প্রোটিয়াদের হারিয়ে অষ্টমবার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া
**
নমস্কার বন্ধুরা,
ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩ পর্বে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জয় পেয়ে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া। কলকাতার ইডেন গার্ডেনে আজ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে সাউথ আফ্রিকার মুখোমুখি ছিল অস্ট্রেলিয়া। একদিকে পুরো টুর্নামেন্ট ধরে ভালো খেলা সাউথ আফ্রিকা, অন্যদিকে টুর্নামেন্টের শুরুটা নড়বড়ে শুরু করে শক্ত ভাবে ফিরে আসা অস্ট্রেলিয়া।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন সাউথ আফ্রিকান অধিনায়ক টেমবা বাভুমা টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। ইডেনের পিচে প্রথম ওভারেই স্টার্কের বলে অধিনায়ক টেমবা বাভুমা উইকেট দিয়ে বসে। উইকেট হারিয়ে রানের গতিবেগ প্রথম থেকেই কম ছিল। ষষ্ঠ ওভারে রানের গতিবেগ বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে ডি কক হেজলউডের বলে আউট হয়। দুই ওপেনারকে হারিয়ে সাউথ আফ্রিকা কোণঠাসা হয়ে যায়। তৃতীয় উইকেটে মারক্রাম ও ডুসেন কিছুটা আশার আলো জাগালে ফের হেজলউড-স্টার্কের বলে তারাও প্যাভিলিয়নে ফিরে যায়। স্কোরবোর্ড ২৪ রানে ৪ উইকেট হয়ে পড়ে। চতুর্থ উইকেট হারানোর পরে ক্লাসেন এবং ডেভিড মিলার জুটি পাহাড় প্রমাণ কাজ শুরু করে। ধীরে ধীরে দুই প্রোটিয়া ব্যাটার সাউথ আফ্রিকাকে খেলার মধ্যে ফিরিয়ে আনে। দুজনের সংঘর্ষে ২৮ তম ওভারে সাউথ আফ্রিকা ১০০ রানের গন্ডি পেরোয়। সাউথ আফ্রিকার দুই ব্যাটার যখন পিচে জমে বসেছে ঠিক তখনই ট্রাভিস হেড পরপর দুবলে ক্লাসেন ও জেনসেনের উইকেট তুলে নিয়ে সাউথ আফ্রিকাকে ফের কিনারায় ঠেলে দেয়। ডেভিড মিলার প্রোটিয়া বোলারদের নিয়ে রান এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে। ৪৮ তম ওভারে ছয় মেরে মিলার সেঞ্চুরি পূরণ করে। পরের বলেই মিলার ক্যাচ তুলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যায়, ইতি হয় দারুন ইনিংসের। প্রোটিয়াদের ব্যাটিং ইনিংস মাত্র ২১২ রানেই গুটিয়ে যায়।
মাত্র ২১৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নামা অস্ট্রেলীয় দুই ওপেনার শুরু থেকেই ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করে দেয়। যা দেখে মনে হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া হয়তো অন্য কোন পিচে খেলছে। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে মারক্রাম ওয়ার্নারকে বোল্ড করে রানের গতি থামায়। অষ্টম ওভারে রাবাদার বলে দুর্দান্ত ক্যাচ লুফে মিচেল মার্শকেও প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠালে সাউথ আফ্রিকা ম্যাচে কিছুটা ফেরত আসে। অস্ট্রেলিয়া দশ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৭৪ রান।
বারো তম ওভারের প্রথম বলে হেডের সহজ ক্যাচ মিস হওয়ার পর, হেড পরপর তিনটি চার মেরে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করে তার সাথে অস্ট্রেলিয়া স্কোর দাঁড়ায় ৯২-২। ১৫ তম ওভারে মহারাজের ঘূর্ণিতে ট্রাভিস হেড আউট হলেও অস্ট্রেলিয়া ততক্ষণে ১০৯-৩। মহারাজ-সামসির পরপর উইকেটে সাউথ আফ্রিকা ম্যাচে দারুণভাবে ফিরে আসে। অস্ট্রেলিয়া কিছুটা বেকায়দায় পড়ে ২৫ ওভার শেষে স্কোর করে ১৪১-৫। স্মিথ অস্ট্রেলিয় উইকেট কিপার জনি ইংলিশ কে নিয়ে অস্ট্রেলিয় ইনিংসের হাল ধরে ধীরে ধীরে জেতার লক্ষ্যে এগোতে থাকে।
