ভ্রমণ পোস্ট // সিলেট ভ্রমণের ২৯ তম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২০-০৯-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি সিলেট ভ্রমণের ২৯ তম পর্ব। আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে প্রত্যেক দিনের ন্যায় মাছের খাবারের বস্তা নিয়ে বাইকে পুকুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। পুকুরে গিয়ে মাছের খাবার দেওয়া শেষ করে আসার পথে হঠাৎ পুরনো এক বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে যায়। সেখানে বন্ধুর সাথে বেশ কিছু সময় দুজন আড্ডা এবং গল্পে মেতে উঠেছিলাম। তারপরে বাড়ি ফিরে সকালের নাস্তা খেয়ে বেশ কিছু সময় রুমে বসে ছিলাম। তারপরে অতিরিক্ত গরমের জন্য আমাদের পাড়ার ছেলেদের সাথে একটি মাচাল বানানোর কথা ছিল আমাদের বাগানের মধ্যে। দেখি কিছু সময় পরে আমাকে ফোন দিয়ে ডাকতেছে মাচাল বানানোর জন্য। তারপরে আমি বাড়ি থেকে সেখানে গিয়ে পাড়ার ছেলেদের সাথে বাঁশ কাটা থেকে শুরু করে অনেক কাজে সাহায্য করেছিলাম। মাচাল বানানোর শেষ না হতে জুম্মার দিনের আজান দিয়ে দিয়েছিল। তাই আমরা কাজ সেই পর্যন্ত রেখে বাড়িতে চলে আসলাম গোসল শেষ করে নামাজ আদায় করে এসে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রুমে এসে বসে গেলাম পোস্ট লেখার জন্য। তখন ছেলেরা আবারো ফোন দিয়েছে মাচাল বানানোর জন্য পেরেকের প্রয়োজন। আমি কিছু টাকা দিয়েছি সেগুলো দিয়ে তারা মাসল বানানোর সকল জিনিসপত্র কিনেছে। তারপরে বসে গেলাম পোস্ট লেখার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.......
আপনারা প্রথমে উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমি আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে তিনটি ছবি শেয়ার করেছি। আমি সিলেট ভ্রমণে যাওয়ার পর থেকেই প্রায় প্রত্যেক সপ্তাহে আপনাদের মাঝে সিলেট ভ্রমণের পোস্ট শেয়ার করে আসছি। আসলে সিলেট ভ্রমণ আমার জীবনে বেশ স্মরণীয় একটা মুহূর্ত। আসলে কলেজ লাইফে বন্ধুবান্ধব এবং কলেজের স্যারদের সাথে কোথাও ঘুরতে গেলে সেটা প্রত্যেকটা মানুষের জীবনেই বেশ স্মরণীয় হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে আমার কাছেও বেশ ভালোলাগার একটা সময় ছিল সিলেট ভ্রমণের মুহূর্তগুলো। সিলেট ভ্রমণে যাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত আমি সেখানে যেতে চেয়েছিলাম না শুধুমাত্র আমার বন্ধু পারভেজের অনুরোধে আমি সিলেট ভ্রমণে গিয়েছিলাম। আসলে ভ্রমণ করতে আমার কাছে ভালো লাগে তবে তখন বেশ টাকা পয়সার একটু সমস্যা ছিল। তারপরেও বাড়ি থেকে হেল্প নিয়েছিলাম এভাবেই সিলেট ভ্রমনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। সিলেট ভ্রমণে গিয়ে প্রথমে আমরা জাফলং দেখার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। জাফলং সেখানে গোসল করার জন্য বেশ সুন্দর জায়গা ছিল। আমরা সকলে যখন একসাথে পানির মধ্যে নেমে গোসল করেছিলাম কিন্তু পারভেজ পানিতে নেমে গোসল করতে ভয় পেয়েছিল। তাই উপরে থেকে বেশ কিছু ছবি পারভেজ ক্যামেরা বন্দি করেছিল। আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে পিছনে ইন্ডিয়ার ঝুলন্ত ব্রিজ দেখতে পারবেন। আসলে এই দৃশ্যটি আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল।
