এলোমেলো আলোকচিত্র
নমস্কার বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ঈশ্বরের কৃপায় আপনারা সকলে সুস্থ। আপনাদের আশীর্বাদ ও ভালোবাসায় আমিও ভালো আছি। বর্ষার প্রারম্ভ বেশ কদিন আগেই হয়েছে, তবে এবারের বর্ষাকালটাকে ঠিক যেন বর্ষা বলা যায় না। বর্ষার মেঘলা আকাশের তুলনায় মেঘহীন পরিস্কার আকাশ প্রদূর্য বেশি রয়েছে আর সাথে এলোমেলো অবাহাওয়া। মাঝে মধ্যে অবহাওয়া দেখে খরা বললেও ভুল হবে না।
খরা ও বর্ষার মাঝে অল্প স্বল্প বৃষ্টি হচ্ছে ঠিকই তবে বেশি সময় শরৎকালের মতনই আকাশের পরিস্থিতি। যেদিন অল্প বৃষ্টির দেখা মিলছে সেদিন চারপাশের আবহাওয়াটা খুবই মনোরম হয়ে উঠছে, তারপর ফের বেশ কদিন বৃষ্টির দেখা নেই।
প্রকৃতির অদ্ভুত খেলায় মেতে উঠেছে আকাশ ও আবহাওয়া। আজ তাই আপনাদের সামনে হাজির হলাম আমার তোলা বেশ কিছু ছবি নিয়ে।
সে এক রবিবারের কথা। বিশেষ কাজে আমি গিয়েছিলাম কাছেরই এক জায়গায়। তা কাজ সেরে ফিরতে ফিরতে অনেকটাই দুপুর হয়ে গেছিল। দুপুরবেলায় রাস্তা ঘাট ফাঁকা পেয়ে ধীরে ধীরে আসছিলাম সে সময় হঠাৎ করে আকাশের পানে তাকিয়ে আমার চোখ আটকে গেলো। আদপে ভর দুপুরে চাঁদ দেখে আমি থমকে গেছিলাম। আকাশের দিকে দাড়িয়ে দেখতে দেখতে অল্প নজর ঘোরাতেই চোখে এলো লম্বা খেজুর গাছটা। গাছটার ডালপালার মধ্যে অনেকগুলো বাবুই পাখি বাসা করেছে। দিনের বেলার চাঁদ আর এক ঝাঁক বাবুইয়ের বাসা আমাকে মুগ্ধ করে দিয়েছিল। প্রকৃতি সবই পারে।
রাখী পূর্ণিমার রাতের ঘটনা। আমার বাংলা ব্লগে রাখী পূর্ণিমার সংক্রান্ত বিশেষ হ্যাংআউটের সময়ে হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ যাওয়ার পর ইন্টারনেটের খোঁজে আমাকে বাড়ির বাইরে বেরোতে হয়। বাইরে দাঁড়িয়ে হ্যাংআউট শুনছি সে সময়ে আমার বলার পালা এলে শুভ দা আমাকে স্টেজে ডাকেন। আমি তখন রাখী পূর্ণিমার চাঁদের নীচে দাঁড়িয়েই সবার সাথে কথা বলি। শুভদা সেই কথা শুনে আমার কাছে রাখী পূর্ণিমার চাঁদ দেখার আবদার জানিয়েছিলেন, সেই সূত্র থেকেই আমি ছবিটা তুলি।
সন্ধ্যার আগ দিয়ে হঠাৎ করে অল্প বৃষ্টি হয়ে আবহাওয়া বেশ মনোরম হয়ে উঠলো। ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগাতে তাই তখন বাইরে বারান্দায় গিয়ে বসলাম। বাইরে অল্প খানিকক্ষণ বসতেই গা টা ম্যাজ ম্যাজ করতে শুরু করলো তাই ভয়ে ভয়ে বাড়িতে ঢুকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। উঠতে যাবো সে সময় হঠাৎ করে কাছে এসে বসলো এক প্রমাণ সাইজের গঙ্গা ফড়িং। ব্যাটা যাবে কোথায়, কনসেন্ট ছাড়াই চুপিসারে ছবি তুলে নিলাম।
দূরপাল্লার ট্রেন ধরার প্রয়োজন হলে আমাদের কাছেরই এক স্টেশন যেতে হয়। স্টেশনটা রাস্তার একদম পাশে। তবে মজার ব্যাপার হলো রাস্তার পাশে হওয়া সত্ত্বেও স্টেশনে বেশ ঘুরে ঘুরেই পৌঁছাতে হয়। কিন্তু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের লাইন দিয়ে হাঁটা ধরলে মিনিট দুয়েকের রাস্তা। ঘুরে ঘুরে যাবো না, তাই ট্রেনের লাইনটাই ধরলাম। কিছু দূর হাঁটতেই দেখি স্টেশন বেশ কুয়াশায় ঢেকে গেছে, আমি তো হতবাক। বর্ষাটা ঠিকঠাক এলো না, শীত চলে এলো। সেই মুহূর্তটাকে ক্যামেরা বন্দি করে ফেললাম।
মাঠে ঘাটে যাওয়ার খুব একটা সুযোগ হয় না তবে যখন সুযোগ পাই তখন সেটা হাতছাড়া করি না। সেদিন আগে বাড়ি ফিরে এসে মনের কোণায় অল্প গা এলিয়ে দেওয়ার ইচ্ছে হলো কিন্তু সে ভাবনা ঝেড়ে ফেললাম আর হাটতে বেরিয়ে পড়লাম। হাঁটতে হাঁটতে সোজা পশ্চিম দিকের মাঠে গিয়ে বসলাম। ধীরে ধীরে পশ্চিম আকাশে সূর্য্য অস্ত যাওয়া দেখলাম। সূর্য্য অস্ত যাওয়ার সাথে পশ্চিম আকাশে লাল আভা ছড়িয়ে দিলো। আমিও ক্যামেরাবন্দি করলাম সেই মুহূর্তটাকে।
বেশ কয়েকদিন বৃষ্টির দেখা নেই আর সেই সাথে গরম বেড়েই চলেছে। সব মিলিয়ে হাঁসফাঁস করছি। দিনে দুবার স্নান করেও যেন শান্তি নেই। এরকমই এক বিকেলে হঠাৎ মেঘ কালো করে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি শুরু হলো। টিনের চাল বেয়ে ঝর্ণাধারার মতো পড়তে থাকলো বৃষ্টির জল। প্রশান্তির সেই ধারাকে তুলে রাখলাম মুঠো ফোনে।
