য ৩০০ টাকা।
আমরা সেদিন রেস্টুরেন্টে গিয়ে অর্ডার দেয়ার অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট পর, আমাদের খাবারগুলো নিয়ে এসেছিল। আর এই ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে গিয়ে আমার অবশ্য একটু বিরক্ত লেগেছিল। যদিও বা চাইনিজ রেস্টুরেন্টে গেলে খাবার সার্ভ করতে অনেকটা সময় লাগে, এবং ধৈর্য ধরতে হয়, সে বিষয়ে বেশ অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে কেন জানি সেদিন আমার অপেক্ষার ৩০ মিনিট সময় পার হচ্ছিল না। আর তাইতো সেলফি জোনে গিয়ে, ছেলের সাথে একটি ছবি তুলে নিয়েছিলাম। যাক অপেক্ষার পালা শেষ হবার পর, অবশেষে আমাদের অর্ডার করা খাবারগুলো নিয়ে এসেছিল।
খাবারগুলো নিয়ে আসার পর আমি খুব ভয়ে ভয়ে সামান্য একটু মুখে দিয়ে টেস্ট করেছিলাম। কেননা শুধু দেখতে সুন্দর হলেই হয় না, খেতেও স্বাদের হতে হয়। আমার আবার খাবারের স্বাদ না পেলে মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে যায়। তাই আগে টেস্ট করে নিয়েছিলাম খাবারটা খেতে সত্যিই স্বাদ লাগবে কিনা। তবে হ্যাঁ খাবারগুলো খেয়ে আমি বেশ তৃপ্তি পেয়েছিলাম। খুব ভালো লেগেছিল ও. এফ. সি. রেস্টুরেন্টের খাবারগুলো খেয়ে। যে কোন রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার খেয়ে স্বাদ পেলে, আবার সেই রেস্টুরেন্টে যেতে ভীষণ ইচ্ছে করে। আর যদি খাবার খেয়ে এতটুকু স্বাদ না পাওয়া যায়, তাহলে সেখানে আর কখনোই যেতে ইচ্ছে করে না।
আমরা যখন খাবারগুলো খাওয়া শুরু করেছিলাম তখনই আমাদের সফট ড্রিংকসগুলো দিয়ে গিয়েছিল। আমার আবার খাবারের মাঝখানে মাঝখানে ড্রিংকস খেতে খুব ভালো লাগে। প্রচন্ড গরমে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত রেস্টুরেন্টে বসে খাবার খাওয়ার মজাই আলাদা। আর সে খাবার যদি হয় মুখরোচোক, ও তৃপ্তিদায়ক তাহলে খাওয়াটা বেশ জমে উঠে। আর তাইতো সেদিন ও. এফ. সির খাবারগুলো খেয়ে খুবই ভালো লেগেছিল।
যেহেতু আমি ও এফ সির খাবারগুলো খেয়ে তৃপ্তি পেয়েছি, সেহেতু আমি আবারো এই রেস্টুরেন্টে মুখরোচোক খাবার গুলো খেতে আসবো। হয়তো অন্য দিন অন্য কোন আইটেম চেখে দেখব। আমার আবার ভিন্ন ভিন্ন রেস্টুরেন্টের, ভিন্ন ভিন্ন খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। যাইহোক খাবারের বিল মিটিয়ে আমরা সেদিন চলে এসেছিলাম ও এফ সি রেস্টুরেন্ট থেকে। এই ছিল আমার ও. এফ.সি রেস্টুরেন্টের খাবার খাওয়ার অনুভূতি, যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নিলাম।
আশা করি আমার পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
X Promotion : https://twitter.com/mahbubullemon/status/1790408343485603854?t=nr3nxkVpOcrjNYdaO_G9oA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার ও এফ সি রেস্টুরেন্টের প্রথম পর্ব পড়েছিলাম, এখানে আপনি প্রচন্ড গরমের কারণে লাচ্ছি খেয়েছিলেন। কিন্তু আজকে দেখলাম আরো বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়েছেন। এক প্যাকেজে ৩০০ টাকার মধ্যে মোটামুটি ভালোই খাবার তারা পরিবেশন করেছে। আপনার অনুভূতি দারুন ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন ভাই ৩০০ টাকার প্যাকেজটি বেশ ভালই ছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার সুন্দর অনুভূতি আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। বেশ ভালো লাগলো জেনে আপনাদের এই সুন্দর অনুভূতি। মাঝেমধ্যে বাইরের পরিবেশে খাওয়া-দাওয়া করতে আমারও ভালো লাগে। যাইহোক অনেক কিছু জানতে পেরেছি আপনার এই পোস্ট থেকে।
আপু, আমার কাছেও ভিন্ন ভিন্ন রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবারের স্বাদ নিতে খুবই ভালো লাগে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনাদের রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করার শেষ পর্ব টা দেখে অনেক ভালো লাগলো। যদিও আগের পর্ব দেখিনি তবে পরের পর্বটা ভালোভাবে উপভোগ করার চেষ্টা করলাম। আপনাদের অর্ডার করা খাবার আসতে তো দেখছি অনেক বেশি সময় লেগে গিয়েছিল। আসলে খাবার আসতে বেশি দেরি হলে অনেক বেশি বোরিং লাগে। তবে আপনারা যেহেতু ফটোশুট করেছিলেন, তাই নিশ্চয়ই ভালো সময় কেটেছে। যাই হোক খাবার দেখেই তো বুঝতে পারতেছি অনেক লোভনীয় খাবার ছিল এবং খুব সুস্বাদু ছিল। নিশ্চয়ই অনেক বেশি মজা করে এবং তৃপ্তি সহকারে খাবারগুলো খেয়েছিলেন।
ঠিক বলেছেন আপু, খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে সত্যিই খুব বিরক্ত লাগে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
রেস্টুরেন্টে গিয়ে মাঝেমধ্যে খাওয়া দাওয়া করতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি তো মাঝেমধ্যেই বাহিরে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করে থাকি, কখনো সোনিয়াকে নিয়ে আবার কখনো পুরো ফ্যামিলি নিয়ে। আসলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে কোথাও গেলে একটু বেশি ভালো লাগে। আপনার মেয়ে বেড়াতে যাওয়ার কারণে যদিও ছিল না, কিন্তু আপনারা অন্য সদস্যরা গিয়েছিলেন দেখে ভালো লেগেছে। খাবারের মেনু তো দেখছি খুব ভালো ছিল, আর খাবারটাও মনে হচ্ছে সুস্বাদু ছিল।
ঠিক বলেছেন ভাই, খাবারের স্বাদটাও খুবই ভাল ছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।