০১ আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি।
বহুল প্রচলিত একটি কথা মানুষ কল্পনাতেই বেশি সুন্দর বা বেশি সুখী। আসলে বর্তমান সমাজের দিকে তাকিয়ে দেখলে এমনটি আপনি দেখতে পারবেন বাস্তবতাকে সামনে রেখে। মানুষ কল্পনা করতে বেশি ভালোবাসে সবসময়ই। সেটা হোক ঘুমের ঘোরে বা বাস্তবে। কল্পনায়ক কিন্তু আমরা এক ধরনের প্রশান্তি লাভ করে থাকি। সেটা পরবর্তীতে বাস্তবতায় রূপ নেবে কিনা সেটা পরের কথা। যেমন একজন ছাত্র ছোটবেলা থেকেই তার এমবিশন থাকে সে বড় হয়ে পাইলট হবে এবং আকাশে প্লেন উড়াবে। সে বড় হয়ে যেটাই হোক না কেন তাৎক্ষণিক সে কিন্তু মনে মনে অনেক খুশি থাকে। যদি সে একটি প্লেন বা বিমান উড়ে যেতে দেখে তাহলে কিন্তু সেখানে সে নিজেকে খুঁজে পায়। মানুষ খুব সহজেই কল্পনার জগতে হারিয়ে যায়। আর কল্পনা করতে বা কল্পনায় অনেক কিছু হয়ে যেতে কোন মানা নেই বা কারো কাছে কোন জবাব দেই নাই। এজন্য আমরা কল্পনাতে নিজেকে অনেক কিছু ভাবি বা অনেক জায়গায় বসিয়ে নিয়ে নিজের অবস্থান নিয়ে ভাবতে থাকি। আসলে কল্পনা এমন একটা জিনিস যা মানুষ করে বা যে রিলেটেড কাজগুলো দেখে সেই বিষয়ে কিন্তু মানুষ কল্পনা করে নিজেকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। যদিও বাস্তবতা অনেক কঠিন থেকে কঠিন। অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে মানুষের জীবন অতিবাহিত হয়।মানুষ যত কষ্টই থাকুক না কেন তবু কিন্তু স্বপ্ন দেখা কখনোই বাদ দেয় না। কেননা মানুষ বাঁচে তার স্বপ্নে। স্বপ্নহীন মানুষ কখনোই তার চলার পথ সহজ করতে পারেনা।
গতকালকে ঈদ পার হয়ে গেল অসহায় দরিদ্র মানুষগুলো কিন্তু ভেবেছিল যে ঈদের দিন অন্যের কাছ থেকে মাংস নিব এবং সেটা পেট পুরে খাব। এই ভাবনা কিন্তু একদিন দুদিন থেকে নয় যেদিন থেকে হয়তো জিলহজের চাঁদ দেখেছে সেদিন থেকেই মনে মনে অনেক মজা এবং কল্পনায় ভেসেতে নিজেকে। হয়তো দিনশেষে কাঙ্খিত ফলাফল পাইনি বা তার চেয়ে বেশি পেয়েছে। তবে পূর্বের যে মজাটা কল্পনাতে পেয়েছে বাসুক তা পেয়েছে সেটা কিন্তু খাওয়াতে এসে পাবে না। এজন্যই হয়তো বলা হয় যে মানুষ কল্পনাতে অনেক সুখী বা অনেক ভালো। অনেক মানুষ এভারেস্ট জয় করেছে। আবার অনেক মানুষ এটা নিয়ে অনেক পরিশ্রম করে যাচ্ছে তারও ইচ্ছা আমি একদিন এভারেস্ট জয় করে আমার দেশের পতাকা সেখানে উঠিয়ে ধরবো। এই কল্পনায় কিন্তু সে বিভোর হয়ে থাকে এবং তখনকার যে প্রশান্তি চায় সে কিন্তু মনে মনে অনেক আগে থেকেই উপভোগ করতে থাকে। হয়তো যখন সে এই কাজটা সম্পন্ন করতে পারবে তখন এর থেকেও সে বেশি খুশি থাকবে তবুও পূর্বে থেকে দিনে দিনে শেষ হতো সুখ পেয়েছে সেটা কিন্তু তাৎক্ষণিকের চেয়ে অনেক বেশি। কল্পনায় মানুষ চাঁদের দেশে ভ্রমণ করতে যায় তারা দেশে উড়ে বেড়ায় অথবা পাখির মত উড়তে ইচ্ছে করে। কল্পনাতে কখনো মানুষ নিজেকে রাজা ভাবে। নিজেকে সিংহাসনে বসিয়ে অনেক আনন্দ উপভোগ করে।
