গ্রামীণ হালচাল
বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষির সঙ্গে এদেশের মানুষের জীবন এবং জীবিকা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আর এ কৃষি কাঠামো নির্ভর করে গ্রামীন পরিবেশের উপর। গ্রামের উপর নির্ভর করে কৃষিখাত বিস্তৃতি লাভ করেছে। শহরে কাঠামোতে কৃষি খাতের পরিবর্তে গড়ে উঠেছে শিল্পখাত।
বাংলার গ্রামীণ পরিবেশ নিরিবিলি, পরিবেশবান্ধব এবং কোলাহলমুক্ত। গ্রামে সাধারণত যানবাহন খুব কম থাকে। যানবাহন না থাকায় গ্রামীণ রাস্তাঘাটগুলো তেমন একটা উন্নত কাঠামোতে গড়ে উঠে না এবং রাস্তাঘাট গুলোতে যানজট খুব কম থাকে। অর্থাৎ গ্রামীণ রাস্তাঘাটগুলো মাটির তৈরি কাঁচা হয়। আর গ্রামীণ লোকজনের জীবন ও জীবিকা কৃষি খাতের উপর ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকায় সেখানকার বেশিরভাগ লোকজন নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর হয়। গ্রামের লোকজন খুবই সাধারণ এবং সাদাসিধে জীবন অতিবাহিত করে। গ্রামে সাধারণত বণিক শ্রেণীর লোকের সংখ্যা খুবই কম। সেখানে লেখাপড়ার সুযোগ সুবিধা ও পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে না। শহরের মত অধিক পরিমাণে স্কুল,কলেজ এবং ভার্সিটি গ্রামে তেমন একটা দেখা যায়না। গ্রামের সচেতন ও অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের শিক্ষা-দীক্ষার জন্য শহরে পাঠায়,পর্যাপ্ত পরিমাণে সুযোগ-সুবিধা না থাকার জন্য। তবে লোকজনের মধ্যে আন্তরিকতা ব্যাপক পরিমাণে রয়েছে। একে অপরের সঙ্গে দেখা সাক্ষাত হলেই প্রত্যেককেই পরস্পরের খোঁজখবর নেয় এবং কুশল বিনিময় করেন। গ্রামের ঘরবাড়ি গুলো তেমন একটা উন্নত কাঠামোর হয় না। বেশিরভাগ ঘরবাড়ি মাটির কিংবা টিনের তৈরি হয়। তবে কিছুসংখ্যক ঘরবাড়ি ইটের তৈরিও হয়।
বর্তমানে গ্রামগুলোতে শহরে কাঠামো প্রবেশ করায় গ্রামের স্বকীয়তা দিন দিন নষ্ট হচ্ছে। যৌথ পরিবার গুলো ভেঙে গিয়ে একক পরিবার গড়ে উঠছে। একক পরিবারের জন্য অতিরিক্ত বাড়ি হওয়ার গড়ে ওঠায় আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে।
ভাই অনেক সুন্দর লিখেছেন
ধন্যবাদ আপনাকে উৎসাহিত করার জন্য।
প্রকৃতির গ্রাম্য পরিবেশ নিয়ে আপনি ভালোই লিখেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
আপনাকেও ধন্যবাদ দিদি।
বাংলাদেশ আগে প্রায় ৮০ শতাংশ জমি চাষাবাদ করা হতো কিন্তু এখন আস্তে আস্তে সেই শতাংশের পরিমাণ অনেক কম হয়ে যাচ্ছে যার কারণ আপনি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে জন্যবাদ।
গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।