আজকের মতো এটুকুই থাক। আবার দেখা হবে আগামীকাল অন্য কোনো ব্লগে। ভালো থাকুন। আনন্দে থাকুন। ধন্যবাদ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
হ্যাঁ দাদা এবার বর্ষা বলতে কিছু দেখছি না। এবার চৈত্রের খরতাপের মত বছর টাই চলে গেল। জনজীবন বিষন্ন হয়ে আছে। তবে রাখি বন্ধনের হ্যাংআউটের সময়ের সবার সাথে কথা বলার সাথে রাখি বন্ধনের রাত্রিতে চন্দ্র দেখার ফটোগ্রাফিটা সত্যিই অবাক করে দিয়েছে। সেই সাথে প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফির খুব সুন্দর করে বিস্তারিত গুছিয়ে লিখেছেন।
মধুর কন্ঠনিল দাদা তুমি
তোমায় ভালোবাসি হৃদয়ের মধ্যখানে
তোমার পরশেই হৃদয় জুড়িয়ে যায়
ইচ্ছে করে দাদা ডাকি তোমায় বারবার
উপহার দিয়েছো রাখিবন্ধনের চন্দ্র আলোকিত চিত্র
হৃদয় করে দিয়েছো রঙ্গিন। ভালোবাসা অবিরাম দাদা।
এবছরের আবহাওয়া আজব হয়ে গেছে। শীত যে কেমন হয় সেটাই দেখার।
অণু কবিতাটি বেশ হয়েছে।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
গঙ্গা ফড়িং এর ছবিটি দেখতে অসাধারণ হয়েছে। দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। নিখুঁত ভাবে সব গুলো ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার পোস্ট ভিজিট করে ভালো লাগলো দাদা।
পাশে এসে বসলো, তাড়িয়ে না দিয়ে ছবি তুলে নিলাম। হাঃ হাঃ
আপনার তোলা প্রতিটি ছবি অসাধারন হয়েছে। মনে হচ্ছে প্রফেশনাল ফটগ্রাফার দিয়ে ছবিগুলো তোলা। হ্যাংগাউটের সেই ঘটনা আমার মনে আছে দাদা, আবার মনে করে খুব ভাল লাগছে। গঙ্গা ফড়িং এর ছবি আমার কাছে বেশি ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ দাদা।
প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার কিনা জানিনা তবে ধন্যবাদ 🤗
ঠিকই বলেছেন দাদা এইবার এই বৃষ্টি যা করল বলে বোঝানো যাবে না। দিনের তপ্ত আলোয় আকাশে চাঁদের উদয় বাহ দারুণ। টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ বেশ দারুণ লাগে কিন্তু দাদা। ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার হয়েছে। আপনাকে খুব একটা ফটোগ্রাফি করতে দেখা যায় না।
ঠিক ঠিক। বৃষ্টির আওয়াজ খুবই শান্তি দেয়।
দাদা আপনি খুব সুন্দর কিছু মূহুর্তকে ক্যামেরা বন্দী করেছেন।বিশেষ করে চাঁদ রাতে ফটোগ্রাফিটি অসাধারণ হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ দাদা সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ রিতু দি 🤗
ধন্যবাদ আশীষ বাবু 🤗
দাদা অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। আর রবিবারের ফটোগ্রাফি করা খেজুর গাছে বাবুই পাখির বাসা গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। রাখি পূর্ণিমার রাতের চাঁদের আলোর ফটোগ্রাফিটিও অতি চমৎকার দেখাচ্ছে। অনেক সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের উপহার দেয়ার জন্য প্রিয় দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
খেজুর গাছে বাবুই দেখে আমিও আশ্চর্য হয়ে দেখলাম
দারুন দারুন ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি মুগ্ধ। কোনটা রেখে কোনটা প্রশংসা করব বুঝে উঠতে পারছি না। তারপরও আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে শেষের ফটোগ্রাফিটা। খুব সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আশিকুর ভাই 🤗
ওয়াও অসাধারন কিছু মুহূর্তের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনি অনেক দক্ষতা এবং সৃজনশীলতার মধ্য দিয়ে আপনার ক্যামেরাবন্দি করে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে আপনার একটি ফটোগ্রাফিতে গঙ্গা ফড়িংয়ের দৃশ্য দেখে। শুভকামনা রইল ভাই এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ জাহিদুল ভাই 🤗