কবিতা : ‘প্রমিথিউসের মশাল’ - ফ্যান্টম | আবৃত্তিতে : নির্মাল্য
নমস্কার বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ঈশ্বরের কৃপায় আপনারা সকলেই সুস্থ। আজ আপনাদের সামনে আরো একটি কবিতা আবৃত্তি নিয়ে হাজির হলাম। আসলে বর্ষপূর্তির বিশেষ হ্যাং আউটে আবৃত্তি পাঠ করার পর থেকেই আমার মনটা খুব উশখুশ করছিলো। আমার সেদিনের আবৃত্তি আপনাদের কেমন লেগেছিলো তা জানিনা! হয়তো ভালো কিংবা খারাপ, তবে আমার অনুভূতিটা ছিলো একদমই অনন্য। সেদিনের অনুভূতি গুলো ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। আসল কথা আমি নিজেই কখন কল্পনা করিনি যে কোনোদিন আবৃত্তি পাঠ করবো কিন্তু বর্ষপূর্তির মুহূর্তে নিজের চিরাচরিত বৃত্ত থেকে বেরিয়ে করেই ফেললাম। সেদিনের পর থেকেই আমার আবৃত্তি করার ইচ্ছেটা খুবই বাড়ছিলো তা থেকেই আমার আজকের পরিবেশন, প্রমিথিউসের মশাল।
প্রমিথিউসের মশাল কবিতাটি আমাদের সকলের প্রিয় Phantom দার দ্বারা রচিত। বর্ষপূর্তির রাতে দাদার এই কবিতাটিই আমি আবৃত্তি রূপে পাঠ করেছিলাম, আজ সেটাই একটু ভিন্ন রূপে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
ভীষণ অমানিশায় ঢেকে গিয়েছে আমাদের হৃদয়,
এ কালরাত্রির শেষ নেই, অনন্ত আঁধারে তাই ডুবছি আমরা।
নিকষ কালো এ আঁধার কাটাতে চাঁদ-সূর্য নয়,
একটি তারার আলোর আজ বড়ই প্রয়োজন।
একটি তারা একটু জ্বেলেই দেখো না,
দেখবে অজস্র তারা ফুটে উঠবে, তোমাকে আলোকিত হতে দেখে।
আকাশগঙ্গার ন্যায় কোটি কোটি তারকার ক্ষুদ্র আলোক বিন্দুতে,
উদ্ভাসিত হবে আমাদের অন্ধকারচ্ছন্ন হৃদয়।
দমবন্ধ এ অদ্ভুত আঁধারে একটি মাত্র অগ্নিশিখাই পারে,
প্রমিথিউসের মশালের ন্যায় অগ্নিবলয়ের প্রদীপ্ত সূচনা।
প্রমিথিউস, তোমায় আজ বড়ই প্রয়োজন,
ঘুণে ধরা, নাগপাশে বন্দী, আঁধার নরকের এ ভয়াবহ মৃত্যু শীতল,
প্রাগৈতিহাসিক সমাজে।
তুমিই পারো একমাত্র দূর করতে এই ভয়াবহ আঁধার,
তোমার হাতের মশাল জ্বেলে আমাদের লক্ষ হৃদয়ে
আজ আলোকের সূচনা করো।
জ্ঞানের আলোকের ঝর্ণাধারায় মুছে যাক সব অজ্ঞানতা,
সব কিছু ধ্বংস হোক, মানবতা বেঁচে থাকুক।
প্রমিথিউস, আরো একবার এসো, এ ধরায় অবতীর্ণ হও।
জ্ঞানের মশাল জ্বেলে আমাদের মুক্তির পথ দেখাও।
নিজের হৃদয় আবারো উৎসর্গ করো, হে প্রমিথিউস,
জিউসের ঈগল অনন্তকাল ধরে কুরে কুরে খাবে তোমার হৃদয়;
তারপরেও জানি তুমি প্রজ্বলিত করবে জ্ঞান-সত্যের মশাল।
অনেকেই জানেন না প্রমিথিউস হলেন গ্রীকদের আগুনের দেবতা। গ্রীকদের পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী প্রমিথিউস দেবতাদের আগুন চুরি করে মানুষের কাছে পৌঁছে দেন যা মানব সভ্যতার পত্তন করে, এখানে আগুন বলতে বিদ্যা, জ্ঞান ও প্রযুক্তির কথা বলা হয়েছে। আর এই কারণেই প্রমিথিউসকে দেবতাদের কাছে শাস্তিও পেতে হয়।
আমার কাছে ফ্যান্টম দা হলেন প্রকৃত প্রমিথিউস। আমার বাংলা ব্লগ রূপে আমাদের মধ্যে প্রযুক্তি ও বিদ্যার মিশেলে নতুন প্লাটফর্ম উপহার দিয়েছেন।

ভাইয়া আপনার কবিতা আবৃত্তি টি অসাধারণ ছিল। সত্যি বলতে আপনার এক্সপ্রেশন গুলো অনেক সুন্দর ছিল। অনেকে কবিতা আবৃত্তি গিয়ে আমার মনে হয় রিডিং পড়ে। কিন্তু আপনি খুব সুন্দর ভাবে আবৃত্তি করেছেন। আমি আপনার পরবর্তী কবিতা আবৃত্তির অপেক্ষায় রইলাম।
সত্যি ভাই ভিন্ন ধরনের একটা স্বাদ পেলাম, কারন এর আগেও এই কবিতাটির আবৃত্তি শুনেছিলাম, আজকের তার চেয়ে অনেক বেশী ভালো হয়েছে। আমি দারুণভাবে উপভোগ করেছি, দাদার আরো কিছু সুন্দর কবিতা আপনার কণ্ঠে আবৃত্তি শুনার অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ হাফিজ দা। ধীরে ধীরে ফ্যান্টম দার কবিতা গুচ্ছর পাশাপাশি তনুজা দির কবিতা আর আপনার কবিতা গুলো আবৃত্তি আকারে পরিবেশন করার পর ইচ্ছে আছে।
দাদা আপনি যে এত সুন্দর আবৃত্তি করতে পারেন সেটা তো জানা ছিল না। ফ্যান্টম দার লেখা কবিতা আপনার গলায় দারুণ মানিয়ে গেছে। আসলেই কবিতাটির মধ্যে গভীর অর্থ লুকিয়ে আছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর আবৃত্তি শেয়ার করার জন্য।
দাদা অসাধারণ কবিতা লেখেন এতে কোন সন্দেহ নেই। দাদার মুখে বেশ কয়েকবার শুনেছিলাম কবিতা সুন্দর করে আবৃত্তি করলে এর সৌন্দর্য বিকশিত হয়। কবিতাটি কতটা ভালো সেটা আপনার সুন্দর আবৃত্তি শুনে বুঝতে পারলাম। প্রমিথিউসের মশাল কবিতাটি পড়ে যতো টা ভালো লেগেছিল আজকে আপনার কন্ঠে আবৃত্তি শুনে ভালোলাগাটা অনেক বেড়ে গেল। ধন্যবাদ সুন্দর আবৃত্তির জন্য।
পুরো আবৃত্তি শুনলাম। আপনার কন্ঠে ভালই লেগেছে শুনতে। সত্যি বলছি চেষ্টা থাকলে আপনিই একদিন কবিতা আবৃত্তিতে সেরা হতে পারবেন। আপনার কন্ঠে একটি শক্তি রয়েছে।আগামীর প্রতিক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ দাদা।