ক্রিটিভ রাইটিং (গল্প) // অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় বন্ধুর পা ভেঙে গেল
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২০-১২-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ক্রিটিভ রাইটিং (গল্প) // অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় বন্ধুর পা ভেঙে গেল । আজকে সকাল বেলা থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই মাছের পুকুরে গিয়েছিলাম মাছের খাবার দেওয়ার জন্য। মাছের খাবার দেওয়া শেষ করে এসে বেশ কিছু সময় বাড়িতেই ছিলাম। তারপরে হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা খেয়েছি। নাস্তা খাওয়ার পর বাড়িতেই বেশ কিছু সময় বসে ছিলাম দেখতেছি এখন হাতে কোন কাজ নেই তাই ভাবলাম রুমে গিয়ে আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করি। তাই চলে আসলাম রুমের মধ্যে পোস্ট লেখার জন্য তখনই মনে পড়ে গেল সেই দিনের ঘটনা। তাই ভাবলাম আপনাদের মাঝে আজকে বন্ধুর পা ভাঙ্গার গল্পটি শেয়ার করব। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক..........
প্রত্যেক বছরের ন্যায় এবারও আমাদের গ্রামে ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। আমাদের গ্রামে প্রত্যেকটা মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলে ১৬ই ডিসেম্বরের দিন গ্রামের স্কুলের ফিল্ডে বড় পরিসরের বিভিন্ন ধরনের খেলার আয়োজন করা হয়। এবার আমরা দিনের বেলায় সময় না পাওয়ার কারণে খেলা আয়োজন করেছিলাম রাতের বেলায়। আমরা প্রায় ১০ থেকে ১২ জন ছেলে এবার ১৬ই ডিসেম্বরের অনুষ্ঠানের আয়োজনের মূল ভূমিকা পালন করেছিলাম। গ্রামের ছোট-বড় প্রত্যেকের কাছ থেকে অল্প কিছু করে টাকা নিয়ে যারা খেলা খেলবে তাদের জন্য কিছু প্রাইজের ব্যবস্থা করেছিলাম এবং রাতে সেখানে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। আসলে গ্রামের সকলে যদি একসাথে কোন কিছু করা যায় সেখানে বেশ মজা আছে তবে এগুলো ম্যানেজ করতে আমরা বেশ কিছু মানুষ অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলাম। অবশেষে সন্ধ্যা বেলায় আমাদের সেই ১৬ই ডিসেম্বর উপলক্ষে খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
প্রথমে আমরা দিয়েছিলাম মেয়েদের চেয়ার খেলা। আসলে মেয়েদের চেয়ার খেলায় বেশ দারুন মজা হয়েছিল। তবে এখানে আমরা আমাদের এলাকা থেকে একজন উইনার খুঁজে পেয়েছিলাম। প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট চেয়ার খেলা খেলানোর পরে আমরা উইনার নাম ঘোষণা করতে পেরেছিলাম। চেয়ার খেলায় বিজয়ী হয়েছিলেন হানিফা নামের মেয়ে। আসলে আমরা প্রত্যেকটা খেলার প্রাইস খেলা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই দিয়ে দিয়েছিলাম। আসলে এখানে বাইরের গ্রাম থেকে অনেকে এসেছিল খেলায় অংশগ্রহণ করার জন্য এই কারণে আমরা প্রাইস সাথে সাথেই দিয়ে দিয়েছিলাম। চেয়ার খেলার প্রথম পুরস্কার ছিল একটি রাজহাঁস। এভাবেই রাতের আঁধারে ফিল্ডের চারি সাইডে লাইটিং করে বেশ দারুণভাবে খেলার আয়োজন করেছিলাম। সত্যি সেদিন আমরা সকলে মিলে বেশ মজা করেছিলাম।
