অবশেষে তার দেখা
নমস্কার বন্ধুরা,
অবশেষে তার দেখা পেলাম! মেঘের আনাগোনা শুরু হয়েছে বেশ কদিন আগেই, কিন্তু তার দেখা মোটেই পাওয়া যাচ্ছিলো না। আকাশে মেঘের ঘোরাফেরা দেখে বারবার মনে আশা জাগছিলো বটে কিন্তু নিরাশা ছাড়া হাতে কিছুই আসেনি। রোজ সকালে ঘুম ভাঙ্গে মেঘের অন্ধকার দেখে তবে খানিকক্ষণ বাদে সেই অন্ধকার কেটে যায় আর ঝলমলিয়ে রোদ ওঠে।
পরিস্থিতি দিন দিন সঙ্গীন হয়ে উঠছিলো। কি আর করা! প্রকৃতির কাছে আমরা বড্ড নিরুপায়। মাঝেমধ্যে মনে হচ্ছিলো এ বছরে আদৌ কি আমরা বৃষ্টি দেখতে পাব, নাকি শুধু মেঘ দেখেই খুশি থাকতে হবে। আরো খারাপ লাগছিলো কারণ অন্যান্য জায়গা থেকে বৃষ্টিপাতের খবর আসছে অথচ আমাদের দিকে একফোঁটাও বৃষ্টি নেই। আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম।
প্রতিদিন সকালের মতো যখন বিকেলে মেঘ দেখা গেলো আমি মনে মনে ভাবছিলাম হয়তো অন্য দিনের মতনই মেঘ আজকেও আমাদের সাথে ধাপ্পাবাজি করে চলে যাবে, অন্ধকার হবে বটে কিন্তু বৃষ্টি হবে না। আর খানিকক্ষণের মধ্যে অন্ধকার টুকুও কেটে আকাশ সুন্দর পরিষ্কার হয়ে যাবে। কোনো আশাই ছিল না।
কিন্তু ওইযে যখন বেশি আশা করা হয় না, ঠিক সেই সময়েই মনের চাওয়া গুলো পূরণ হয়ে যায়। আজকেও তাই হলো মেঘ আসার মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হয়ে গেলো।
প্রায় ৩০ মিনিট ধরে বৃষ্টি চললো। আর সে কি বৃষ্টি, কল্পনাও করা যায় না। যখন বৃষ্টি থামলো তখনও কানটা ঝালাপালা করছে। বৃষ্টির পর আবহাওয়াটা ঠান্ডা হয়ে গেলো।
পরিবেশটা বেশ ভালো লাগছিলো তাই ভাবলাম যাই চারপাশটা একটু ঘুরে আসি। বাইরে বেরিয়ে এক মজার জিনিস দেখতে পেলাম। চারিদিকে কোথাও কাঁদা নেই। বৃষ্টি হয়েছে যে মাটি সেটাই টের পায়নি। যেন মাটিতে জলের ফোটা গুলো পড়ে তৎক্ষণাৎ বাষ্পীভূত হয়ে গেছে। গাছ গাছালি বাদ দিয়ে কোথাও বিশেষ ভিজে নেই।
গাছের পাতার উপরে জল পড়ে থাকা দেখেই মনটা বেশ ফুরফুর করছিলো। পরিশেষে বর্ষার শুরু হয়ে গেলো। আমারও চাতকের ন্যায় অপেক্ষার দিন শেষ হলো।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
এবারে বৃষ্টির দেখা অনেক কম। প্রচন্ড রোদ এবং গরম। যে কারণে কৃষকেরা গ্রামে ধান লাগাইতে পারে না। ধান চাষ করার জমিগুলো রোদে মাটি ফেটে গেছে। আর বৃষ্টি আসলে তো আমার ভীষণ খুশি লাগে। যখন বৃষ্টি আসে তখন আমি খুবই আনন্দ অনুভব করি। আর বৃষ্টিতে টিনের বাড়িতে থাকলে খুবই ভালো লাগে। যখন বৃষ্টি পড়ে তখন টিনের মধ্যে একটা ঝমঝম ঝম শব্দ করে। তখন এই শব্দ টা বেশ দুর্দান্ত লাগে। খুবই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দাদা আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সত্যিই এবার গরমের তুলনায় বৃষ্টি খুবই কম, আমি বসে বসে ভাবি এই গরমের মধ্যে যদি বৃষ্টি হত তাহলে কতইনা ভাল লাগত, বৃষ্টি হওয়ার পর চমৎকার একটি পরিবেশ সৃষ্টি হয় আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে তা দেখতে পেলাম।
