পিঁয়াজু বড়া খাওয়ার কিছু মুহূর্ত
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২০-০২-২০২৫)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি পিঁয়াজু বড়া খাওয়ার কিছু মুহূর্ত। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে বেশ কিছু সময় মোবাইল ফোন টিপাটিপি করেছিলাম। বিছানা ছেড়ে উঠে হাতমুখ ধুয়ে হালকা একটু নাস্তা খেয়ে একটু নিচের দিকে হাঁটতে গিয়েছিলাম। আসলে সব সময় রুমের মধ্যে বসে থাকতে ভালো লাগে না গ্রামে যখন ছিলাম সারাদিন বাইরে বাইক নিয়ে ঘোরাঘুরি করতাম এটাই ছিল কাজ কিন্তু এখানে এসে পুরো ঘরবন্দী হয়ে গিয়েছি বললেই চলে। দেখতে দেখতে একমাস সময় অতিবাহিত হয়ে গেল সত্যি পিছনের সময় গুলোর দিকে তাকালে একটু অবাক লাগে আমার। আগের দিনগুলো কত টাই না সুন্দর ছিল বন্দী জীবন কারো ভালো লাগেনা। বাইরে থেকে একটু ঘোরাঘুরি শেষ করে রুমে এসে বসে পড়লাম আপনাদের মাঝে পোস্ট লেখার জন্য। পোস্ট লেখার আগে মোবাইলের গ্যালারিতে ছবি খুঁজতে গিয়ে অনেকদিন আগের বড়া খাওয়ার কিছু মুহূর্ত রয়েছে সেগুলো দিয়েই ভাবলাম আজকে পোস্ট শেয়ার করব এবং আজকের পোস্টে কিছু গল্প আছে সেই গল্পগুলো তুলে ধরব। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক..........
আপনার উপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আপনাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে দুটি ছবি আমার মোবাইলে ক্যামেরা বন্দি করে শেয়ার করেছি। আমি আজকে আপনাদের মাঝে পিঁয়াজু বড়া খাওয়ার কিছু মুহূর্ত তুলে ধরতে চলে এসেছি। আসলে আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে এই পিঁয়াজু বড়া পাওয়া যায়। আপনারা সকলে জানেন আমাদের এলাকায় রকি ভাই সহ পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছিল। সত্যি রকি ভাই আমাদের এলাকায় প্রায় এক সপ্তাহ ছিল সেই এক সপ্তাহ আমরা সকলে মিলে বেশ দারুণ মজা করেছিলাম। প্রায় প্রত্যেকদিন আমরা বাইক নিয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বেড়াতাম এবং আমাদের এলাকার সৌন্দর্য কিছুটা হলেও দেখানোর চেষ্টা করেছি। একদিন বিকেল বেলায় আমরা সকলে মিলে যখন বড়া খেতে এসেছিলাম রকি ভাইয়ের কাছে আমাদের এলাকার এই বড়া খুবই ভালো লেগেছিল এখনো ভাইয়ের সাথে মাঝে মাঝে ফোনে কথা বলে ভাই সেই বাড়ার কথা বলে আমাকে। আসলে আমাদের এলাকা থেকে এবং অনেক দূর দূরান্ত থেকে মানুষ যায় সেখানে বড়া খাওয়ার জন্য আসলে খুবই ভালো মানের বড়া তৈরি করে তারা। আমি যখন বাড়িতে ছিলাম তখন প্রায় দিন সন্ধ্যাবেলায় বাইক নিয়ে বের হয়ে যেতাম বড়া খাওয়ার জন্য। এই ছবিগুলো তখনই আমি আমার মোবাইলে ক্যামেরা বন্দী করে রেখেছিলাম।
আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে আবারও দুটি চমৎকার ছবি দেখতে পারবেন আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে সেখানে গিয়ে বড়া খেতে হলে অনেক সময় সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় আসলে অনেক দূর দুরান্ত থেকে অনেক মানুষ আসে সেখানে এবং অনেক ভিড় হয়। তাই সেখানে আমরা যখন বড়া খেতে যেতাম এবং সিরিয়ালে যখন দাঁড়িয়ে থাকতাম তখনই আমি কিছু ছবি আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দী করে রাখার চেষ্টা করেছি ভেবেছিলাম আপনাদের মাঝে পরবর্তীতে শেয়ার করব। তবে এখানে যে লোক বড়া ভাজ ছিল ঐদিন আমাদের চমৎকার একটি জিনিস দেখিয়েছিল। গরম তেলের মধ্যে যখন বড় ভাজা হচ্ছিল গরম তেল থেকে হাত দিয়ে বড় তুলে নিজে খেয়েছিল এবং আমাদের সকলকে দেখেছি এই মুহূর্তটা ছিল আমার কাছে সত্যি বেশ দুর্দান্ত। আসলে গরম তেলের মধ্যে থেকে হাত দিয়ে বড়া তোলা সত্যি নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস হওয়ার কথা না। যেহেতু আমি নিজে চোখে দেখেছিলাম তাই আপনাদের মাঝে উপস্থাপনা করছি। গরম গরম পিঁয়াজু বড়া খেতে সত্যি আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে তাই প্রায় প্রতিনিয়তই দেশে থাকতে এবং গ্রামের বাড়িতে থাকতে সেখানে বড়া খেতে যাওয়া হত এবং এই মুহূর্তগুলো ছিল আমার জন্য দুর্দান্ত আর সেই মুহূর্ত কখনো ফিরে পাব কিনা সেটা এখন ভাবি দূর প্রবাসে বসে।
আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারও খুবই সুন্দরভাবে দুইটি ছবি ক্যামেরা বন্দি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। সেখান থেকে আমরা দুইজন গিয়েছিলাম বড়া খাওয়ার জন্য তাই ২০০ গ্রাম বড়া নিয়েছিলাম মাত্র ৬০ টাকা দিয়ে। সেখানে বসে আমরা বড়া খাওয়া শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে প্রায় সন্ধ্যা রাত ছিল। যখন বাড়ি ফিরছিলাম তখন হঠাৎ মাঠের মধ্যে পুলিশে আমাদের বাইক দাঁড় করিয়েছিল। যেহেতু আমাদের এলাকা হচ্ছে ভারত সীমান্তের পাশে তাই সীমান্ত থেকে নাকি মাদকদ্রব্য পাচার হবে এরকম একটি ইনফরমেশন ছিল। আমাদের যখন সেখানে দাঁড় করিয়েছিল সত্যি আমরা একটু ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম প্রথমে। তারপরে আমাদের পুরো বডি চেক আপ করেছিল তারপরে আমাদেরকে সেখানে বেশ কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। যেহেতু আমারে দুইজন ছিলাম তাই দুইজনার দুই জায়গায় দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল দুইজনের কথাই মিল আছে কিনা। পুলিশে তারপরে আমাদের সেখান থেকে ছেড়ে দেয়। এভাবেই তারপর থেকে আমি আর কখনোই সন্ধ্যার সময় বড়া খাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়নি। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা এবং ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে । স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness

OR
https://x.com/kibreay001/status/1892425302376132940?t=4EalbpkZ_vanrM4LGGsGAw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে এই মোবাইলের গ্যালারি থেকে দারুন কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করেছেন। অনেকদিন আগে রকি ভাইয়ারা আপনাদের বাড়িতে বাড়িতে এসেছিল আর তাদেরকে নিয়ে বিকেলবেলা পিঁয়াজু খেতে গিয়েছিলেন। সেই মুহূর্তটা আজকে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। গরম গরম পিঁয়াজু খেতে ভীষণ মজা লাগে। ধন্যবাদ মুহূর্তটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এই জায়গার বড়া খেতে আসলেই অনেক বেশি সুস্বাদু হয়। আমার কাছে মনে হয় এটা আমাদের এলাকার মধ্যে বিখ্যাত একটা বড়ার দোকান। আমি অনেকবার এখান থেকে বড়া কিনে খেয়েছি।
সকালের শুরুটা দারুণ করলেন। মোবাইলের গ্যালারি থেকে এত সুন্দর কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। রকি ভাইদের সঙ্গে বিকেলের সেই পিঁয়াজু আড্ডার স্মৃতির মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
পিঁয়াজ দিয়ে এমন বড়া খেতে সব সময় ভালো লাগে। বিশেষ করে মুড়ি দিয়ে যদি খাওয়া যায় তবে তো কথাই নেই। বাড়িতে মুড়ি হলে মাঝে মাঝেই আমরা এমন ধরনের পেঁয়াজের বড়া তৈরি করে ফেলি। আপনি খুব সুন্দর করে সেই পেঁয়াজির রেসিপি তৈরি করে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন।
বাইরের দেশে গিয়ে নিজের দেশের এই জিনিসগুলোর কথা মনে পড়লে সত্যিই অনেক খারাপ লাগে। সেখানে চাইলেও এরকম মুহূর্ত গুলো পাওয়া যায় না। ভালো লাগলো আপনার আজকের পোস্ট পড়ে। এরকম পেঁয়াজু খেতে সত্যিই ভালো লাগে। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
পিঁয়াজু বড়া খাওয়ার সুন্দর একটা মুহূর্ত আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এটা দেখে অনেক ভালো লাগলো আমার কাছে। সকাল সকাল এই বড়া গুলো দেখে আমার তো খেতে ইচ্ছে করছে। আসলে আমরা যে কয়দিন থেকেছিলাম অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি। ধন্যবাদ এটা শেয়ার করার জন্য।