ঈদুল আযহা উপলক্ষে আমাদের এলাকায় রাত্রিকালীন ফুটবল ম্যাচ
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৪-০৬-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ঈদুল আযহা উপলক্ষে আমাদের এলাকায় রাত্রিকালীন ফুটবল ম্যাচ। আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। গতকাল রাতে আমার বাসাতে একজন স্যার এসেছিল আমাকে পড়ানোর জন্য। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে স্যারের সাথে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমি এবং স্যার দুজনেই কোচিং এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম বাড়ি থেকে। আসলে আজকে আমাদের কোচিংয়ে বিদায় অনুষ্ঠান ছিল। বিদায় অনুষ্ঠান থাকার কারণে ও আমাদের কোচিংয়ে পড়া বন্ধ রাখা হয়েছিল না। প্রথমে আমরা কোচিংয়ে সকল পড়া শেষ করেছিলাম তারপরেই বিদায় অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। কোচিংয়ে বিদায় অনুষ্ঠান শেষ করতে প্রায় বারোটা বেজে গিয়েছিল। বাড়িতে এসে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে হালকা একটু রেস্ট নেওয়ার পরে ভাবলাম আপনাদের মাঝে আজকে একটা পোস্ট শেয়ার করি। আসলে আমার ইন্টার ফাইনাল পরীক্ষার কারণে কিছুদিন আমি ছুটি নিয়েছি তাও চেষ্টা করব নিজেকে একটিভ লিস্ট ধরে রাখার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.....
ঈদুল আযহা উপলক্ষে আমাদের এলাকায় রাত্রিকালীন ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছিল। আসলে আমাদের গ্রামের সকলেই ফুটবলপ্রেমী মানুষ। প্রত্যেক বছর আমাদের গ্রামের মানুষ সকলে যখন এক জায়গায় হয়ে থাকে তখন এরকম একটা যেকোন টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়ে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার আমরা ফুটবল খেলা খেলেছিলাম রাত্রে বেলায়। ফুটবল ম্যাচ আবার দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। প্রাইমারি স্কুল থেকে হাইস্কুল পর্যন্ত ছোট দল। এবং বড় দল ছিল আলাদা। আপনারা যে ছবিটা দেখতে পারছেন এটা হচ্ছে ছোট দলের খেলা। আসলে ছোট দলের ফুটবল খেলা দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। ছোট দলের খেলা মধ্যে কোন গোল হয়েছিল না দুই দলই বেশ ভালো খেলা উপহার দিয়েছিল। অবশেষে টাইব্রেকার এর মাধ্যমে নীল জার্সি পরিহিত দল জয় লাভ করেছিল।
বেশ কিছু সময় এক জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলা দেখার পরে হঠাৎ আমি দেখতে পারি মুস্তাফিজুর মামা ছাদের উপর দাঁড়িয়ে খেলাটি অনেক সুন্দরভাবে ভিডিও করছিল। আমি তখন অনেক সুন্দর ভাবে মুস্তাফিজুর মামার একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম। আসলে ছোটদলের একজন প্লেয়ার বেশ দারুন একটা বল মেরেছিল বলে কিন্তু সে বলটি বার পোস্টে লেগে ফিরে যায় দুর্ভাগ্যবশত আর গোল হয় না। এভাবেই খেলা সামনের দিকে এগোতে থাকে। তবে দুই দল আমাদের মাঝে বেশ দারুণ খেলা উপহার দিয়েছিল। আসলে খেলায় অংশগ্রহণকারী দুই দলকেই পুরস্কৃত করা হয়েছিল এই ক্ষেত্রে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। হার জিত বড় কথা নয় বড় কথা গ্রামের সকল মানুষকে ঈদের পরের দিন আমরা এরকম একটা খেলা উপহার দিতে পারছি এটাই সবথেকে বড় কথা।
আসলে গ্রামে যদি এরকম খেলা হয়ে থাকে সত্যি দেখতে নিজের কাছেই বেশ ভালো লাগে। তবে খেলায় আমি নিজে অংশগ্রহণ করতে না পেরে বেশ দুঃখ প্রকাশ করেছিলাম। আসলে কয়েকদিন আগে মাজায় ব্যাথার কারণে দুইদিন হসপিটালে ভর্তি ছিলাম এই কারণে খেলায় আমি অংশগ্রহণ করেছিলাম না তবে খেলার মূল ভূমিকা পালন করেছিলাম। আসলে বাড়ি থেকে খেলা দেখতে যাওয়ার জন্য নিষেধ করা হয়েছিল ভেবেছিল খেলা দেখতে গেলে আমি হয়তো খেলা খেলার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে মাঠে উঠে পড়বো। তবে বাড়িতে আমি কথা দিয়ে গিয়েছিলাম আমি এরকম পরিস্থিতিতে খেলা খেলবো না। আসলে আমার ফুটবল খেলা অত্যন্ত প্রিয় একটি খেলা। এই ফুটবল খেলার জন্য আমি অনেক সময় বাবা মায়ের হাতে অনেক মার খেয়েছি এবং বকা খেয়েছি।
