আমার জীবনে চশমার অপরিহার্যতা
আজকে আমি যে বিষয়টি নিয়ে লিখবো,আমার লেখার টাইটেল দেখেই তা সহজেই আন্দাজ করা সম্ভব হচ্ছে। আমার জীবনের নিত্যদিনের সঙ্গী। আমি হয়তো একবেলা খাবার না খেলে বেঁচে থাকতে পারবো, কিন্তু চশমা ছাড়া বাইরে কোথাও যাওয়া সম্ভব হবে না। সুতরাং সহজেই উপলব্ধি করা যাচ্ছে যে, চশমা আমার জীবনে কত গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলছে।
পঞ্চম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়ার পর পরিবার সমেত পাড়ি জমালাম সেই চিরচেনা শহর বগুড়ার উদ্দেশ্যে। ষষ্ঠ শ্রেণীতে এসে ভর্তি হলাম শাহীন ক্যাডেট কোচিং এর বগুড়া শাখায়। কোন একটা ক্যাডেট কলেজে চান্স পাবার উদ্দেশ্যে শুরু করলাম ষষ্ঠ শ্রেণির ক্যাডেট কোচিং। ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়ে হোয়াইট বোর্ড স্পষ্ট দেখা সম্ভব হচ্ছিল না। এমনকি প্রথম বেঞ্চে বসার পরও স্যারের লেখা দেখা সম্ভব হচ্ছিল না। স্যারদের লেখা স্পষ্ট দেখতে না পারলেও বিষয়টি বাসায় জানায়নি। ফলে শ্রেণীতে শিক্ষকগণ যা বুঝাতেন, তার সবটুকু বোঝা সম্ভব হচ্ছিল না হোয়াইট বোর্ড স্পষ্ট না দেখার কারণে। ষষ্ঠ শ্রেণীর সম্পূর্ণ বর্ষ চশমা ছাড়াই কেটে গেল। সপ্তম শ্রেণীতে উঠে বিষয়টি বাসায় জানালাম। তখন চিকিৎসকদের নিকট যাওয়ার পর তারা চশমা ব্যবহারের পরামর্শ দিলেন। সেই সময় আমার চশমার পাওয়ার ছিল -১.৭৫। প্রতিবছর চশমার পাওয়ার ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকলো এবং চোখের সমস্যা বাড়তেই থাকল। চশমা ছাড়া দূরের কোনো কিছু দেখা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। ফলে চশমা আমার নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। চশমার পাওয়ার বাড়তে বাড়তে সেটা এখন ৬.৫০তে এসে দাঁড়িয়েছে।
চলাফেরা থেকে শুরু করে যাবতীয় সকল কাজকর্মে চশমা ছাড়া চলা প্রায় অসম্ভব। এজন্য নিজের ব্যবহার্য চশমার পাশাপাশি একটি বিকল্প চশমা রাখা হয়েছে। কারণ বিপদ বলে কয়ে আসে না। আমার চোখের সমস্যা যাতে ঠিক হয়ে যায়,তার জন্য আপনাদের কাছে দোয়াপ্রার্থী।
আপনার জীবনে চশমার অপরিহার্যতা রয়েছে। কারণ আপনার চশমার পাওয়ার অনেক বেশি। -৬.৫০ চশমার পাওয়ার মানে আপনি চশমা ছাড়া দূরের কিছুই দেখতে পারেন না। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার চশমার বিষয় শেয়ার করার জন্য।
আসলে যাদের চোখের বিভিন্ন সমস্যা থাকে তাদের জন্য চশমা ব্যবহার খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। আপনার সুস্থ জীবন কামনা করছি
যাদের চোখের সমস্যা তাদের জন্য চশমা শরীরের একটি অংশ হিসেবে কাজ করে।চশমা ব্যবহার করতে করতে আপনি আবার স্বাভাবিক দৃষ্টি ফিরে পেতে পারেন।ধন্যবাদ