রত্নদ্বীপ রিসোর্ট রিভিউ পর্ব-০১||২৫-০১-২০২২||১০% লাজুক খ্যাকের জন্য by @kazi-raihan
আমি কাজী রায়হান। আমার ইউজার নেমঃ@kazi-raihan।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আমি পাবনা ঘুরতে গিয়েছিলাম সেটা আগের চারটি পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। গত পোষ্টে পাবনা জেলার একটি দর্শনীয় স্থান ঘুরিয়ে দেখিয়ে ছিলাম। এবার আমি আপনাদের মাঝে একটি রিসোর্ট এর রিভিউ দেখাবো। পাবনা জেলায় একমাত্র ফোর স্টার রিসোর্ট হচ্ছে রত্নদ্বীপ রিসোর্ট। রিসোর্ট পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাবনা ক্যাডেট কলেজের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত। রিসোর্টে টার কিছু সুন্দর রিভিউ দেখানোর জন্য আজকের এই পোস্ট সাজিয়েছি। আশাকরি আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে।
প্রবেশ পথে
Device : Samsung galaxy A52
Location : https://w3w.co/justifies.roomful.expanding
ঢাকা পাবনা মহাসড়কের পাশেই অবস্থিত রত্নদ্বীপ রিসোর্ট। মহাসড়কের পাশেই বড় করে রত্নদ্বীপ রিসোর্ট এর অনুলিপি তৈরি করে রাখা হয়েছে। চারপাশ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের লাইটিং এর ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে, রাতের বেলায় পর্যটকরা এই সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়। রিসোর্ট এর সামনে বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ সহ বিদেশি গাছ লাগিয়ে বাহিরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমার তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে মেইন গেটের উপরে লেখা রয়েছে রত্নদ্বীপ রিসোর্ট। এই গেটের বাম পাশে টিকিট কাউন্টার রয়েছে। সেখান থেকে টিকিট সংগ্রহ করে রিসোর্ট এর মধ্যে প্রবেশ করতে হয়।
প্রথম আকর্ষন
Device : Samsung galaxy A52
Location : https://w3w.co/poppies.listens.clove
টিকিট সংগ্রহ করে ভিতরে প্রবেশ করতেই সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়েছি। যেমন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ তেমন বিদেশি গাছপালা যা এখানে আসা পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। ছবিগুলো দেখলেই বোঝা যায় ভিতরের পরিবেশ টা কতটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ছিল। ছবিতে থাকা গাছগুলোর নাম জানিনা তবে দেখতে বেশ ভালই লাগছে। মাঝের ছবিতে থাকা গাছটি কিছুটা পাম অয়েল গাছের মতো কিন্তু আসলে এটি পাম গাছ নয়।
বিভিন্ন ধরনের মাছ
Device : Samsung galaxy A52
Location : https://w3w.co/plunge.intellects.raged
ভিতরে ঢুকতেই চোখে পড়ে একটি মাছের একুরিয়াম, আর আমি সেটা কাছ থেকে দেখার জন্য এগিয়ে যাই। দেখলাম একুরিয়ামের মধ্য সুন্দর সুন্দর রঙিন মাছ ঘুরে বেড়াচ্ছে। সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে ছবি তুলেছিলাম। কিন্তু বুঝতে পারেনি সামনে এর থেকেও বড় একটি আকর্ষণ রয়েছে। একটু সামনে এগুতেই পুকুরে রঙিন মাছের খেলা। আমি কাছে এগিয়ে যাই আর পুকুরের পাড়ে গিয়ে দাঁড়াতেই মাছ গুলো যেন আমাকে স্বাগতম জানাচ্ছিল। মাছগুলো পানির উপরে লাফাচ্ছিল আর আমি পানির উপরে হাত দেওয়াতে যেন তারা আনন্দ উপভোগ করছিল।
ওয়েটিং রুম
Device : Samsung galaxy A52
Location : https://w3w.co/plunge.intellects.raged
পুকুরের পাশে ছিল একটি ওয়েটিং রুম যেখানে সবাই এসে বিশ্রাম করে বা কফি খায়। জায়গাটাকে এত সুন্দর ভাবে ডেকোরেশন করেছে যেন দেখে মন জুড়িয়ে যায়। এখানে যারা ঘুরতে আসে অর্থাৎ পর্যটকেরা এখানে বসে তাদের সময় পার করে আর চায়ের আড্ডায় মেতে ওঠে। আবার যেসব নব দম্পতি এখানে ঘুরতে আসে তারা এই ওয়েটিংরুমে সীমিত সময়ের জন্য অপেক্ষা করে। আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে এখানকার এই ওয়েটিং রুমের ডেকোরেশন সবচেয়ে ভালো লেগেছে।