সবার শেষে যখন ট্রফি বিতরণ করা শেষ হয়ে গিয়েছিল। তখন আমরা সকলে মিলে উদযাপনে ফেটে পড়েছিলাম। সকলের ট্রফি হাতে অনেক সুন্দর ভাবে আমি ছবি তুলেছিলাম। কয়েকটি ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। ট্রফি বিতরণ করা শেষে আমরা সকলে মিলে বক্সের তালে তালে বেশ দারুন ভাবে গানের আওয়াজের নিচে ছিলাম। আমরা চাই প্রত্যেক বছর আমাদের এলাকায় এরকম ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করা হোক। এই সকল আয়োজনের জন্য অনেক ব্যয়বহুল খরচ তবে এই সকল খরচ বহন করেছিল আমাদের গ্রামের যুব সংঘ কমিটি। আশা করি সামনের দিন আমরা আরো দারুন কিছু উপহার দিতে পারব আমাদের যুব সংঘ কমিটিকে। আজকের পোস্ট লেখা এখানেই শেষ করছি সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ইন্টার ফাইনাল পরীক্ষা এর মধ্যে আপনি কাজ করতে পারছেন তাই অনেক।যাই হোক আপনার জন্য শুভ কামনা। আসলেই এমন মাঝে মাঝে খেলার আয়োজন করলে দেখতে বেশ ভালোই লাগে।আর যদি হয় রাতে তাহলে তো কথায় নেই। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
যেহেতু আপনার পরীক্ষা সামনে তাই অনেক ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বুঝতে পারছি ভাইয়া। তবে ঈদের সময় সবাই গ্রামের দিকে চলে আসে। আর সেই সময় দারুন একটা আয়োজন করা হয়েছে দেখে ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন আপু পরীক্ষা সামনে খুবই ব্যস্ত সময় যাচ্ছে।
যদিও খেলাটি আমি সরাসরি দেখিনি তারপরও ভিডিও গুলো দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। যদি ছোট ছেলে না থাকতো তাহলে আমি খেলাটা দেখতে যেতাম। পুরো খেলার মাঠ দেখে যেন মনে হচ্ছিল এটা কোন একটা স্টেডিয়াম।
ঠিক বলেছেন রাতে খেলার মাঠে দেখে মনে হয়েছিল পুরো একটা স্টুডিয়াম।
আসলে নিজ থেকে ভালোভাবে ফটোগ্রাফি ধারণ করা হচ্ছিল না তাই ছাদের উপর উঠে পড়েছিলাম। সত্য কথা বলতে রাতের বেলায় ফুটবল ম্যাচ দেখতে খুবই ভালো লাগছিল। গ্রামের খেলার মাঠ দেখে মনে হয়েছিল যেন এটা কোন একটা স্টেডিয়াম। প্রাণের সফল মানুষ রাতের বেলায় ফুটবল খেলা দেখতে পেরে অনেক মজা পেয়েছে।
ঠিক বলেছেন আপনি আসলে রাতের বেলায় ফুটবল খেলা দেখতে পেরে সত্যি আমরা বেশ মজা পেয়েছিলাম।
ভাইয়া সারাজীবন দেখে আসলাম দিনের বেলা ফুটবল খেলে। আর আজকে দেখলাম আপনারা ঈদ উপলক্ষে রাতের বেলা ফুটবল খেলার আয়োজন করেছেন। বিষয়টা খুবই ইন্টারেষ্টিং। আপনি অসুস্থতা নিয়ে খেলতে না নেমে খুবই ভালো করেছেন। ভবিষ্যতে সুস্থ হয়ে খেলতে পারবেন। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।
https://x.com/GKibreay/status/1805588142130594291
রাত্রিকালীন ফুটবল খেলার মজাটাই আলাদা। যদি কোন উপলক্ষ থাকে তাহলে এর মজা দ্বিগুণ হয়ে যায়। আপনারা ঈদের আগের দিন রাতে ফুটবল খেলে বেশ মজা করেছেন। এ মজাদার মুহূর্তটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ভাই আমরা খেলা খেলেছিলাম ঈদের পরের দিন রাতে। আসলে খেলাটাতে সত্যি বেশ মজা হয়েছিল।
খুব সুন্দর এবং বিস্তারিত পোস্ট! ঈদুল আযহা উপলক্ষে এমন একটি আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়। গ্রামের মানুষদের একত্রিত করে ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করার জন্য আপনাদের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। খেলার প্রতিটি মুহূর্তের বর্ণনা পড়ে মনে হলো আমি নিজেই খেলা দেখছি। আশা করি, ভবিষ্যতেও এমন সুন্দর আয়োজন দেখতে পাবো। শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান গঠনমূলক মতামত শেয়ার করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।