এক্সপো মেলায় ঘোরাঘুরি (পর্ব ২)
নমস্কার বন্ধুরা,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা ভালো আছেন। ইশ্বরের কৃপায় আমি ভালো আছি।
শীত মানেই হরেক রকমের মেলা তবে সব মেলায় তো আর যাওয়ার তেমন সুযোগ পাওয়া যায়না। অনেক পরিকল্পনা করে তবেই কজন বন্ধু মিলে এক্সপো মেলায় যাওয়া সম্ভব হয়েছিলো আজ তার দ্বিতীয় পর্ব। আগের পর্বে আপনাদের সামনে ভাগ করে নিয়েছিলাম মেলায় থাকা রাইড গুলো নিয়ে। আজ হরেক রকমের স্টল গুলোর বৃত্তান্ত তুলে ধরবো।
আগের তুলনায় মেলার জৌলুস অনেকটাই কমে গিয়েছে তবুও ছুটির দিন ছিলো বলে মেলায় ভিড় ভালোই ছিল। ইন্টারনেটের যুগে যবে থেকে আমাজন আর ফ্লিপকার্ট এর মতন বড় বড় সংস্থা গুলি অনলাইনেই কেনাকাটার সুবিধা করে দিয়েছে তারপর থেকেই যেন মেলা গুলোতে ব্যবসা চোখে পড়ার মতো কমেছে। তেমনি কমেছে মেলায় ঘুরতে আসা মানুষজনের হার। মেলা নিয়ে মানুষজনের উন্মাদনা কিছুটা কমলেও এখনো যে শেষ হয়ে যায়নি সেটা সন্ধ্যে লাগতেই সেটা বোঝা গেলো। আমরা মেলায় ঢুকেছিলাম তখন গুটি গুটি পায়ে মানুষজন আসছিল বটে তবে মেলার মধ্যে গাদাগাদি চাপাচাপি করে ঘুরে বেড়ানোর আবহটা মোটেই ছিল না। কিন্তু রাত বাড়ার সাথে সাথে সেটার বদল হতে থাকলো, ভিড় বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকলো মানুষের কোলাহল।
রাত বাড়ার সাথে সাথে ধীরে ধীরে বাচ্চা হোক কিংবা বড় সব রাইডগুলোই ভর্তি হওয়া শুরু হলো। ১৫-২০ মিনিটের ব্যবধানে মেলার মধ্যে অনেক পরিবর্তন চলে এলো। যেটা আন্দাজ করেই আগে থেকে মেলায় একটু আগেভাগে খানিকটা ঘুরে নিয়েছিলাম।
মেলায় একটা দোকান পেলাম যেখানে ছিলো প্লাস্টিকের তৈরি ঘরের ঘর সাজানো জিনিসপত্র। যা দেখার পর আমি নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। ফুল হোক কিংবা ঘর সাজানোর জিনিসপত্র প্লাস্টিকের বানানো সবগুলোই আসলে এতটাই নিখুঁত ছিলো যে বোঝার উপায় নেই।
মেলা জুড়ে ছিলো মেয়েদের নানান প্রসাধনীর দোকান। কানের দুল থেকে টিপ সবকিছুই ছিলো সেখানে। যদিও আমরা যখন মেলায় ঘুরছিলাম তখন স্টল গুলোতে তুলনামূলক লোক কমই ছিল কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই দোকানগুলোর সামনে পা রাখার মতো আর জায়গা ছিল না। মেলায় সব ভিড় যেন এই দোকান গুলোতেই উপচে পড়ছিলো।
মেলায় বাড়ির জিনিসপত্রেরও দোকানের অভাব ছিল না। কাপ প্লেট, বাটি, থালা-বাসন থেকে শুরু করে জামা কাপড়েরও বেশ কিছু দোকান ছিলো। সে দোকানগুলো যদিও আমার কিছু কেনার ছিলো না তবুও কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম যদি বাড়ি গিয়ে কিছু পছন্দ হয় তাহলে আবার ফিরে আসবো আরকি। আসলে পছন্দ হলেই দাম দেখে নিরাশ লাগছিলো। কুড়ি টাকা দামের কাপগুলো মেলায় ৬০ টাকা দাম। তবে বেশ কিছু ভালো স্কার্ফ ছিল যেগুলো খুবই অল্প দামে পাওয়া যাচ্ছিলো। কিন্তু এ বছরে তো মাত্র দুদিন হল গলায় ঠান্ডা লাগার শীত পড়েছে তাই সেদিক থেকেও দূরে দূরেই থাকলাম।
আজকে এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে অন্য কোনো পর্বে। ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা আপনার মেলায় ঘুরাঘুরি দেখে আমার সেই মেলায় যেতে খুব ইচ্ছে করছে। সবসময় আমাদের এখানে মেলা হয় কিন্তু এই শীতের বাসার আশেপাশে কোথাও মেলা হয়নি। এক্সপো মেলায় অনেক জিনিস ওঠেছে আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারছি। সব মেলাতেই মেয়েদের জিনিস দেখা যায় বেশি। দাদা পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অপেক্ষা করুন শীতে সুযোগ আসবেই। আর সুযোগ পেলেই টুক করে চলে যাবেন।
এক্সপো মেলায় ঘোরাঘুরি (পর্ব ২) বাহ্ দারুন ঘুরা ঘুরি করেছেন দাদা। তবে প্রথম পর্ব মিস করেছি। সময় করে দেখে নিবো। শীতকালে বিভিন্ন ধরনের মেলা দেখা যায়। মেয়েদের জন্য তো বিভিন্ন ধরনের গহোনা দেখলাম। ঘরে সাজানো জিনিস গুলো দেখে ভালো লাগলো। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। দাদা আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
মেলা তো মেয়েদের জিনিসেই ভর্তি লিমন ভাই। আমাদের জন্য তো কিছুই নাই
রাতের বেলা মেলায় ঘুরাঘুরি করতে আসলে অনেক বেশি ভালো লাগে। আমাদের বাড়ির পাশে একটা ঐতিহ্যবাহী মেলা ছিল। যখন সেখানে বিকেল বেলায় ঘুরছিলাম তখন খুবই ভালো লাগতো। আর ফ্যামিলির সবাই মিলে যেতাম বলে চারিদিকে ঘুরে ঘুরে বেশ আনন্দই পেতাম। তবে দিন থেকে রাতের বেলায় সবচেয়ে বেশি জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে ওঠে। কারণ তখন যেন মানুষের ভিড় অনেক বেশি হয়ে যায়। দুঃখের বিষয় হলো সেই ঐতিহ্যবাহী মেলাটি অনেক বছর ধরেই হয় না, রাজনৈতিক কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
যখন মেলায় ভীড় থাকে তখনই কিন্তু ভালো লাগে।
এক্সপো মেলায় ঘোরাঘুরি (পর্ব ২) মেলায় ভালই তো ঘুরাঘুরি করলেন। আর মেলায় তো দেখা যাচ্ছে বেশ ভাল ভাল জিনিসও উঠিয়েছে।ঘর সাজানো জিনিস, প্লাস্টিক এর জিনিস, কসমেটিকস, শীতের কাপর আরও কত কি। হা হা হা মেলায় তো ২০ টাকার জিনিস ৬০ টাকাই হবে।
সবকিছুই বর্তমান। ছেলেদের কম মেয়েদের জিনিস বেশি। ২০ টাকার টা ২৫ টাকা হলে মানা যায়। তাবলে ডাবল।