ছোট ভাইয়ের জন্মদিন উদযাপন ||10% beneficiary for shy-fox||
মানুষের জীবনের বিশেষ কিছুদিন গুলোর মধ্যে একটি হলো জন্মদিন। জন্মদিনের এই দিনেই একজন মানুষের পৃথিবীতে আবির্ভাব ঘটে। নির্দিষ্ট একটি সালে পৃথিবীতে মানুষ জন্মগ্রহণ করলেও প্রতিবছরের এই দিনেই একজন তার নিজের জন্মদিন পালন করে থাকে।যেহেতু বছরের একটি নির্দিষ্ট দিনে শুধু জন্মদিন পালন করা হয়, সেহেতু এই দিনটি সবাই খুব সুন্দর ভাবে উদযাপন করতে চায়। অনেকেই আবার ধর্মীয় বিধি-নিষেধ থাকার কারণে খুব একটা জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে জন্মদিন পালন করে না। গতকাল আমার ছোট ভাইয়ের জন্মদিন ছিল। জন্মদিন উদযাপন রাতের বেলায় সম্পন্ন হওয়ার কারণে গতকাল এই বিষয় নিয়ে লিখতে পারিনি। আজকে আমি ছোট ভাইয়ের জন্মদিন উদযাপন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব।
ব্যক্তিগতভাবে জন্মদিন পালন করা নিয়ে এখন আমার খুব একটা মাথা ব্যাথা নেই। স্বাভাবিক দিন গুলোর মতই এই দিনটি কাটানোর চেষ্টা করি। ছোটবেলায় জন্মদিনের বিষয়টা বুঝতমই না। কারণ আমাদের বাড়ি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে। ওই সময় গ্রামের কেউই জন্মদিন পালনই করতো না। ফলে আমিও কখনো এ বিষয়টি তেমন একটা আমুলে নেইনি। তবে অষ্টম শ্রেণীতে ওঠার পর থেকে মোটামুটি ভাবে জন্মদিন উদযাপনের প্রতি ভালোই আগ্রহ ছিল। কারণ তখন আশেপাশের বন্ধু-বান্ধবদের অনেককেই জন্মদিন উদযাপন করতে দেখি। তখন এই দিনে শুধু ক্লাসের বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে চকলেট বিতরণ করতাম। পরবর্তীতে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জন্মদিন উদযাপনের প্রতি আগ্রহ কমে যেতে শুরু করেছে।
আমার ছোট ভাই এখন দশম শ্রেণীতে পড়ে।দশম শ্রেণীতে পড়লেও ওর মধ্যে এখনও বাচ্চামি স্বভাবটা রয়ে গেছে। সারাদিন বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানো, মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের গেমস খেলা এবং পড়াশোনায় ফাঁকি দেওয়া এ বিষয়গুলোই ওর মধ্যে প্রতিনিয়ত কাজ করে। আর বিশেষ কোন দিন আসলেই বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে পিকনিক খাওয়া, বক্সে গান বাজানো, পটকা ফুটানো এবং হৈ-হুল্লোড় করা ইত্যাদি তো আছেই। জন্মদিনের দিনটাও ওর কাছে বিশেষ দিনগুলোর মতোই। এইদিনেও ও একইভাবে সম্পন্ন করে। এবারের জন্মদিনে আমি নিজ থেকেই ওর জন্মদিনের কেক স্পনসর করলাম। বিষয়টি আগেই ওকে জানাইনি। ওর একজন বন্ধুকে শুধু বিষয়টি জানিয়েছি, যাতে ওরা আলাদাভাবে কেক না কেনে। এছাড়াও গতকাল বিশেষ একটি কারণে গ্রাম থেকে বগুড়া যাওয়া।আমাদের গোবিন্দগঞ্জে কেকের দোকান খুব একটা চেনা জানা নেই। ছোটবেলা থেকে বগুড়াতে বড় হয়েছি, এজন্য বগুড়া শহর মোটামুটি ভালোভাবেই চিনি। বগুড়া থেকেই মোটামুটি ক্রিম ছাড়া ভালো মানের একটি কেক কিনলাম। ক্রিম ওয়ালা কেক হলে ওরা বন্ধুরা মাখামাখি করতো। তাছাড়া ওরা দিনের বেলায় ডিম এবং আটা একত্রে মিশিয়ে একে অপরের গায়ে মাখিয়ে দিয়েছে। শীতের রাতে গোসল করাও খুব কষ্টসাধ্য। এসব কিছু মাথায় রেখেই আমি ক্রিম ছাড়া কেক কিনেছি। আমি হয়েছিলাম ৬-৭ জন বন্ধু থাকবে শুধু। এজন্য শুধু এক পাউন্ডের কেক কিনেছিলাম। পরবর্তীতে গিয়ে দেখি প্রায় ১২-১৫ জন উপস্থিত। এত লোকজন এর তুলনায় কেকটি ছোটই হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে অবশ্য এজন্য একটু খারাপই লেগেছিল। গতবার আমাদের বাড়িতে ছোট ভাইয়ের জন্মদিন পালন করার সময় ও এবং ওর বন্ধু বান্ধবীরা মিলে পুরো ঘর মাখামাখি করায় আম্মু এবার ওদের বাড়িতে জন্মদিন উদযাপন করার সুযোগ দেয়নি। গ্রামে গিয়ে রাতের বেলায় জন্মদিন উদযাপন করেছিলাম। সবাই মিলে আনন্দময় পরিবেশেই জন্মদিন উদযাপন সম্পন্ন হয়েছিল।
@mahamuddipu
Photography | @mahamuddipu |
---|---|
Device | VIVO Y19 |
Location | Link |
আপনি আপনার ছোট ভাইয়ের জন্মদিন খুবই সুন্দর ভাবে উদযাপন করেছেন।ছোট ভাই সবারই আদরের হয়।তবে জন্মদিনে উপস্থিত সদস্য সংখ্যার তুলনায় কেকটি অনেক ছোটই হয়েছে।আপনার ছোট ভাইয়ের জন্মদিন এর সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
ছোট ভাইয়ের জন্মদিনটা খুব ভালো ভাবেই উপভোগ করেছেন দেখছি। আসলে জন্মদিন মানেই অনেক মজার একটি বিষয়। সবমিলিয়ে খুব ভালো সময় পার করা যায়। ধন্যবাদ ছোট ভাইয়ের জন্মদিনটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনার ছোট ভাইয়ের জন্মদিনে আপনার ছোট ভাই এর জন্য অনেক শুভকামনা রইল। ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে এবং ছোট ভাইয়ের জন্মদিনে অসম্ভব সুন্দর সময় পার করেছেন।আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভাইয়া ❤️
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।