পুকুরের সৌন্দর্য
Device : Samsung galaxy A52
Location : https://w3w.co/plunge.intellects.raged
পুকুরে রঙিন মাছের সাথে সাথে পুকুরের চারপাশ দিয়ে সবুজ লতাপাতা দৃশ্যমান রয়েছে। পুকুরের মাঝ দিয়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ আর লাল রঙের শাপলা ফুল। তবে পুকুরের পানি এতটাই স্বচ্ছ ছিল যে ছোট্ট একটি মাছ যদি পানির ভেতর দিয়ে ঘুরে বেড়ায় তাহলে সেটা স্পষ্ট চোখে পড়ছিল। যদিও ছোট্ট মাসগুলোর দৃশ্য ক্যামেরায় ধরতে পারেনি কিন্তু বাস্তবে আমি ছোট্ট মাছগুলোর সৌন্দর্য উপভোগ করেছি। বিশেষ করে আমাদের এলাকায় লাল তেলাপিয়া মাছ নামে পরিচিত মাছগুলোর বাচ্চা বেশি আকর্ষণীয় লেগেছে।
সবুজের ছোঁয়া
Device : Samsung galaxy A52
Location : https://w3w.co/succumbs.negations.whinnies
প্রবেশ করেই পুকুরের ডান দিকে একটু এগোতেই সুন্দর একটি ফুলের গাছের দেখা মেলে। আমি ফুল গাছটির নাম জানিনা তবে ফুল গাছে ফুটে থাকা ছোট ছোট লাল রঙের ফুল গুলো অসাধারণ সুন্দর লাগছিল। ফুল গাছের অর্ধেক অংশটা ছিল পুকুরের মধ্যে আর বাকি অর্ধেক অংশ ছিল উপরের দিকে। পুকুরের অপরপাশে চিকন চিকন বাঁশ গাছ গুলো অনেক সুন্দর লেগেছে। জানতে পারলাম এই বাঁশ গাছগুলোকে নাকি ললি বাঁশ বলা হয়।
ক্রিসমাস ট্রি
Device : Samsung galaxy A52
Location : https://w3w.co/succumbs.negations.whinnies
ক্রিসমাস ট্রি এই গাছটির সাথে পরিচিত নয় এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আগেই বলেছিলাম এখানে বিভিন্ন রকমের বিদেশি গাছের সমাহার সেহেতু ক্রিসমাস ট্রি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। নতুন বছরকে স্বাগতম জানাতে খ্রিস্টানরা এই গাছকে ব্যবহার করে থাকে। ক্রিসমাস ট্রি গাছে বিভিন্ন ধরনের রঙিন আলো এবং ঢোল, তারা লাগিয়ে গাছকে সাজিয়ে রাখে। ঠিক একইভাবে ইংরেজি সাল কে বিদায় জানিয়ে রত্নদ্বীপ রিসোর্টেও ক্রিসমাস ট্রি গাছে রঙিন আলো এবং ঢোল, তাঁরা লাগিয়ে বিভিন্নভাবে সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। আপাতত আজকে এই পর্যন্তই শেয়ার করলাম।
এই ছিল আমার ভ্রমণকাহিনীর একটি অংশ। আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে অন্য কোন ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে, ধন্যবাদ সবাইকে।
টুইটারে শেয়ার
অও,অসাধারণ পরিবেশ।এইরকম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে সময় কাটাতে বেশ ভালো লাগে।খুবই ভালো লাগলো দেখে প্রত্যেকটি ছবি খুবই সুন্দর।আপনি দারুণ সময় উপভোগ করেছেন ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর মন্তব্য উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দিদি ভাই।
রত্নদ্বীপ রিসোর্ট রিভিউ অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এত সুন্দর পরিবেশ আমি আগে কখনো কোথাও দেখিনি দেখে আমার অনেক ভালো লাগেছে। আপনি সেই সময়ে দারুণভাবে ছবিগুলো তুলে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ওয়াও রিসোর্ট এর পরিবেশটা অনেক মনোমুগ্ধকর ছিল। দেখতে তো অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আমার তো ইচ্ছে করছে এই রিসোর্টে গিয়ে ঘুরে আসি। আপনি সবগুলো ফটোগ্রাফি অনেক অসাধারণ ভাবে করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফির কারনে আরো বেশী ভাল লাগল।
আপনার অনেক ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু মনি।
দারুণ তো আপনি অনেক সুন্দর করে রিভিউ করছেন।ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিলে।যা দেখে আমি মুগ্ধ ।অনেক ধন্যবাদ ,এতে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।