সিলেট জাফলং এ আমরা যখন গোসল করা শেষ করে সকলে এক জায়গায় ড্রেস চেঞ্জ করছিলাম তখন বেশ ইয়ার্কি আড্ডায় মেতে উঠেছিলাম। ড্রেস চেঞ্জ করার পরে আমরা সকলে মিলে সেখানে বসার মত বেশ কিছু নৌকা ছিল আমরা সকলে সেখানে বসে ছিলাম। নৌকার উপরে বসার পরে আমি এবং পারভেজ দুজনে অনেক সুন্দরভাবে কিছু ছবি উঠেছিলাম। তারপরে আমরা পাহাড়ের উপরে যখন উঠতেছিলাম জাফলং সেখানে একটি বিজেপি ক্যাম্প ছিল। বিজিবি ক্যাম্পের পাশেই ছিল ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশ বর্ডারের সীমান্ত। আমি সেখানে গিয়ে বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম। সেখানে আমাদের দেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী এবং ইন্ডিয়ার সীমান্ত রক্ষা বাহিনী তাদের দুই দেশের সীমান্ত খুব কড়া নজরদারিতে পাহারা দিচ্ছিল।। সেখান থেকে আমরা বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম তারপরে আমরা বিজিবি ক্যাম্পের উপরে গিয়েছিলাম। সেখানে দুপুরের খাওয়া দেওয়ার জন্য। এভাবে আমরা প্রায় পুরো দিন সেখানে অতিবাহিত করে দিয়েছিলাম। আসলে সিলেট ভ্রমণ আমার কাছে সত্যি বেশ স্মরণীয় একটা মুহূর্ত।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। নৌকায় যখন আমরা নদীর মধ্যে ভ্রমণ করতে ছিলাম তখন আমি বেশ কিছু ছবি আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করে রেখেছিলাম। সেখান থেকে আপনাদের মাঝে একটি ছবি শেয়ার করেছি। যেহেতু সিলেটে আমরা ৪-৫ দিনের জন্য গিয়েছিলাম তাই সেখানে থাকার জন্য আমাদের একটা হোটেল প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আমরা যেখানে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেখানে থাকার মত তেমন হোটেল ছিল না তাই আমরা সন্ধ্যার দিকে সিলেট শহরের উদ্দেশ্যে আবারো রওনা দিয়েছিলাম। সন্ধ্যা রাতে এসে আমরা হযরত শাহ্পরান (রা:) এর মাজার দেখেছিলাম। দেখা শেষ করে আমরা পাশে একটি হোটেল নিয়েছিলাম সেখানে আমরা রাত্রে যাপন করেছিলাম। রাতে আমাদের খাওয়া দাওয়ার প্রয়োজন ছিল। হোটেলের রুম নেওয়ার পরে আমরা গোসল শেষ করে ফ্রেশ হয়ে হোটেলের নিচে খেতে এসেছিলাম। আসলে প্রত্যেকটি রুমে আমরা প্রায় ৫ জন বন্ধু ছিলাম। একই রুমে যদি এত মানুষ থাকা যায়, তাহলে কি ঘুম হয়। তাতে আবার বন্ধু বান্ধব ছিলাম তাই ঘুম এসেছিল না সারারাত সকালে ইয়ার্কি আড্ডার সাথে কাটিয়েছিলাম। আজকের লেখা পোস্ট এখানে শেষ করছি। আশা করি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
শ্রেণী | সিলেট ভ্রমণ |
---|---|
ডিভাইস | oppo f21s pro / ডিএসএলআর |
লেখক | @kibreay001 |
লোকেশন | সিলেট |
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/GKibreay/status/1837064518381490457
আজকে আপনি আবারো আমাদের মাঝে সিলেট ভ্রমণের আরো একটি পর্ব শেয়ার করেছেন। আপনার আজকের এই পর্ব থেকে বেশ অনেক কিছু জানার সুযোগ হয়েছে আমার। আসলে সিলেট অনেক সুন্দর একটি জায়গা। আর এই জায়গায় ঘুরতে গেলে বেশ অনেক কিছু দেখা সম্ভব হয় এবং ভালো লাগে। আজকেও ঠিক তেমনি অনেক কিছু দেখার সুযোগ মিললো।
