জীবন সিঁড়ি
ওঠো ওঠো
কিছু হয় নি
কোথাও লাগেনি
এই তো সব ঠিক আছে।
নাহ্!
এভাবে এখন আর কেউ বলে না।
যখন বলা হয়েছিল
তখন আমি শুনেছি, কেঁদেছি কিন্তু কিছু বুঝিনি।
প্রথম দাঁড়ানো,এক পা দু'পা করে সামনে বাড়ানো।তারপর খেলার মাঠে বন্ধু বান্ধব দুচার বার বলেছে,ওঠ,ওঠ,দৌড় দে---।
এরপর------
আর কেউ আর না।
নিজের পায়ে এবার দাঁড়ানোর চেষ্টা শুরু।নিচ থেকে উপর, আরো উপর, আরো উপরে।
ধাপে ধাপে, একটা একটা করে সিঁড়ি ভাঙ্গা।
এই তো জীবন শুরু।
এক পা,দু পা,ডান পা, বাম পা
কতবার যে দুটো পা এক সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে পড়েছে, তার হিসাব নেই।
শুধু কি দাঁড়িয়ে পড়া!
বসে পড়া,ভাবনাকে আশ্রয় করা,চিন্তায় ভেঙ্গে পড়া।
দু'চোখের জল বুক ভাসানো।
তারপর আবার দাঁড়ানো।
বাম পা টা সামনে দেওয়া
ডান পা টা টেনে তোলা।
জীবন সিঁড়ির একটু একটু করে উপরে ওঠা।
মাঝে মধ্যে অবকাশ এসে কানে কানে বলেছে,
কোথায় চলেছিস,গন্তব্য কোথায়, কি অপেক্ষা করছে,কার কাছে ছুটে চলা?
নিজের উত্তর নিজেকে দিয়ে
সান্ত্বনা আর আশায় বুক বেঁধে
ঐ একটু শান্তি আর স্বস্তির খোঁজে পথ চলা।
জীবন সিঁড়ি আমার---
একটু একটু করে উপরে ওঠা
নীল দিগন্তে সূর্য দেখা।
খুব সুন্দর কবিতা, জীবনমুখী
বাস্তববাদী লেখনী। দারুন।
খুব ভালো একটি কবিতা লিখেছেন। পড়ে আমার খুব ভালো লাগলো কবিতাটি।
জীবন এরকমই। আসলে জীবনের প্রতিটা পদক্ষেপ আমাদেরকে বহুভাবে শিখিয়ে দিয়ে যায়। আপনি জীবন সম্পর্কে যে কবিতা লিখেছেন সত্যিই,এটা অনেকটা বাস্তবধর্মী ।আমার ভালো লেগেছে।