মানুষের জীবন বাঁচে কল্পনাতে বা ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে। ভবিষ্যতে আমি এটা করব ওটা করব এখন একটু কষ্ট করে ভবিষ্যতে গিয়ে সুখ পাব এটাও কিন্তু আমাদের কল্পনায় থাকে সবসময়। কল্পনাতে ভেসে আমরা অনেক পথ পাড়ি দিয়ে থাকি। যেমন ধরুন আমি মাঝে মাঝে টুরিস্ট ভিডিও দেখে থাকি। পৃথিবীর বিভিন্ন আশ্চর্যজনক জায়গা বা বিভিন্ন সৌন্দর্যমন্ডিত জায়গা গুলোর ভিডিও দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। তাৎক্ষণিক কিন্তু আমি মনে মনে ভাবি আমি যদি কখনো এই জায়গাটি ভ্রমণ করতে পারতাম নিজের চোখে দেখতাম তাহলে কতই না মজা হত। তাৎক্ষণিক কিন্তু এই দৃশ্য গুলো দেখে দেখে আমি অন্যরকম একটি অনুভূতি মনের মধ্যে তৈরি করে ফেলে। আবার মাঝে মাঝে রাতে যখন ঘুমায় তখন কিন্তু আমি কল্পনাতে ভেসে চলে যাই ঠিক সেই জায়গাতে যেখানে আমি ভিডিওতে দেখেছি।। এটাও কিন্তু এক ধরনের মজা বা আনন্দ দিয়ে থাকে আমাদের। হয়তো কোনদিন যেতে পারবো কি পারবো না সেটা পরের কথা। কিন্তু কল্পনাতে আমি যে মজাটা পেয়েছি এটা কিন্তু অনেক বেশি পাওয়া। আলাদিনের জাদুর প্রদীপ এর গল্প তো আমরা সবাই শুনে আসছি ছোটবেলা থেকে। এমন কোন ব্যক্তি হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না যারা আমরা ছোটবেলায় ভাবিনি যে আলাদিনের চেরাগ ফেলে আমরা কি কি করব। কত কল্পনা মনে মনে করেছি আলাদিনের প্রদীপ পেলে আমি এটা করব ওটা করব। আবার কখনো মিনার কার্টুনের সাথে কিন্তু মিলিয়ে পরিকল্পনা করেছি যে ও যেটা করছে প্রদীপ পেলে জিন দিয়ে আমিও ঠিক সেটাই করাবো। যদিও এটা কাল্পনিক ঘটনার তবুও কিন্তু আমরা কল্পনার জগতে এসেছি অনেকবার।
একজন রিকশাচালক যখন পথ দিয়ে তার রিক্সাটি চালিয়ে নিয়ে যায় তার পাশ দিয়ে কিন্তু অনেক প্রাইভেট কার চলে যায়। এমনও গল্প শুনেছি যে রিকশাচালক মনে মনে ভেবেছে ইস আমার যদি এমন একটা গাড়ি হতো কখনো। তাহলে আমি পুরো শহর ঘুরে ঘুরে দেখতাম এই গাড়িতে বসে। সে যদিও রিক্সার উপরে বসে আছে তবুও কিন্তু সে প্রাইভেট কারে বসে থাকার ফিল অনুভব করতে পারছে। আর এটা যে শুধু কল্পনাতেই সম্ভব কল্পনাতে মজা বা আনন্দ পাওয়া যায়। বাস্তবতা তো অনেক কঠিন সেটা কখনো সম্ভব হবে কিনা পরের কথা কিন্তু তাৎক্ষণিক সেজে অনুভূতিটা পাচ্ছে এটা কিন্তু কোটি টাকার চেয়েও দামি। যেমন ধরুন আমাদের ধর্মীয় দুইটি বড় উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। এই খুশির দিন আসার ১মাস থেকে ২০ দিন পূর্বে কিন্তু আমরা মনে মনে অনেক আনন্দ অনুভব করে থাকি। ঈদের দিন কিন্তু একটাই পরবর্তীতে আবার এক বছর পরে ফেরত পাব। কিন্তু ঈদের দিন আসার পূর্বে যে দিনগুলো থাকে ওই দিনগুলোতে কিন্তু আমরা কল্পনায় কত মজা করে থাকি। ঈদ সামনে আসছে ঈদের দিন এটা