পাবনার রত্নদ্বীপ রিসোর্ট ঘুরে দেখা।||২১-০১-২০২২||১০% লাজুক খ্যাকের জন্য by @kazi-raihan
আমি কাজী রায়হান। আমার ইউজার নেমঃ@kazi-raihan।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আমি পাবনা ঘুরতে আসছি সেটা আগের তিনটি পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। গত পোষ্টে পাবনা জেলার একটি দর্শনীয় স্থান ঘুরিয়ে দেখিয়ে ছিলাম। এবার আমি আপনাদের একটি রিসোর্ট ঘুরে দেখাবো। পাবনা জেলায় একমাত্র ফোর স্টার রিসোর্ট হচ্ছে রত্নদ্বীপ রিসোর্ট। রিসোর্ট পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাবনা ক্যাডেট কলেজের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত। এই রিসোর্ট সম্পর্কে ইউটিউবে রিভিউ দেখে যতটা সুন্দর লেগেছিল মনের কাছে বাস্তবে তার চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর লেগেছে। চলুন তাহলে আমার ভ্রমণ-কাহিনী আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করি। আশাকরি আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে।
প্রবেশদ্বার
Device : Samsung galaxy A52
Location : https://w3w.co/justifies.roomful.expanding
প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ এর পরেই কিছু সুন্দর সুন্দর দৃশ্য লক্ষ করা যায়। বিদেশি একটি গাছ প্রধান ফটকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। এখানে যারা ঘুরতে আসে অর্থাৎ পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে এরকম সাজে সাজিয়ে তোলা হয়েছে রিসোর্টের প্রথম গেটের অংশটুকু। বিভিন্ন লতা পাতা এবং কৃত্রিম গাছগুলো দিয়ে সাজিয়ে রাখা হয়েছে প্রবেশদ্বারের অংশটুকু। আর জানুয়ারি মাসের পুরোপুরি সময়টা নতুন বছরের স্বাগতম জানিয়ে সুন্দর ডেকোরেশন করে রাখা হয়।
টি টেবিলের আড্ডা
Device : Samsung galaxy A52
Location : https://w3w.co/poppies.listens.clove
রত্নদ্বীপ রিসোর্টে ঢুকেই একটু আগাতেই ডান পাশে একটি টি টেবিল লক্ষ করি। সবচেয়ে মজার বিষয় টি হচ্ছে টি টেবিলের চেয়ার এবং টেবিল সম্পূর্ণ বাঁশের তৈরি। আর বাঁশের তৈরি চেয়ার টেবিলের সৌন্দর্য এত মনমুগ্ধকর হতে পারে সেটা আমার আগে জানা ছিল না। টি টেবিলের পাশেই রয়েছে পুকুর, পুকুরের রঙিন বিদেশি মাছগুলো পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। আমি নিজেও মাছ গুলোর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে মাছগুলো পেছনে রেখে একটি সেলফি উঠেছিলাম।
পানির উপরে ঘর
Device : Samsung galaxy A52
Location : https://w3w.co/plunge.intellects.raged
পানির উপরে ছোট ছোট ঘর গুলো পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। অবসর টাইমে সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করার জন্য পর্যটকরা এই পানির উপরে অবস্থিত ঘরে সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করে। আমরা সেখানে ঘুরতে গিয়েছি এজন্যই নিজেদের ছবিগুলো বিভিন্ন দিক থেকে ফুটিয়ে তোলার জন্য চেষ্টা করেছি। আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের ছবিগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছি।
সবুজ পরিবেশ
Device : Samsung galaxy A52
Location : https://w3w.co/plunge.intellects.raged
