আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি
@kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি অবশেষে কোচিং থেকে বিদায় নিয়ে শেষ করলাম। আসলে বিদায় কথাটা অত্যন্ত দুঃখের কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সবাইকে পর্যায়ক্রমে বিদায়ের পথ পাড়ি দিতে হবে। সেই ধারাবাহিকতায় গত কয়েকদিন আগে আমরা বিদায় অনুষ্ঠান শেষ করেছি। আসলে আজকে সকালবেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করেছিলাম। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে প্রায় দশটা পর্যন্ত লেখাপড়া করেছিলাম। তারপরে বাড়ির কাজের জন্য একটু বাইরে বের হয়েছিলাম। কিছু সময় পর বাড়িতে এসে আবারো লেখাপড়ার জন্য বসে ছিলাম। লেখাপড়া শেষ করে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ভাবলাম আপনাদের মাঝে একটা পোস্ট শেয়ার করি। তাই পোস্ট লেখার জন্য বসে গেলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক......
আমি প্রথমে আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছি আমাদের বিদায় অনুষ্ঠানের কেক। তারপরে বিদায় অনুষ্ঠানের ব্যানার। আসলে বিদায় অনুষ্ঠানের জন্য আমাদের সকলকে অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়েছিল। প্রত্যেক স্টুডেন্ট এর কাছ থেকে টাকা তোলা সহ বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজনের সবকিছু দায়িত্ব আমাদের কয়েকজনের উপর দেওয়া হয়েছিল। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকটা দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করতে পেরেছিলাম এটা সবথেকে আমার কাছে ভালো লেগেছিল। আসলে আমি এটা বুঝে উঠি না যে কোন জায়গায় যদি কোন অনুষ্ঠান হয় আমি যদি সেখানে থাকি সে অনুষ্ঠানের বেশিরভাগ দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়। চেষ্টা করি সেগুলো নিজের জায়গা থেকে ঠিকঠাক মতো পালন করার জন্য।
আপনারা এবার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমাদের প্রত্যেক ছেলে এবং মেয়েকে বিদায় অনুষ্ঠান উপলক্ষে একটি করে সাদা গেঞ্জি দেওয়া হয়েছে কোচিং সেন্টারের পক্ষ থেকে। গেঞ্জিটা অনেক সুন্দর ভাবে কোচিং সেন্টারের লোগো তৈরি করা ছিল। প্রত্যেকের যখন গেঞ্জি দেওয়া হয়েছিল তখন আমরা যখন নিজেদের ড্রেস চেঞ্জ করছিলাম তখন অনেক সুন্দর ভাবে বন্ধুদের সাথে একটি সেলফি তুলে রেখেছিলাম সেটিও আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে বিদায় কথাটা অনেক বেদনার হলেও দিনটা আমরা বন্ধুদের সাথে অনেক সুন্দর ভাবে আনন্দের সাথে উদযাপন করেছিলাম।
আমাদের সকল বন্ধু-বান্ধবের যখন ড্রেস চেঞ্জ সম্পন্ন হয়েছিল তখন আমাদের কোচিং সেন্টারের পক্ষ থেকে স্যাররা এসে আমাদের গেঞ্জিতে অনেক সুন্দর ভাবে মার্কারি দিয়ে সাইন করে দিয়েছিল। কোচিংয়ে আমার পছন্দের বেশ কয়েকজন স্যার ছিল আসলে প্রত্যেকের গেঞ্জিতে একজন করে স্যার সাইন করছিল। কিন্তু আমার গেঞ্জিতে দুইজন স্যার সাইন করেছিল সত্যি এটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। কোচিং সেন্টার এর মধ্যে অনুষ্ঠান শেষে আমরা ফটোশুট করার জন্য কোচিং সেন্টারের বাইরে এসেছিলাম। সেখানে একজন স্যারকে আমরা রেখে অনেক সুন্দর ভাবে ছবি তুলেছিলাম। সবার শেষে আমরা খাওয়া-দাওয়া করেছিলাম স্যারদের সাথে। আসলে দিনটা সত্যি বেশ আনন্দের সাথে উদযাপন করেছিলাম। আজকের মত এখানেই শেষ করছি পোস্ট লেখা। আশা করি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে ।সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/GKibreay/status/1806270847390458280