করব সেটা করব নতুন কাপড় পরবো মজার মজার খাবার খাব সবার সাথে দেখা করব আরো কত কি। এই কল্পনাটা যখন মনের ভেতর আসে তখন কিন্তু আমাদের মাঝে অন্যরকম এক ভালো লাগা কাজ করে থাকে। আমার কাছে ও পুরোপুরিভাবে এটাই মনে হয় যে আমরা মানুষ হিসেবে কল্পনার জগতে সবথেকে বেশি সুন্দর এবং সুখী মানুষ। বাস্তবতার সাথে তাল মিলিয়ে যদিও বর্তমান সময়ে চলাচল করা খুব কঠিন কিন্তু স্বপ্নের মাঝে তো এই বাস্তবতাটা কাজ করে না। স্বপ্ন তো স্বপ্নের মতই হয় । যেখানে বাস্তবতার কোনো ছোঁয়া নেই। আপনি যেটা ইচ্ছা সেটা ভাবতে পারবেন যেটা ইচ্ছা সেটা করতে পারবেন। এটাই হচ্ছে স্বপ্নের স্বাধীনতা। যাই হোক আমি চেষ্টা করেছি আমার ছোট্ট চিন্তায় কল্পনা থেকে কিছু কথা লেখার জন্য আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো।
আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো ভাই, আপনি খুব সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখেছেন। আপনি ঠিক বলেছেন মানুষ কল্পনাতেই বেশি সুন্দর। কেননা মানুষ বাঁচে তার স্বপ্নে। স্বপ্নের মাঝে নানা কল্পনা থেকে কিছু পাওয়ার আগ্রহ নিয়ে থাকেন। মানুষ যত কষ্টই থাকুক না কেন তবু কিন্তু স্বপ্ন দেখা কখনোই বাদ দেয় না। কেননা স্বপ্নের মাধ্যমে লক্ষণ নির্ধারণ করা হয়। যাইহোক চমৎকার একটি পোস্ট উপহার দেওয়া জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অবশ্যই কল্পনাতে বেশি সুন্দর মানুষ।
পোস্টটি করে আপনার কাছে ভালো লেগেছে।
এটা ঠিক যে, মানুষ কল্পনার জগতেই বেশি সুন্দর থাকে । তাছাড়া, কল্পনার জগতেই মানুষ বেশি সুখী। বাস্তবতায় মানুষের জীবনে দুঃখের ভাগটাই বেশি। তাই বাস্তবতা সামনে আসলে তার মুখে আর হাসি থাকে না। অন্যদিকে, কল্পনাতে যেমন খুশি তেমন ভাবা যায় আর এটার মাধ্যমে অনেক আনন্দও পাওয়া যায়। যাইহোক, এই টপিক্সের উপর আপনার এই বিস্তারিত লেখাগুলো পড়ে বেশ ভালো লাগলো আমার।
আসলে এরকমই মানুষের দুঃখের পাল্লা অনেক ভার কিন্তু কল্পনাতে সবাই অনেক সুন্দর।
লেখাগুলো আপনার কাছে ভাল লেগে থাকলে অনেক খুশি অনেক ধন্যবাদ।
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। আমরা বাস্তবে কিছু না করতে পারলেও কল্পনাকে গিয়ে একটু ভেবে কিছুটা আনন্দ তো পাই। এই কল্পনা জগতে গিয়ে মানুষ হাসিখুশি থাকলে কিন্তু অনেক সময় এতে মানুষের মানসিক শান্তি আসে। আপনার পোস্ট পড়ে আমার সবথেকে ভালো লাগলো রিক্সা চালকের কল্পনাটা। রিক্সা চালক রিক্সার ওপর বসেও যে প্রাইভেট কারের অনুভব করতে পারছে এটা কিন্তু তার জন্য অনেক বড় একটি আনন্দ। খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার পোস্ট ধন্যবাদ।
বাস্তবে যেগুলো সম্ভব হয় না মানুষ কিন্তু সেগুলো কল্পনাতে দেখে।
আর কল্পনাতে দেখতে তো কোন দোষ নেই।
ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।