এই আকর্ষণটা এতটা সারপ্রাইজ দিবে এটা আমরা কেউ ভাবতে পারিনি। একদম সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক সবুজ পরিবেশ, বিভিন্ন রকমের গাছপালা এবং উদ্ভিদ যেন কোন এক বনের মধ্যে অবস্থান করছি। একদম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, ছোট বনের মধ্যে দিয়ে চিকন রাস্তা আছে যা দিয়ে পর্যটকেরা বিষয়গুলো উপভোগ করতে পারে। সুন্দর সময় পার করার জন্য বসে থাকার বেঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে আমরা অনেকগুলো ছবি উঠেছিলাম সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আর পরবর্তীতে যেটা রীতিমত অবাক করার মত বিষয় ছিল সেটা হচ্ছে সবুজ পরিবেশের মধ্য একটা খোলা ওয়াশরুম। আমরা তো সবাই সেখানে গিয়ে মিরর ছবি তোলার জন্য পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। আয়নার বিপরীতে সবুজ পরিবেশ আসলে নিজের ভেতরের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারতেছি না। সবশেষে বলতে চাই অসাধারণ সুন্দর ছিল।
সাংস্কৃতিক মঞ্চ
Device : Samsung galaxy A52
Location : https://w3w.co/plunge.intellects.raged
রিসোর্ট এর মধ্য অনেকেই বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম করে থাকে। বিভিন্ন কোম্পানি এখানে তাদের প্রোগ্রাম করতে আসে এবং কনসার্টের ব্যবস্থা করে। প্রোগ্রামগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য সাংস্কৃতিক মঞ্চের ব্যবস্থা আছে। আমরা বুঝতে পারলাম একত্রিশে ডিসেম্বর রাত্রে এখানে বড় ধরনের একটা প্রোগ্রাম হয়েছিল। আমার ছবির পিছনে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন ২০২২ সালের আগমনের কিছু শুভেচ্ছা বার্তা।
সবুজ পরিবেশে সেলফি
Device : Samsung galaxy A52
Location : https://w3w.co/succumbs.negations.whinnies
সবুজ পরিবেশ টা আমরা খুব আনন্দের সঙ্গে উপভোগ করলাম। পরিবেশের চারপাশে ঘুরে দেখলাম আর সেগুলো স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখার জন্য কিছু সেলফি উঠলাম। তারই কিছু ছবি আমি শেয়ার করলাম। সেলফি ওঠা শেষ হলে আমরা কিছুক্ষণের বিরতি নেওয়ার জন্য সামনে এগিয়ে যাই।
ক্লান্তি দূর
Device : Samsung galaxy A52
Location : https://w3w.co/succumbs.negations.whinnies
আমরা আবার পুকুরের উপরে থাকা ঘরে ক্লান্তি দূর করতে যাই। সেখানে বসে আমরা কিছু সময় গল্প করলাম আর কি ধরনের ছবি তুলেছি সেগুলো দেখলাম। আমার সঙ্গে ছিল আমার প্রিয় বন্ধু এবং মামা শাহিনুল ইসলাম। তো আমার বন্ধুর আইফোন হাতে নিয়ে ছবি উঠলাম আবার আলাদা সেলফি উঠলাম এভাবেই সময় পার করছিলাম। মাঝখানে কারণবশত লাঞ্চের সময় যে খাওয়া-দাওয়া করেছিলাম সেগুলোর ছবি তোলা হয়নি। তবে ভরপুর খাওয়া-দাওয়া শেষে বিল দেওয়ার সময় আমার পকেটে থাকা টিকিট মূল্য বের করেছিলাম। বিষয়টা আগে বলা হয়নি, আমাদের ঢুকতে এক একজনের একশত পঞ্চাশ টাকা টিকিট লেগেছে। আপাতত আজকে এই পর্যন্তই শেয়ার করলাম।
এই ছিল আমার ভ্রমণকাহিনীর একটি অংশ। আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে অন্য কোন ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে, ধন্যবাদ সবাইকে।
রিসোর্টের পরিবেশটা অসাধারণ লেগেছে। একেবারে মনমুগ্ধকর পরিবেশ ছিল। এরকম রিসোর্টে সময় কাটাতে খুব ভালোই লাগে। দেখলাম আপনি তো অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন। ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল। এরকম একটা মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমি অনেক উপভোগ করতে পেরেছি।
হুম সত্যি ভেতরে পরিবেশটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু 💚