প্রচন্ড গরমের পর একটু বৃষ্টি যে কতটা প্রশান্তি এনে দেয় তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। এবার এত পরিমানে গরম যে বৃষ্টি হওয়ার কিছুক্ষণ পড়েই সবকিছু শুকিয়ে যাচ্ছে ভাবতেও কত অবাক লাগে এই সময়ে বৃষ্টির কারনে ঘর থেকে বাইরে বের হওয়ার মতো অবস্থা থাকে না অথচ এবছর পুরোটাই উল্টো, গরমে সবাই অতিষ্ঠ। দাদা আপনার ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর হয়েছে। বৃষ্টির জলে ধুয়ে গাছের পাতা গুলো চিরসবুজ হয়ে উঠেছে দেখতে অসাধারণ লাগছে।ধন্যবাদ দাদা এই সুন্দর মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য🙏🙏🙏
বৃষ্টি দেখে ভালোই লাগলো। আমাদের এখানে ত বৃষ্টিই নেই । বৃষ্টির পর গাছের নতুন রুপ ,বেশ ভালোই লাগছে । ধন্যবাদ ভাইয়া ।
শ্রাবনের ধারা মনে হয় আর দেখা হবে না। তবু আপনাদের হয়েছে। এমন দিন দেখেছি একটানা ৭ দিন ধরে বৃষ্টি। প্রকৃতি আজ রুষ্ঠ মানবের উপর। আমরা মেঘ দেখেই সান্ত্বনা পাচ্ছি।
প্রায় ৩০ মিনিট ধরে বৃষ্টি হলো আসলে এই যে বৃষ্টি হচ্ছিল তখন সে দেখতে এবং অনুভব করতে খুব ভালোই লাগছিল বোঝাই যাচ্ছে দাদা। আসলে অনেকদিন পর বৃষ্টি হলে যেমন আবহাওয়া টা খুব ঠান্ডা থাকে তেমনি ভাবে ভালও লাগে। কিন্তু আমাদের এখানে আবার অনেকদিন হয় বৃষ্টি হচ্ছে না ভাবসা গরম পড়ছে ধন্যবাদ আপনাকে এই বৃষ্টির অনুভূতি এবং দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
অবশেষে তাহলে আপনার চাতকের ন্যায় চেয়ে থাকার অবসান হলো। যাইহোক বেশ ভালো লাগল আপনার অনূভুতি টা দেখে। আসলে প্রকৃতি কতটা বিরুপ হয়ে গেছে সেটা এখন বোধগম্য হচ্ছে না হলে বর্ষা কালে বৃষ্টির জন্য এতো প্রতিক্ষা করা লাগে।।
আমাদের এদিকেও সকাল থেকে চলতেছে।আহা কানে যেন মধু বর্ষণ হচ্ছে।এরকম আরো ২-৩দিন চলুক।দুঃখের বিষয় ক্যামেরা না থাকায় আপনার মত সুন্দর সুন্দর ছবি তুলতে পারি নাই।তবে বৃষ্টি বিলাস করছি আপনার মতই।
সব ঠিকাছে,সমস্যাটা হলো এই ধরণের বৃষ্টির পরের কয়েকদিন অতিরিক্ত গরম থাকে।
আধা ঘন্টা ধরে বৃষ্টি হলে মোটামুটি পরিবেশ একদম ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার কথা আর একটানা আধা ঘন্টা বৃষ্টি হলে খাল বিলে পানি জমে যাবে এটা স্বাভাবিক। তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া চাইছি যেন আমাদের অঞ্চলে কিছু সময় বৃষ্টি হয় আর পরিবেশটা একটু স্বাভাবিক হয়। দাদা তো স্বস্তির দেখা পেয়েই গেলেন এখন শুধু আমরা সেই স্বস্তির অপেক্ষায় আছি।