৩৪ তম ওভারে কোয়েতজার বলে স্মিথ আউট হলে প্রোটিয়ারা দুর্দান্ত কাম ব্যাক করে। খেলা আরো জমে ওঠে যখন ৪০ তম ওভারে জনি ইংলিশ আউট হয়ে যায়, অস্ট্রেলিয়া স্কোরবোর্ডে তখন ১৯৩-৭।
৭ উইকেট চলে যাওয়ার পর অধিনায়ক কামিনস ও মিচেল স্টার্ক বাড়তি ঝুঁকি না নিয়ে ধীরে ধীরে জেতার রান দিকে এগোতে থাকে, যার ফলে ৪৮ তম ওভারেই অস্ট্রেলিয়া জিতে নেয় তাদের অষ্টম বারের ফাইনালের টিকিট।

এই বিশ্বকাপে সাউথ আফ্রিকা আগে ব্যাট করলেই বেশি রান করেছে। সেই আশাতেই হয়তো বাভুমা আগে ব্যাট করেছিল। কিন্তু হলো তার উল্টা। অস্ট্রেলিয়ার বোলিং পরাক্রমের কাছে টিকতেই পারলো না আফ্রিকা। যদিও মিলার রানটা এগিয়ে নিয়ে যায়। তবে সাউথ আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়ারও বেশ ভালো পরীক্ষা নিয়েছে কিন্তু। যাইহোক আগামীকাল ফাইনাল দেখার অপেক্ষায় আছি দাদা।।
প্রোটিয়ারা নিজেদের চোকার্স উপাধি আর ঘুচাতে পারল না। তবে ওদের জন্যই একটা হাড্ডাহাড্ডি ফাইনাল দেখা যাবে। ইন্ডিয়া অস্ট্রেলিয়া কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না। তবে সাউথ আফ্রিকা অত গুলো ক্যাচ মিস না করলে অস্ট্রেলিয়ার কপালে দু:খ ছিল।যাই হোক ভাইয়া ধন্যবাদ সুন্দর ম্যাচ সামারি শেয়ার করার জন্য।
সেদিন এই খেলাটা দেখছিলাম। কিন্তু শেষের দিকে এসে খুবই মেজাজ খারাপ লাগছিল। এত অল্প রানে করতে যত সময় লাগিয়েছিল মনে হচ্ছিল যে আবার হেরে না যায় কিন্তু অনেক বেশি বল থাকার কারণে তারা খুব ধীরে খেলে শেষ করতে পেরেছে। খুব সুন্দরভাবে পুরো ইনিংসটি উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। ভালো লাগলো দেখে।
নিঃসন্দেহে অস্ট্রেলিয়া একটি ভালো দল এদিন প্রথম ইনিংসের শুরুটাও তারা খুব ভালো করেছিল। আবার দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং লাইন অফ ও ভালো শুরু করেছিল।
সব মিলে খেলাটি খুব ভালো উপভোগ করেছিলাম।
এখন দেখার বিষয় ফাইনাল ম্যাচটা খুব আশায় রয়েছি এবার ভারত বিশ্বকাপ নেবে।
আর আমি মনে করি এটাই হবে শুরু থেকে ভারত যে দাপটে খেলা দেখাচ্ছে এরকমভাবে আর কোন দল খেলা দেখাতে পারেনি।
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসের সব থেকে সফল দলগুলোর একটি। প্রোটিয়া আর অস্ট্রেলিয়ার ভিতর সেদিনের সেমিফাইনাল ম্যাচটা বেশ জমেছিলো। প্রোটিয়ারা যদি ক্যাচগুলো মিস না করতে হয় তো প্রোটিয়াড়ায় ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল খেলতো এবারের বিশ্বকাপে। বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখার জন্য এখন অপেক্ষা। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
বড় বড় আসরে সাউথ আফ্রিকা এবং নিউজিল্যান্ড টিম শেষের দিকে এভাবেই ব্যর্থ হয়ে যায়। ডেবিড মিলার এবং ক্লাসেন ছাড়া সাউথ আফ্রিকার কোনো ব্যাটসম্যানই নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। লো স্কোরিং ম্যাচ হলেও ম্যাচটি বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে। সাউথ আফ্রিকা যদি আর ৩০ রান বেশি করতে পারতো, হয়তোবা অস্ট্রেলিয়া হেরে যেতো। সবমিলিয়ে ম্যাচটি বেশ উপভোগ করেছি। আশা করি আগামী কালকে ফাইনাল ম্যাচে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া আমাদের সবাইকে দুর্দান্ত একটি ম্যাচ উপহার দিবে। যাইহোক এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।