ভ্রমণ 🚣‍♀️🛵পদ্মার জলে মেঘের রাজ্যের সৌন্দর্য উপভোগ।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

৩ শ্রাবণ , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

১৮জুলাই , ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
২৯জিলহজ ১৪৪৪ হিজরী
মঙ্গলবার।
বর্ষাকাল।


আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি


🚣‍♀️🛵

সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা ছায়ায় ঘেরা পাখি ডাকা আমাদের এই রূপবয়চিত্রময় বাংলাদেশ। হাজারো নদী ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে জালের মত। বর্ষাকালে আমরা তার আসল সৌন্দর্য উপভোগ করি। শুধু সৌন্দর্য বললে ভুল হবে নদীর ভয়াবহ তাও দেখেছি নিজ চোখে। গত কালকে নিউজে দেখলাম পদ্মার ভাঙ্গন ফরিদপুর অঞ্চলে খুব ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সুখ-দুখ ধুয়ে মিলে আমাদের জীবন। এজন্যই রবি ঠাকুর বলেছে মেঘ দেখে কেউ করিস নে ভয় আড়ালে তার সূর্য হাসে। তবে যাদের ভিটা মাটি আবাদি ফসলের জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে তাদের জন্য দোয়া রইল সৃষ্টিকর্তা যেন তাদের ধৈর্যশীল করে রাখেন। আসলে নদীর রূপটা এমন একুল ভেঙ্গে ওকুল গড়ে আবার ভাঙতে ভাঙতে একূলে চলে আসে। আমাদের কুষ্টিয়া অঞ্চল এক সময় খুব ভাঙ্গন হত এখন অবশ্য তেমন একটা না শিথিল। নদীর পার ঘেঁষে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র নৌকায় ঘোরার সুব্যবস্থা। বসেছে বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান।


🚣‍♀️

নদী গর্ভে ঘরবাড়ি ফসলী জমি বিলীন হয়ে যাওয়ার পরে যে মানুষগুলো নদীর পাড়ে মাথায় হাত রেখে কান্নাকাটি করতো। সেই মানুষের ভাগ্য এখন বদলে গেছে অন্যভাবে। জাল এবং নৌকার মাধ্যমে মাছ শিকার করে ভাগ্য পরিবর্তন করছে। আবার নদীর পাড়ে পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করে সেখানে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করছে। বিকেল এলে এখানে জমে হাজারো মানুষের সমাগম। নদীতে নৌকা নিয়ে ঘোরা। সেই সাথে নদীর পাড়ে বসে নদীর কলতান আর বাতাসে মনটা দুলিয়ে দিয়ে চায়ের কাপে চুমুক দেয়ারও রয়েছে সুপ্রিয় ব্যবস্থা।


🚣‍♀️

নদীর বিশালতা ঢেউয়ের কলতান শব্দ আর শনশন বাতাসে বিকেলের সময় টা নদীর পাড়ে বসে কাটাতে খুবই ভালো লাগে। আমি তো বাড়ি গেলে সময় পেলে কেউ না থাকলে একা হলেও ও বিকেলের সময়টা নদীর পাড়ে বসে কাটানোর চেষ্টা করি। নদীর পাড়ের সৌন্দর্য সবুজ ঘাস ফসলি জমি। ঘাসের উপর বসে বাদাম খাওয়া আর এক কাপ চা হাতে নিয়ে চায়ের কাপে চুমুক দেওয়ার যেন মজাটাই অন্যরকম। এরকম ফিলিংস এরকম মায়া মধুর্যপূর্ণ সময় হয়তো অন্য কোথাও অতিবাহিত হবে না। সব থেকে বেশি ভালো লাগে যখন পশ্চিমাকাশ রক্তিম আভায় আলোকিত হয়ে যায় সূর্য ডুবে যাবে ভাব এমন অবস্থা। আকাশ রক্তিম পানিতে তাকালে পানিটাও যেন মনে হয় রক্তিম। যেন মনে হয় পানির নিচে রয়েছে অন্য আরেকটি আকাশ যেখানে লেগেছে আগুন।


বর্ষাকালে আকাশের রং ঘন ঘন বদলায়। চোখের পলকে রূপ বদল দেখতে হলে ঘুরতে হবে ফাঁকা প্রান্তর। আজ আপনাদের সাথে যে ফটোগ্রাফি গুলো তুলে ধরেছি সবগুলো ফটোগ্রাফি আকাশকে কেন্দ্র করে করা। পদ্মার জলে টলমল করছে উপরের বিস্তীর্ণ আকাশ। দেখে মনে হবে যেন নদীগর্ভে রয়েছে অন্য আরেকটি পৃথিবী। একটু অ্যাঙ্গেলে ক্যামেরা ধরলে মনে হবে যেন অথৈ জলরাশি থেকে উঠে আসছে অন্য আরেকটি আকাশ। নীল আকাশের বুকে ভেসে বেড়ানো টুকরো টুকরো সাদা মেঘের ভেলা আবার কোথাও হাস্য উজ্জ্বল রোদ আবার কোথাও মেঘলা। নদীর জলে সব কিছুরই প্রতিচ্ছবি দেখা মিলে। আবার দূরে তাকালে দেখা যাবে নৌকা বেয়ে চলে যাচ্ছে মাঝি আর মুখে ভাটিয়ালি সুরে গান। আবার দেখা যাবে দূরে কোথা থেকে ভেসে আসছে বাদাম সালার নৌকা। জিরা কি আমরা বলি পালতোলা নৌকা। আসলে নদীর পাড়ে গেলে এর সৌন্দর্য দেখে মুখরিত হয়ে ওঠে বারবার। প্রকৃতিকে সৃষ্টিকর্তার সাজিয়েছেন আমাদের জন্য উপভোগ্য করে যার সৌন্দর্য দেখে প্রতিনিয়তই মুগ্ধ হয়ে যায়।


