বনভোজন, কিছুটা অন্যরকম ভাবে...
নমস্কার বন্ধুরা,
বিগত বছরের শেষে কিংবা নতুন বছরের শুরুতে দুটো সময়েই পিকনিক করা হয়ে ওঠেনি। আসলে কিছু ব্যস্ততার জন্য পিকনিক করার পরিকল্পনা কিংবা সময় দুটোরই অভাব হয়ে গিয়েছে। মাসখানেক আগে একবার বছর শেষে প্ল্যান হয়েছিল, যদিও শেষ মুহূর্তে বাকিরা তাতে উপস্থিত হলো আমি হতে পারিনি। সেজন্য মনটা কিছুটা উসখুস করছিল। আসলে কিছুটা সময় অন্যদিকে কাটানোর ইচ্ছা খুব ছিল কিন্তু উপায় হচ্ছিল না। সেরকমই অপেক্ষারত অবস্থায় ক্লায়েন্টদের এক পিকনিকে হঠাৎ করে আমন্ত্রণ পেয়ে গেলাম। আসলে বনভোজন ছিলো ক্লায়েন্টদের অফিসের কিন্তু সেখানে বেশ কয়েকজন আমার ভালো পরিচিত হওয়ার কারণে আমাকেও তারা নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল। যদিও প্রথমে পিকনিকের স্পটের কথা শুনে আমি বেশ অবাক হয়েছিলাম। যেটা শুনে আপনারাও অবাক হয়ে যাবেন বলেই আশা করছি। স্পটটি হলো অ্যাকোয়াটিকা।
সবজায়গায় মানুষ মূলত গরমকালে অ্যাকোয়াটিকা গিয়ে থাকে। সেখানে গিয়ে জলের বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা করে কিন্তু শীতের সময় তাও আবার এমন কনকনে শীতে অ্যাকোয়াটিকাতে পিকনিক করার বুদ্ধি কার ছিল সেটা আমি ঠিক জানিনা। তবে আমার তো সে দিকটা ভেবে লাভ নেই আমাকে ডেকেছে, আমি খেতে যাব। খেয়ে ঘুরে চলে আসব। ব্যাস। পিকনিক শুরু যদিও সকালবেলাতেই হয়েছিল আমার হাতে সময় না থাকার কারণে দুপুর বেলায় গেলাম অ্যাকোয়াটিকাতে।
অ্যাকোয়াটিকাতে পৌঁছে দেখি এতো শীতেও জলে নেমে দাপাদাপি চলছে। ঠান্ডার দিনেও মানুষ জলকেলি করতে পারে সেটা অ্যাকোয়াটিকা না গেলে আমি বুঝতে পারতাম না। যদিও বেশিরভাগ রাইডগুলো বন্ধ রয়েছে কিন্তু যে দু একটা জায়গা খোলা আছে তাদের মধ্যেই মানুষজন নেমে ভীড় করছে। সেখানেই পরিচিতদের দেখা পেয়ে গেলাম এবং তাদের সাথে কিছুটা বার্তালাপ করে খাওয়ার দিকে যাওয়া স্থির করলাম। যে কাজের জন্য আসলে যাওয়াটা। ক্লায়েন্ট এর অফিসের চার পাঁচ জনকে বাদে কাউকেই চিনি না তার মধ্যে একজন জলে নামেনি। তাকে নিয়েই খাওয়ার দিকে চলে গেলাম 😁।
সাধারণ পিকনিকের থেকে অফিসের পিকনিক গুলো কেমন যেন একটু অন্য ধরনের লাগলো। আমার প্রথম এমন অভিজ্ঞতা হলো যেখানে আমি গিয়ে দেখলাম যে কোথাও রান্না হচ্ছে না, সবাই বুফে থেকে খাবার তুলে তুলে খাচ্ছে। সেসব তো আমার ভেবে লাভ নেই। খাওয়ার জন্য এসেছি খেয়ে নিয়ে ঝটপট বেরিয়ে যাব এটাই ছিল ইচ্ছে। ভাত, আলুভাজা, সবজি ডাল আর দই কাতলা শুরু করে দিলাম।
প্রথম পর্ব সেরে চলে গেলাম মাটনে দিকে। অল্প কিছু মাংসের টুকরো দিয়ে শুরু করে সবমিলিয়ে ১৮ পিস মতো মাটন সাবড়ে দিলাম। মেইন কোর্স শেষ করে আইসক্রিম হাতে তুলে দিলাম।
তারপর আর কি! যথারীতি আমার খাওয়া-দাওয়া শেষ আমার পিকনিকও শেষ। যারা জলে তখন স্নান করছিল তাদেরকে দূর থেকে বিদায় জানিয়ে ফের রওনা হলাম। কারণ কোনো এক জায়গায় বসে থাকার মতন সময় হাতে একদম নেই। যেটা এখন আমার জীবনে যেন অত্যন্ত স্বাভাবিক একটা বিষয়।

দাদা মানুষের মনে যখন আনন্দ থাকে তখন শীত গরম বুজে না। শীতের মাঝেও পানিতে নেমে আনন্দ করে। আপনি মাত্র ১৮ পিস মতো মাটন সাবাড় করলেন, আমি হলে দুই তিন কুড়ি মাটন মেরে দিতাম,হা হা হা। ধন্যবাদ দাদা।
আপনার অফিসের পিকনিক হলে জানা যেত যে মাটনে পরে কম পড়লো কিনা বা কতটুকু কম পড়লো! ১ম ধাপ খাওয়া শেষে মাত্র ১৮ পিস মাটন দিয়ে মেইন কোর্স খেলেন, মন ভরলো তাতেই? ২ ডজন ও তো হলো না.... 😂😂 শীতের দিনে আইসক্রিম আমারও বেশ পছন্দের! আস্তে ধীরে আরাম আয়েশ করে খাওয়া যায় বেশ!
পিকনিক মানেই সবাই মিলে বেশ আয়োজন করে রান্না বান্না করা হবে। কিন্তু এরকম বুফে খাবারের আয়োজন করলে পিকনিকের মজা থাকে নাকি। তাছাড়া ঠিকই বলেছেন দাদা এরকম শীতের মধ্যে লোকজন আবার পানির মধ্যে নেমেছে দেখে বেশ অবাক লাগলো। যাইহোক এত কিছু চিন্তা করে লাভ কি। পিকনিকে গিয়ে বেশ ভালো মতো খাওয়া দাওয়া করেছেন তাই অনেক।
দাদা এতো কম খেলে হবে নাকি? দাওয়াত দিয়েছে যেহেতু, অবশ্যই আরও বেশি খেতে হবে 😂। নয়তো যারা দাওয়াত দিয়েছে, তারা কিন্তু কষ্ট পেতে পারে 🤣। যাইহোক এই শীতে কিভাবে সুইমিং পুলে নেমে লাফালাফি করলো সেটাই তো বুঝতে পারছি না। গরমের সময় এমন জায়গায় পিকনিক করলে দারুণ লাগে। যাইহোক এসব না ভেবে খেয়ে চলে গিয়েছেন সেটাই ভালো। তারা যেভাবে খুশি সেভাবে মজা করুক। পোস্টটি পড়ে বেশ মজা পেলাম দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।