চললাম বাড়ি
নমস্কার বন্ধুরা,
মাস চারেক পর ফের রওনা হলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে। বিগত কয়েক মাস ধরে কলকাতায় দৌড়াদৌড়ির থেকে নিজেকে কিছুটা রেহাই দেওয়ার জন্য। আগস্ট মাসের শুরুতেই বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু জেঠুর চোখের অপারেশন টাও জরুরি তাই সেই মাসে আর হয়নি। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাড়ি যাবো যাবো করছিলাম, সেপ্টেম্বর মাস পড়তেই হঠাৎ স্থির করে নিলাম তারপরেই রেলের তৎকাল টিকিটও কেটে ফেললাম। তৎকাল টিকিট কাটার সময় দুবার অ্যাপ ক্র্যাশ করলো, ভেবেছিলাম টিকিট পাবো না, তৃতীয় বারের চেষ্টায় শেষমেষ হয়ে গেলো।
আমার ট্রেন ছিল রাতে। সারাদিন চাপা উত্তেজনা কাজ করছিল। সারাদিন কাজকর্ম গুছিয়ে নিয়ে সন্ধ্যার সময় স্টেশনের উদ্দেশ্যে বেরোলাম। সঠিক সময়ে বেরোলেও রাস্তায় মিছিলের জ্যাম হওয়ায় স্টেশন পৌঁছতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল। মূলত জ্যাম পেয়ে বাস ঘুরে ঘুরে স্টেশন যখন পৌঁছলো, ট্রেন ছাড়ার তখন কুড়ি মিনিট বাকি। দৌড়োতে দৌড়োতে ট্রেনে উঠলাম। কামরায় উঠে নিজের সিটে ব্যাগ রেখে স্বস্তি হলো। ঘন্টাখানেক বসে সবাই যখন শুয়ে পড়বে তখন আমিও নির্ধারিত সিটে শুয়ে পড়বো, এই ভাবনা নিয়ে কিছুক্ষন বসেছি তাতেই অনেকের ঘুম পেয়ে গেলো। অগত্যা আমিও আমার সিটে উঠে পড়লাম। কলকাতায় একটু গরম লাগছিল ট্রেনে চলতেই সেটা উধাও হয়ে গেলো। ট্রেনের খোলা জানলা দিয়ে হু হু করে হাওয়া আসছিল।
কিছুক্ষণ পরে বেশ ভালোই শীত লাগা শুরু করলো। বাতাস শিরশিরানি ধরিয়ে দিল। ট্রেনের যাত্রা এই কারণে আমার ভালো লাগে। গায়ে পাতলা চাদর জড়িয়ে বসে পড়লাম মিটিংয়ে। আপনারা জানেন আমার বাংলা ব্লগের নতুন মিম টোকেন $PUSS চালু হয়েছে সেই নিয়ে মিটিং। বিগত কদিন ধরে কয়েনের উত্তেজনাতে ঘুমোতে পারিনি, কোনো কয়েনের জন্ম লগ্ন থেকে থাকবো। সেই কয়েনের টিমে থাকতে পারবো। আলাদা রকমের অনুভূতি, যেটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। মিটিং থেকে বেরিয়েও ঘুম আসছিল না, বানান কয়েন নিয়ে বেশ কিছু আর্টিকেল পড়ে ফেললাম। তারপর একসময় ঘুম চলেই এলো।
টানা ঘুম দিলাম। দুটো নাগাদ ঘুমিয়ে সোজা সকাল সাতটায় ঘুম ভাঙলো। ঘুম থেকে উঠে দেখি গন্তব্য স্টেশনের কাছাকাছি পৌঁছে গেলেও আরো ৩০ মিনিট লাগবে। তাই আবার অল্প চোখ বন্ধ করে থাকলাম। চোখ যখন খুললো আমার স্টেশন থেকে ট্রেন সবে ছেড়েছে। উপায় নেই, ট্রেনের শেষ স্টেশন পর্যন্ত গেলাম বাইরের সবুজ প্রকৃতি উপভোগ করতে করতে। কলকাতায় যেখানে রীতিমতো গরম সেখানে জেলায় ছিটে ফোঁটা নেই। মাঠ ভর্তি ধান আর সবুজ প্রকৃতির ঠান্ডা হাওয়া দুইয়ের মাঝে ট্রেন ছুটছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @kingporos,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
চার মাস কলকাতায় কাটিয়েছো, তার মানে অনেক দিনের কথা। যদিও তোমার জেঠুর চোখের অপারেশনের কথা শুনেছিলাম, এই জন্য দেরি হলো। তবে একটা সত্যি কথা কি জানো তো দাদা, ট্রেন জার্নি কিন্তু আমার নিজেরও অনেক ভালো লাগে। তবে আমি অবাক হলাম, তুমি ট্রেনের ভিতর নেটওয়ার্ক কি করে পেলে তাই ভেবে! যাইহোক, আমাদের কলকাতা থেকে তোমাদের ওখানকার পরিবেশটা দেখছি অনেক সুন্দর এবং সবুজময়।
আসলে ট্রেন জার্নির মজাই আলাদা। আমি তো ট্রেন জার্নি খুবই পছন্দ করি। দীর্ঘদিন পর বাড়িতে গিয়েছেন,জেনে খুব ভালো লাগলো দাদা। আপনাদের দিকে তো দেখছি সবুজের সমারোহ। এতো গাছগাছালি যেখানে থাকে,সেখানে গরম কম লাগাটা স্বাভাবিক। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দীর্ঘদিন পরে বাড়ি যাবার অনুভূতি অন্য রকমের। যেহেতু আপনি অনেকদিন পরে যাচ্ছেন আপনার মধ্যে খুব উত্তেজনা কাজ করছিল। আর আপনি তো বেশ ভালোই ঘুম দিলেন ট্রেনের মধ্যে। এভাবে ঘুম দিলেন আপনার গন্তব্য ছেড়েই পেরিয়ে গেল। ট্রেন থেকে খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি নিলেন যা দেখে খুবই ভালো লেগেছে দাদা।
বাড়ি যাওয়ার অনূভুতি টাই আলাদা। অনেক দিন পর বাড়ি গেলেন। বাড়ি থেকে যারা দূরে থাকে তারা এই অনূভুতি টা খুব ভালো জানে। এই এক্সাইটমেন্ট টা মূলত শুরু হয় টিকিট কনফার্ম করার পর থেকে। বাংলাদেশের মতো আপনাদের ওখানেই অনলাইন টিকিট অ্যাপস ঝামেলা করে দেখছি।