ডিজিটাল ইলাস্ট্রেশন || নিজের হাতে করুন || নগরীতে সন্ধ্যা
হ্যালো, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজকে আমি আমার করা সর্বশেষ ডিজিটাল ইলাস্ট্রেশন শেয়ার করতে যাচ্ছি। ইলাস্ট্রেশন করতে বরাবরই আমার ভাল লাগে। শুরুর দিকে অনেক কাজ করেছি। তবে মাঝে অন্য কাজ শুরু করার জন্য এটা আর খুব একটা করা হয়নি। আজকে আবার খুব আঁকতে ইচ্ছা করল তাই আবার এটা নিয়ে বসা। পুরো ইলাস্ট্রশন করতে আমার ৪০ মিনিটের মত সময় লেগেছে।
ডিজিটাল ইলাস্ট্রেশন করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এতে পেপার, পেন্সিল, ইরেজার, স্কেল এইসব কিছুই লাগে না। তাই সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে বসার কিছু নেই। আবার অনেক সময় দেখা যায় রঙের ভান্ডার শেষ হয়ে যায়। কিন্তু ডিজিটালি করলে এসবের কোন ঝামেলা নেই, উপরন্তু অসহ্র রঙের সমাহার থাকে এখানে। তাই আমার মত একটু অলস আছেন যারা, কিন্তু আঁকতে ভালবাসেন তারা ইচ্ছা করলে ডিজিটাল ইলাস্ট্রেশন করে দেখতে পারেন।
আজকে আমি যে ইলাস্ট্রেশনটি শেয়ার করতে যাচ্ছি সেটার নাম দিয়েছি নগরীতে সন্ধ্যা ।
ইলাস্ট্রেশনটি তৈরি করতে আমি যা যা ব্যবহার করেছিঃ
- স্মার্ট ফোন
- আইবিস পেইন্ট এক্স
আইবিস পেইন্ট এক্স হল ডিজিটাল ইলাস্ট্রশন করার জন্য একটি মোবাইল এপ । গুগোল প্লে স্টোর থেকে এটি সহজেই ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এটার লোগো হলঃ
ইলাস্ট্রেশনের পুরো পদ্ধতি নিচে দেখানো হলঃ
১. প্রথমে এপটি ওপেন করে যে ধরনের পেইন্ট করবেন সেই অনুপাতে একটি আর্টবোর্ড ওপেন করে নিতে হবে। আমি ভারটিক্যালি ইলাস্ট্রেশন করব তাই সেই অনুপাতে আর্টবোর্ড নিয়েছি।
২. এরপর ব্রাশ ও কালার সিলেক্ট করে ব্যাকগ্রাউন্ড কালার করে নিয়েছি। কয়েকটা কালার চুজ করে পর পর পেইন্ট করেছি যাতে গ্র্যাডিয়েন্ট ইফেক্ট আসে।
৩. বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ড কালার ব্যবহার করায় কালার গুলোতে এজ তৈরি হয়েছে। এটাকে কমিয়ে স্মুথ লুক দিতে আমি স্মাজ টুল সিলেক্ট করে ব্লেন্ড করে নিয়েছি। এর ফলে এটি দেখতে মেঘযুক্ত আকাশের মত লাগছে।
৪. এখন ব্যাকগ্রাউন্ডের উপর আমি মূল পেইন্ট করব। এর জন্য আমি আগে একটি স্ট্রাকচার করে নিয়েছি। এটা একদম রাফ একটা স্ট্রাকচার । ইলাস্ট্রেশনের কোথায় কি বসবে সেটা ঠিক করার জন্য এভাবে এঁকেছি।
৫. এবার আমি আস্তে আস্তে ফাইনাল পেইন্টের দিকে যাব। আমি ইলাস্ট্রেশনের একটা একটা করে পার্ট শেষ করব। প্রথমে আমি পোলটা আকব। এর সব এন্টেনা গুলোতে খুব ডার্ক একটা কালার দিব কারণ এটা সন্ধ্যার সময়কে উপস্থাপন করবে।
৬. পোল, ঘরগুলো আর স্ট্রিট লাইটকে ডার্ক একটা ফিল কালার দিয়েছি। এর আগে সব গুলো কাজে আমি পেন্সিল বা ব্রাশ ব্যবহার করেছি। কিন্তু এই ক্ষেত্রে আমাকে ব্রাশ ব্যবহার করলে অনেক বেশি কাজ করতে হত। তাই আমি বাকেট পেইন্ট টুল দিয়ে খুব সহজেই কাজটা করে ফেলেছি।
৭. ফাইনালি স্ট্রিট ল্যাম্পে আলো দিয়েছি। বাকেট টুল দিয়ে ল্যাম্পের ভেতরে কালার করেছি। এরপর লো অপাসিটির একটি ব্রাশ দিয়ে লাইট এর ব্লার ইফেক্ট দিয়েছি।
৮. সবশেষে আকাশে ছোটবড় কিছু তারা ও একটি উজ্জ্বল চাঁদ দিয়েছি। পোল থেকে বের হওয়া বৈদ্যুতিক তার গুলোকেও ঠিকভাবে জুড়ে দিয়েছি।
আর সবশেষে আমার আজকের ডিজিটাল ইলাস্ট্রেশন তৈরি!
এটাই ছিল আমার আজকের পেইন্টিং । আশা করি সবার ভালো লেগেছে।
সবাইকে ধন্যবাদ
আপনার ডিজিটাল নগর সন্ধ্যা দৃশ্য খুব অসাধারণ হয়েছে। আপনি সময় ব্যয় করে দৃশ্যটির কাজ সম্পন্ন করেছেন। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার না করলে দেখতে পেতাম না।
ধন্যবাদ আপনাকে। আশা করি আমার আগামী কাজগুলোও আপনার ভাল লাগবে।
ডিজিটাল ইলাস্ট্রেশন নগরীতে সন্ধ্যা খুব সুন্দর করে তৈরি করেছেন।আপনি সৃজনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন আপনার পোস্টের মাধ্যমে। অভিনন্দন রইল
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।