মাছ দিয়ে কলমি শাকের ঝোল রান্না
আমি ঢাকা, বাংলাদেশ থেকে @kawsar ।
আশা করছি সবাই অনেক ভাল আছেন, আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ। প্রতিদিনের মত আপনাদের মাঝে আরও একটি পোস্ট শেয়ার করতে চলে এসেছি । তো আপনার মাঝে আজকে আমি একটি রেসিপি শেয়ার করব। পাংগাস মাছ দিয়ে কলমি শাকের ঝোল রান্না। কলমি শাক ভাজি করে খেতেই আমার কাছে খুব ভালো লাগে। সব সময় সেটাই খাওয়া হয়। কিন্তু এখন যেহেতু অনেক গরম পড়তেছে তাই ভাবলাম একটু পাতলা ঝোল খাওয়া দরকার সেই জন্যই এই কলমি শাক দিয়ে পাঙ্গাস মাছের ঝোল করেছি। আসলে এটা প্রথম খেয়েছে কিন্তু খেতে ভালো লেগেছে আশা করি আপনাদের কাছে ও ভালো লাগবে।
উপকরণ | পরিমান |
---|---|
পাঙ্গাস মাছ | ৪ পিস |
মরিচের গুঁড়া | ১ টেবিল চামচ |
হলুদের গুড়া | ১ চা চামচ |
রসুন বাটা | ১ চা চামচ |
আদা বাটা | ১ চা চামচ |
হলুদের গুঁড়া | ১ চা চামচ |
কলমি শাক | পরিমানমতো |
আলু | ১ টি |
লবণ | পরিমাণ মতো |
তেল | ২টেবিল চামচ |
পিয়াজ | হাফ কাপ |
𒆜ধাপ ১ :𒆜
মাছ দিয়ে যদি কোন সবজি রান্না করা হয় তাহলে আসলে আমরা সবসময় মাছ তেলে ভেজে নেই কিন্তু আজকে আমি তেলে ভেজে রান্না টা করব না আমি স্বাভাবিকভাবেই করার চেষ্টা করব। এই রান্নাটা প্রথমে করার জন্য চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। এতে ২ টেবিল চামচ পরিমাণ তেল দিয়ে যখন তেল গরম হবে তখন এতে পরিমাণমতো কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ দিয়ে হালকা একটু লবণ দিয়ে দুই থেকে তিন মিনিট ভেজে নিতে হবে।
যখন এটা ভেজে নেওয়া হয়ে যাবে, তখন এখানে গুঁড়ো মশলা ও ১ চা চামচ আদা রসুন বাটা দিয়ে দিতে হবে। এগুলো দিয়ে দেওয়ার পরে এগুলো সব মসলার সাথে খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
সব মসলা মিশিয়ে নিয়ে এখানে এক কাপ পরিমান পানি এড করে দিতে হবে এই মশাগুলো কষিয়ে নেওয়ার জন্য।
পানি শুকিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত মসলা ভালোভাবে কষিয়ে নিতে হবে। মসলা যখন শেষ হবে তখন এখানে আগে থেকে পরিষ্কার করে রাখা মাছ দিয়ে দিতে হবে।
𒆜ধাপ 2 :𒆜
মাছ গুলো দিয়ে এখানে আবারও এক কাপ পরিমান পানি দিয়ে আলু দিয়ে দিতে হবে। আলু এবং মাছের সাথে মসলাগুলো আবারো ভালোভাবে কষিয়ে নেওয়ার জন্য।
যখন এই পানি শুকিয়ে যাবে এবং আলু মশলার সাথে খুব ভালোভাবে কষানো হবে ও আলু হাফ সিদ্ধ হবে তখন বুঝতে হবে এগুলো কষানো হয়ে গেছে।
আর যখন কষানো শেষ হবে তখনএখানে পরিমাণ মত পানি এড করে দিতে হবে যাতে পুরো রান্না করা যায়। আমি যেহেতু এখানে ঝোল রান্না করবো সেজন্য এখানে পানির পরিমাণ বেশি দিয়েছি।
𒆜শেষধাপ𒆜
এরপরে যখন পানি একটু ফুটে উঠবে তখন এখানে কলমি শাক দিতে হবে এবং শাক দিয়ে ঢাকনা দিয়ে চুলা মিডিয়ামে রেখে তরকারি রান্না করতে হবে।
এভাবেই ১০ থেকে ১৫ মিনিট রান্না করলে তৈরি হয়ে যাবে পাংগাস মাছ দিয়ে কলমি শাকের ঝোল রেসিপি।এ রেসিপি আমার কাছে খুব ভাল লেগেছিল। আর এভাবে পাতলা শাকের ঝোল সবসময় ভালো লাগে। এটা খেতে সুস্বাদু হয়েছিল।
আজ এই পর্যন্তই আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করে এখানেই শেষ করছি। আমার রেসিপি খাওয়ার জন্য রেডি এখন আমি পরিবেশনের জন্য ছবি তুলেছি।
ডিভাইস | স্যামসাং A-10 |
---|---|
লোকেশন | ঢাকা |
@kawsar
মাছ দিয়ে কলমি শাকের ঝোল রান্নার রেসিপি খুবই লোভনীয় হয়েছে ভাইয়া। কলমি শাক আমার খুবই প্রিয়। মাছ ও আলু দিয়ে কলমি শাকের এই ঝোল ঝোল রেসিপি দারুণ হয়েছে। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
