লাইফ স্টাইল // ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ফুল কেনার অনুভূতি

আছসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ফুল কেনার অনুভূতি। আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে হালকা একটু নাস্তা খেয়ে প্রথমেই কোচিং এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। কোচিংয়ে যাওয়ার সময় বেশ কিছু সময় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল। অবশেষে আজকে কোচিং এ গিয়ে পৌঁছাতে ১০ মিনিট লেট হয়ে গিয়েছিল। আমি যখন কোচিংয়ে ছিলাম তখন দেখে আমার কাকা আমাকে ফোন দিয়েছে। কাকা গাংনীতে গিয়েছে আসার পথে আমাকে নিয়ে আসবে বলে ফোন দিয়েছিল। পরে আমি ফোন ধরে কাকাকে বলেছিলাম আপনি কিছু সময় বাজারে অপেক্ষা করেন আমি আধা ঘন্টা পরে আপনার সাথে দেখা করছি। কোচিং শেষ করে আমি কাকার সাথে দেখা করেছিলাম। তারপরে আমরা দুজন হোটেলে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাড়ি ফেরার সময় অল্প কিছু আঙ্গুর ফল কিনেছিলাম। তারপরে আমরা দুজন আবারও বাইক নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে আপনাদের মাঝে অল্প কিছু সময় যুক্ত হয়েছিলাম তারপরে আবারও বাইক নিয়ে বের হয়েছিলাম ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। এভাবে প্রায় সারাদিন অতিবাহিত হয়েছে। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক........

আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমি এবং আমার বড় ভাই গাংনী বাজারে গিয়েছিলাম টুইস্টার ফুল মেলাতে ফুল কেনার জন্য। আমরা দুজন সন্ধ্যার পরে বাইক নিয়ে বের হয়েছিলাম ফুল কেনার জন্য। তার বেশ কিছুক্ষণ সময় পরে আমরা যখন গাংনীতে গিয়ে পৌঁছালাম। পৌঁছানোর পরে একটি চায়ের দোকানে আমরা দুই ভাই চা খেতে গিয়েছিলাম। তারপরে আমরা ঝালমুড়ি এবং চিকেন ফ্রাই খেয়েছিলাম। আমার ভাইয়া আমার ভাবীর জন্য একটি চিকেন ফ্রাই কিনে প্যাকেট করে নিয়েছিল। তারপরে ভাইয়া বেশ কিছু সময় ভাবির সাথে মোবাইলে কথা বলেছিল। এভাবে আমরা বেশ কিছু সময় গাংনী বাজারে অপেক্ষা করেছিলাম। আসলে ভাইয়া আমাকে বাড়ি থেকে আসার সময় বলে এসেছিল আজকে ফুল কিনে নিয়ে এসে তোমার ভাবিকে আবারো নতুন করে প্রপোজ করতে হবে। আমি তো এই বিষয়ে পুরো সম্মতি জানিয়েছিলাম ভাইয়াকে। আসলে একে অপরের প্রতি বিশ্বাস রেখে ভালোবাসাই হচ্ছে সবথেকে মধুর সম্পর্ক।

ভাইয়া বেশ কিছু সময় ভাবির সাথে কথা বলার পরে আমরা দুজন মিলে আমাদের গাংনী বাজারের টুইস্টার ফুল মেলার দিকে রওনা দিয়েছিলাম। আমাদের বাজারে মূলত কয়েকটি ফুলের দোকান রয়েছে তার মধ্যে টুইস্টার ফুল মেলা হচ্ছে সব থেকে ভালো একটি ফুলের দোকান। এই দোকানটি দুই যমজ ভাই পরিচালনা করে। সত্যি তাদের দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। বেশ কিছু সময় বাড়িতে আসার পর আমরা টুইস্টার ফুল মেলাতে এসে পৌঁছে গিয়েছিলাম। তারপর আমি বাইক থেকে নেমে বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম সেগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আপনার প্রথমে উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন দুই ভাই অনেক সুন্দর ভাবে প্রত্যেকের চাহিদা মত ফুল দিয়ে অনেক কিছু বানিয়ে দিচ্ছে। আমরা মূলত ফুল দিয়ে ভাবীর মাথার একটি টায়রা বানিয়েছিলাম এবং একটি গোলাপ ফুলের স্টিক কিনেছিলাম। তারপর আমি দেখতে পেলাম সামনে রজনীগন্ধা ফুলের স্টিক রয়েছে। দুই কালারের রজনীগন্ধা ফুল দেখতে আমার কাছে সত্যি বেশ ভালো লেগেছিল।

আপনারা এবার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। ফুল কেনা শেষে আমরা দুজন ফুলের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে বেশ দারুন ভাবে একটি সেলফি তুলেছিলাম সেটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। ১৪ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে আমাদের গাংনীতে প্রত্যেক বছর টুইস্টার ফুল মেলার পক্ষ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি কনসার্টের আয়োজন করা হয়ে থাকে। আপনারা দেখতে পারছেন কনসার্টের মঞ্চ বেশ আগে থেকে তৈরি করা হয়েছিল। আসলে আমি এবার কনসার্টে গিয়েছিলাম না গ্রামে মাহফিল থাকার কারণে। অবশেষে আমরা টুইস্টার ফুল মেলা থেকে ফুল কিনে আবারও বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আশা করি আজকের পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।