🚣‍♀️

নদীর পাড়ে যেমন মানুষের আনাগোনা তেমন রয়েছে খাবারের দোকান। বিকেল হলেই দোকানিরা তাদের আশ বাজপত্র এবং খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত করে রাখে পর্যটকদের জন্য। বিশেষ করে তেলেভাজা খাবার ঝালমুড়ি ফুচকা চটপটি উল্লেখযোগ্য। উপরের ফটোগ্রাফি তে ফুচকার ছবি দেখিয়েছি আপনাদের। ফুচকা খেতে আমারও ভালো লাগে তবে মাঝে মাঝে খাওয়া হয়। ভাবলাম নদীর পাড়ে বসে একটু সৌন্দর্য উপভোগ করি এবং খাবারটাও খেয়ে নেই। দেখতে দেখতে পোস্টের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। চেষ্টা করেছি ভ্রমণ কাহিনীটা ফটোগ্রাফির সাথে সুন্দর করে তুলে ধরে। মেঘের রাজ্য নীল আকাশের বুকে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ দূরে তাকালে মনে হবে আকাশ থেকে নেমেছে অথবা পানি থেকে উঠেছে এমন সুন্দর। দারুন উপভোগ করেছি সময়টা রেখে দিলাম স্মৃতির পাতায়।


লোকেশন:


ডিভাইসঃ Redmi Note 5



standard_Discord_Zip.gif

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Witness Banner 2.png


সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

ধন্যবাদ

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 2 years ago 

ফরিদপুরে পদ্মার পাড়ের নদী ভাঙ্গনের ভয়াবহতার কথা শুনে সত্যিই খারাপ লেগেছে। সেই অসহায় মানুষগুলোর কথা ভাবতেই খারাপ লাগছে। নদী ভাঙ্গরের ফলে অসহায় মানুষগুলো একেবারে নিঃস্ব হয়ে যায়। যাই হোক ভাইয়া আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু দারুণ হয়েছে। পদ্মার পাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন আপনি।

 2 years ago 

আসলে প্রকৃতির রূপ এমনই কখনো মানুষকে হাসায় কখনো কাঁদায়।
ধন্যবাদ ।

 2 years ago 

শিরোনামেই আপনি কথাগুলো অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে লিখেছেন। শব্দ চয়ন কথার ভাবভঙ্গি সব খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। তাছাড়া নদীর পারে দাঁড়িয়ে অসম্ভব সুন্দর প্রকৃতির ছবি তুলেছেন। আকাশ এবং পানি যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে। আর ফুচকা দেখে তো লোভ সামলাতে পারছি না কারণ আমি ফুচকা খেতে ভালোবাসি।

 2 years ago 

পদ্মা নদীর পাড়ের এমন সৌন্দর্য উপভোগ করতে আমার খুব ভালো লাগে তাই তো আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিলাম এই সুন্দর মুহূর্ত।

 2 years ago 

বেশ সুন্দর একটি বর্ণনা সহকারে আজ আপনি আপনার পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পদ্মা পাড়ের ভাঙ্গনের কথা অনেক শুনেছি। শুনেছি কি করে নদীর ভাঙ্গন মানুষগুলো কে নিঃস্ব করে দিয়েছে। বেশ খারাপ লেগেছে এসব অসহায় মানুষগুলোর জন্য। তবে আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে পদ্মার জলে মেঘের রাজ্যের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হলাম। সেই সাথে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে রইল প্রিয় ফুচকার দিকে। বেশ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি দেখলাম।

 2 years ago 

আসলে প্রকৃতি আমাদের যেভাবে না চাই আমরা সেভাবে নাচি কখনো সুখ দেয় কখনো বা দুঃখে ভরপুর ঠিক নদীর মতই জল গড়ে পড়ে চোখ দিয়ে।
সৌন্দর্যগুলো আপনার ভালো লেগে থাকে জেনে খুশি হলাম ধন্যবাদ।

 2 years ago 

বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ভাই। আসলে এমন পরিবেশে কিছুক্ষণ সময় উপভোগ করতে পারলে নিজের কাছে খুবই ভালো লাগতো। আপনার পদ্মার জলে মেঘের রাজ্যের সৌন্দর্য দেখে সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এমন পরিবেশে খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত বেশি দুর্দান্ত হয়ে থাকে ভাই। বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বেশি দুর্দান্ত। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

 2 years ago 

পদ্মার পাড়ার সৌন্দর্য দেখে আমিও প্রতিনিয়ত মুগ্ধ হই ।আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম ।ধন্যবাদ ভাইয়া।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.25
JST 0.034
BTC 95865.23
ETH 2807.98
SBD 0.67