ক্রিটিভ রাইটিং (গল্প) // বাস্তব জীবনে চোর ডাকাত ধরা দেখার গল্প
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৩-১১-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ক্রিটিভ রাইটিং (গল্প) // বাস্তব জীবনে চোর ডাকাত ধরা দেখার গল্প। আজকে সকাল বেলা থেকেই সারাদিন বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে প্রথমে গিয়েছিলাম মাছের পুকুরে খাবার দেওয়ার জন্য। তারপরে বাড়িতে এসে হালকা একটু নাস্তা খেয়ে বেশ কিছু সময় বসে ছিলাম এবং বেশ কিছু কাজে ব্যস্ত ছিলাম। তারপরে আমাদের মাঠে বেশ কিছু জন গিয়েছিল পিঁয়াজ লাগানোর জন্য সেখানে আমি খাবার দিতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে বাড়িতে এসে আমি এবং আমার কাকা দুজন মিলে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিলাম পাশের গ্রামে। মাছ ধরা শেষ করে বাড়িতে আসতে প্রায় দেড়টা বেজে গিয়েছিল। বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বসে গেলাম আপনাদের মাঝে পোস্ট লেখার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক...........
আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আমার বাস্তব জীবনের একটি গল্প। আসলে বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রত্যেকটা গ্রামেই চোর ডাকাতের কথা আমরা কম বেশি শুনেছি। গত কয়েকদিন আগে আমাদের গ্রামে মাঠের মধ্যে বেশ কিছু মানুষ একটি গরুর গাড়ি ডাকাতি করেছিল সত্যি এটা আমাদের জন্য বেশ দুঃখজনক। সে রাতে প্রায় সেখানে একটি গরুর গাড়িসহ দুইটি মাইক্রো গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখেছিল। গরুর গাড়ি থেকে প্রায় প্রত্যেকের কাছে অনেক টাকা ছিল যেহেতু সকলে গরুর ব্যবসা ছিল আসলে ব্যবসার ক্ষেত্রে অনেক টাকা প্রয়োজন কিন্তু সেসব টাকাগুলো হাতে করেই গরু কিনতে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাকার দলের বেশ কিছু সদস্য গরুর ব্যাপারেদের মারধর করে টাকাগুলো সব কেড়ে নিয়েছিল। সেখানে থাকা ডাকাত দল তাদের মাথায় অস্ত্র ধরে সব টাকা এবং কেড়ে নিয়েছিল এবং দুইজন লোকের গায়ে দুইটা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছিল তাদের পিঠে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়েছিলাম আমরা। ডাকাতি করা শেষে ডাকাতি দল যখন মাঠ থেকে চলে যায় তখন সেই গাড়ির ওইখানে অনেক জোরে হর্ন বাজিয়ে এবং গ্রামের লোকজন যখন আমরা সেখানে গিয়ে পৌঁছায় সেখানকার লোকজনকে আমরা উদ্ধার করে আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
তারপরের দিন সকাল বেলায় তদন্তের জন্য এখানে জেলা থেকে ডিবি পুলিশ এবং এসপি অফিস থেকে এসপি এসেছিল। সেখানে প্রায় সারাদিন অভিযান চালানোর পরে কোন কিছু উদ্ধার করতে পারেনি। কিন্তু সেখানে ডাকাত দলের একটি মোবাইল ফোন পুলিশ উদ্ধার করতে পেরেছিল সেখান থেকে। মোবাইল ফোন পাওয়ার পরে সেই মোবাইল ফোন সন্ধান পাইছিল না কারো। দুইদিন পরে সেই মোবাইল ফোনের মালিক কে পুলিশ ধরতে সক্ষম হয়েছিল। যে মোবাইল ফোনটি ফেলে রেখে গিয়েছিল ডাকাত দলের একজন মানুষ। অবশেষে পুলিশ ডাকাত দলেরএকজনকে ধরতে পেরেছে সেদিন ধরে তারা ডিবি পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল। ডিবি পুলিশ তাকে একদিন রাখার পরে রিমান্ডে নিয়ে সব কথা সেই ডাকাতের মুখ থেকে বের করে নিয়ে এসেছিল ।এসব খবর আমরা সবকিছুই আমাদের থানা পর্যায়ের ফেসবুক পেজে দেখেছিলাম।
কিন্তু সেই ডাকাত দলের সেই ব্যক্তির কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে আমাদের এইখানে যে ডাকাতি হয়েছিল তাদের অস্ত্রগুলো এখানেই রাখা আছে। গত দুইদিন আগে পুলিশ ডাকাত দলের সেই সদস্যকে সাথে নিয়ে সে অস্ত্র উদ্ধার করার জন্য আমাদের এলাকায় এসেছিল। সত্যি অস্ত্র গুলা দেখে আমি বেশ ভয় পেয়েছিলাম পুলিশ যখন অস্ত্র উদ্ধারের জন্য অভিযান চালায় সেখানে প্রায় আশপাশে কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে পুলিশ অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে নিয়ে আবারো সে ডাকাত দলের সেই কর্মীকে গাড়িতে নিয়ে আবারো চলে গিয়েছিল। তারপরে দিন আমারে জানতে পেরেছি ডাকার দলের আরো আটজন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। সত্যি এটা যখন আমি জানতে পেরেছি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। আমি চাই দেশের যারা ক্ষতি করছে তাদের সব সময় আইনের আশ্রয় নিয়ে আসা হোক। বাড়ির পাশে এরকম একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছিল সত্যিই এই বিষয়টা আমি নিজেও বেশ ভয় পেয়েছিলাম। আপনারা সকলে সকলের নিজ নিজ জায়গা থেকে নিরাপদ স্থানে থাকার চেষ্টা করবেন এবং পাশের মানুষজনকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করবেন। আজকের পোস্টে এখানে শেষ করছি। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভ কামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছি। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা এবং ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে । স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
X-promotion