আমার রেসিপি আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম আপু
মাছ দিয়ে কলমির শাক রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। কলমি শাক ভাজি করলে খেতে আরো বেশি মজা লাগে। রেসিপিটা অনেক লোভনীয় হয়েছে। রান্নার কালার টা অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি।
জি আপু এটা ভাজি করলে খেতে আরো বেশি সুস্বাদু হয়
কতদিন কলমি শাক খাওয়া হয়না। আজ দেখে মন টা শান্তি হয়ে গেলো। মাছ দিয়ে রান্না করেছেন কত সুন্দর ভাবে। দেখেই ভালো লাগছে।
এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখবেন ভাই
আমার কাছে কলমির শাক ভাজি খেতেই সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে।এই শাক রান্না করে খুব কম খেয়েছি।আর একবার বোধহয় রান্না করে খেয়েছি। তবে সেটা শুঁটকি মাছ ও মসুরের ডাল দিয়ে। তবে আপনার উপস্থাপনা এবং পরিবেশন বেশ ভালো ছিল।তাই বোঝাই যাচ্ছে রেসিপিটি খুবই সুস্বাদু হয়েছে।
মসুর ডাল দিয়ে কখনো খাইনি আপু। একদিন ট্রাই করে দেখবো
মাশাআল্লাহ ভাইয়া আপনি ইউনিক একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। কলমি শাক রান্না করে মাছ দিয়ে খাওয়া হয়নি কখনো। কিন্তু কলমি শাক ভাজি আমার অনেক পছন্দের একটা খাবার। আপনার রান্নার প্রসেস সমূহ প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই সুন্দর এবং সহজভাবে দেখিয়েছেন যে কেউ চাইলে সহজেই তৈরি করতে পারবে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। শুভ কামনা এবং ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য।
মাছ দিয়ে এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখবেন ভাই আশা করি ভালো লাগবে
কলমির শাক আমি কখনো রান্না করে খাইনি সব সময় ভাজি করে খেয়েছি। আমার কাছে কলমির শাক ভাজি বেশি খেতে ভালো লাগে। তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমিও প্রথম খেলাম আপু তবে আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে
কলমি শাক খুব বেশি খাওয়া হয় না। তবে কলমি শাক দিয়ে মাছের ঝোল রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে এখেতে বেশ মজাই হয়েছে। কলমি শাক এর কখনো৷ ঝেল রান্না করা হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে ভাবছি বাসায় একদিন ট্রাই করবো।। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
জি আপু সত্যি খেতে মজার ছিল
ভাই কলমি শাক মাছ দিয়ে রান্না করেছেন দেখতে তো খুবই লোভনীয় লাগছে, তবে পাংঙ্গাস মাছ ছাড়া অন্য মাছ দিয়ে রান্না করলে আমার কাছে খেতে ভালোই লাগতো। যাইহোক সব মিলিয়ে দেখতে যেরকম অসাধারণ খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এটাও খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল ভাই
কলমি শাক ভাজি আমার খুব পছন্দের। আপনি খুব সুন্দর করে মাছ দিয়ে কলমি শাকের ঝোল রান্না করেছেন। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া বেশ অসাধারণ হয়েছে সুন্দর রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
কলমি শাক খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। তবে রান্না করার চেয়ে ভাজি করে খেতে বেশি ভালো লাগে। রান্নার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আপনি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।