তারপরে আমরা খেলা দিয়েছিলাম শক্তি পরীক্ষার। প্রথম দিকে শুধুমাত্র মেয়েদের খেলাগুলোই হয়েছিল। যেহেতু অনেক রাত হয়ে গেলে মেয়েরা আর থাকতে পারবে না এ কারণে মেয়েদের খেলা গুলো আগে শেষ করার চিন্তা ভাবনা নিয়েছিলাম আমরা। এবার ছিল মেয়েদের দড়ি টানাটানি খেলা। এখানে দুইটি দল অংশগ্রহণ করবে প্রত্যেকটি দলে পাঁচজন করে অংশগ্রহণ করতে পারবে। এখানে আমারও চিন্তাভাবনা নিয়েছিলাম প্রথমদিকে ননদ এবং ভাবিদের খেলা দিব। কিন্তু সেখানে আমরা অংশগ্রহণকারী খুঁজে পায়নি। পরে দুই দলে ভাগ করে পাঁচজন করে দেওয়ার পরে বেশ কিছু সময় দড়ি টানাটানি পরে এক দল বিজয়ী হয়েছিল। সত্যিই এখানে দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। এভাবে আমরা বেশ কিছু খেলা পর্যায়ক্রমে শেষ করেছিলাম।
যখনই ছেলেদের খেলা শুরু হয় তখনই প্রথম লং জাম্প খেলা দিয়েই শুরু করেছিলাম। বেশ কিছু ছেলে লং জাম্প মারার জন্য প্র্যাকটিস করছিল। আমাদের বন্ধু হাবিব লং জাম্প মারার জন্য যখন প্র্যাকটিস করছিল। ঠিক কয়েকটা লং জাম্প দেওয়ার পরে হঠাৎ একটি লং জাম্প দেওয়ার পরে সেখানে বসে পড়ে আর উঠতে পারে না। পরে দেখা যায় সেখানে মানুষ বলে তার পা ভেঙে গেছে সেখান থেকে একটা গাড়ি দেখে তার বাবা এবং মাকে সাথে নিয়ে হাসপাতালে উদ্দেশ্যে চলে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে বলে পা ভেঙে গেছে ভর্তি রাখতে হবে এবং ট্রিটমেন্ট দিতে হবে। তারপরে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছিল এবং আমরা সেই রাতে আবারো বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আসলে আমাদের বন্ধুর সাথে এরকম একটা দুর্ঘটনা ঘটে যাবে কখনোই ভাবতে পারিনি। আসলে তখন বেশ মনটা খারাপ হয়ে যায়। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা এবং ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে । স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://x.com/kibreay001/status/1869934813836390503?t=gWYaSOAx3KYdwQR7X8RTvg&s=19
বিষয়টি জেনে বেশ খারাপ লাগলো। আজকাল দুর্ঘটনার কোন বিশ্বাস নেই। কখন যে কারো জন্য দুর্ঘটনা নেমে আসবে সেটা কেউ বলতে পারে না। দোয়া করি আপনার বন্ধু যেন বেশ তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন। ধন্যবাদ ভাই এমন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এরকম খেলা গুলো খুব ভালো লাগে।১৬ ডিসেম্বরে এসব খেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। চমৎকার সুন্দর খেলা হয়েছে এবং অকাঙ্খিত ঘটনাও ঘটেছে দেখছি।আসলে দূর্ঘটনা কখন কার কি ভাবে ঘটবে বোঝা মুসকিল। পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আনন্দের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা দেখে অনেক খারাপ লাগলো।আসলে মানুষের কখন কিভাবে বিপদ হয় বলা যায় না। দোয়া করি আপনার বন্ধু যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠে। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।
আহারে! খেলতে খেলতেই যদি এমন একটি দুর্ঘটনা ঘটে যায়, তাহলে তো বেশ দুঃখজনক ব্যাপার। রগে টান খেলেও একটা বিষয় ছিলো, কিন্তু রীতিমতো ভেঙে গিয়েছে জেনে ভীষণ খারাপ লাগলো। তবুও ভোগান্তজ যতটুকু আছে কপালে, সেটা তো ভোগ করতেই হবে। আপনার বন্ধুর জন্য দোয়া রইলো যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়। এখন কটা দিন সম্পূর্ণ রেস্ট এই থাকা উচিত তার, তবেই জলদি সুস্থ হতে পারবেন।
পোস্ট পড়ে আপনার বন্ধুর জন্য অনেক খারাপ লাগলো। আসলে ভাইয়া বিপদ কখন কিভাবে আসে বুঝা মুশকিল। দোয়াকরি আপনার বন্ধু যেন তারাতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠে। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।