চেষ্টা করি মামা প্রত্যেক সপ্তাহে সিলেট ভ্রমণের পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বন্ধু তুমি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছ। আজকে তুমি আমাদের মাঝে সিলেট ভ্রমণের আরো নতুন একটি পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছ। তোমার এর আগের পর্ব গুলো আমি সব দেখেছি। তাই আজকে আবারো নতুন একটি পর্ব দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। পানির মধ্যে তোলা ছবিটি কিন্তু দারুণ লাগছে। এত সুন্দর ছবি তুললে তো মেয়েরা এমনিতে ক্রাশ খেয়ে যাবে। হা হি । ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত তুলে ধরার জন্য।
সিলেট ভ্রমণের অনেকগুলো পর্ব আপনি একের পর এক আমাদের মাঝে শেয়ার করে চলেছেন। আমি কিন্তু এর আগে আপনার অনেকগুলো পর্ব লক্ষ্য করে দেখেছি বেশ ভালো লেগেছে। অচেনা জায়গা সম্পর্কে ধারণা পেতে আমার ভালো লাগে। আজকে ঠিক তেমনি একটি পোস্ট দেখার মধ্য দিয়ে আবারো দেখার সুযোগ মিললো। খুব ভালো লাগলো সিলেটের এমন সুন্দর জায়গা দেখে।
ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান মতামত তুলে ধরার জন্য। চেষ্টা করছি আমি আমার পোস্টগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভ্রমণের মুহূর্তগুলো খুবই সুন্দরভাবে উপভোগ করেছেন। এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে সিলেট ভ্রমণের ইচ্ছা আমার রয়েছে।
সত্যি ভাই বেশ দারুন উপভোগ করেছিলাম।
দেখতে দেখতে আপনার পূণ্যভূমি সিলেট ভ্রমনের ২৯ তম পর্ব পড়ে ফেললাম। আসলে সিলেট হলো বাংলাদেশের সব থেকে সুন্দর জায়গা। জাফলং নদীতে পানিতে নামলে দারুন লাগে। পানিটাও অনেক ঠান্ডা। ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাই জাফলং সত্যি আমার কাছে বেশ দারুন লেগেছিল।
আজকে আপনি সিলেট ভ্রমনের আরও একটি সুন্দর পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ আপনার কাছ থেকে প্রতিনিয়ত এই ভ্রমণের একের পর এক সুন্দর পর্ব গুলো দেখে আসছি৷ আজকেও সুন্দর একটি পর্ব দেখতে পেলাম৷ আজকের এই পর্বের মধ্যে আপনি অনেক কিছুই ফুটিয়ে তুলেছেন৷ এখানে আপনি খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফিও শেয়ার করেছেন৷ পরবর্তী পর্বের আশায় রইলাম৷
চেষ্টা করেছি আপনাদের মাঝে প্রত্যেকটি পর্ব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য।
আসলে সিলেটে অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে। জাফলং আমার খুব পছন্দের একটি জায়গা। তাছাড়া ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর জায়গাটাও নাকি খুব সুন্দর। যদিও ভোলাগঞ্জ কখনো যাওয়া হয়নি আমার। যাইহোক আপনারা দেখছি জাফলং ঘুরে, তারপর শাহপরান মাজারে গিয়েছিলেন। আমিও বেশ কয়েকবছর আগে শাহজালাল এবং শাহপরান মাজারে গিয়েছিলাম। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক ভাই ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর জায়গাটাও বেশ চমৎকার দেখতে। সব মিলিয়ে সিলেট ভ্রমণ বেশি দারুন উপভোগ করেছিলাম।