বিদায় অনুষ্ঠানের কেক ব্যানার সবকিছু অনেক সুন্দর ভাবে আয়োজন করেছেন । বিদায় অনুষ্ঠানে সবাই একত্রে একটি স্যারকে নিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি ধারণ করেছেন। সবাই মিলে এভাবে বিদায় দেওয়ার মুহূর্তটা যেমন ভালো লাগে পরবর্তীতে এই মুহূর্তটা ভাবতে অনেক ভালো লাগে। বন্ধুরা সবাই একই রকম ড্রেস করেছিলেন এবং সেখানে আপনাদের স্যাররা সাইন করে দিয়েছিল আপনার গেঞ্জিতে দুইটি স্যার সাইন করেছিল। সব মিলিয়ে বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্ট ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান গঠনমূলক মতামত শেয়ার করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
বিদায় অনুষ্ঠানে খুব সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করলেন ভাইয়া। আপনাদের পরীক্ষা তো খুবই কাছে আসলো। আপনারা সবাই একসাথে এত সুন্দর একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেন। সবাইকে বিদায় দিলো কলেজ থেকে। খাওয়া-দাওয়া করলেন কেক কেটে আনন্দ করলেন অনেক ভালো লাগলো। তবে বিদায় মুহূর্তটি খুবই কষ্টদায়ক। সবার জন্য শুভকামনা রইল।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি আসলে বিদায় মুহূর্তটা অনেক কষ্টদায়ক।
আজ আপনার কোচিংয়ের এইচএসসি বিদায় অনুষ্ঠান দেখে ভালো লাগলো। বিদায় অনুষ্ঠানে ব্যানার লাগিয়ে কেক কেটেছেন সকলে মিলে। আসলে এটা খুব আনন্দের একটি মুহূর্ত। আর এই সব কিছু আয়োজনের দায়িত্ব আপনার কাঁধে। আসলে সবাই দায়িত্ব নিতে পারে না। যেমন আমি কোন কিছুর দায়িত্ব নিতে পারি না। দায়িত্ব নিতে গেলে ভুল করে বসবোই। আপনি খুব সুন্দর ভাবে কোচিংয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
আসলে এত কিছু দায়িত্ব আমার পক্ষে একা নেওয়া সম্ভব ছিল না তাই আমার সাথে দুইজন বন্ধু ছিল। এমনিতে যেখানে যাই সেখানকার সব কিছু দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয় এটা আমি বুঝে উঠি না। ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত শেয়ার করে পাশে থাকার জন্য।
কিবরিয়া ভাই! আপনার পোস্টটি পড়ে সত্যিই মনটা ভরে গেল। বিদায় অনুষ্ঠান সম্পর্কিত আপনার অভিজ্ঞতা এবং স্মৃতিগুলো খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন। এমন মুহূর্তগুলো সত্যিই জীবনের অন্যতম মধুর স্মৃতি হয়ে থাকে। আপনার এবং আপনার বন্ধুদের একতাবদ্ধতা এবং আনন্দের দিনটির প্রতিটি বিবরণ অত্যন্ত চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন। আশা করি, ভবিষ্যতেও আপনার এমন অনেক আনন্দময় মুহূর্ত আসবে। সকলের জন্য শুভকামনা রইল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য!
[@redwanhossain]
ঠিক বলেছেন ভাই আসলে ইন্টার লাইফের এই বিদায় অনুষ্ঠানটা প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের একটা স্মৃতি হয়ে থাকে।
আসলেই বিদায়টা অনেক দুঃখের,আবার আনন্দেরও।আমার ও মনে পরে গেলে সেই দিনের কথা।ভালোই তো আপনার গেঞ্জি তে দুইজন সাইন করেছে।ভালো লাগলো। ধন্যবাদ
আসলে এটা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল প্রত্যেকের গেঞ্জিতে একজন স্যার সাইন করেছিল কিন্তু আমার গেঞ্জিতে দুইজন স্যার সাইন করেছিল।
বিদায় সব সময় ই বিষাদের। সেটা যে কোন বিদায়ের ই হোক না কেন। আমাদের সময় এই রকমটা ছিলো না, এতো জমজমাট বিদায় তখন হতো না। যাই হোক আপনার বিদায় অনুষ্ঠানের এর পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো।
সময়ের পরিক্রমায় সামনের দিনের বিদায় অনুষ্ঠানগুলো হয়তো আরো জমজমাট হয়ে উঠবে। ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।