ছোটবেলার পছন্দের খেলা
আমি ঢাকা, বাংলাদেশ থেকে @kawsar ।
আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন, আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ। এখন মোটামুটি আসলে বাহিরে আবহাওয়া ঠান্ডা আছে। তাই আসলে মনটা যেমন ভালো তেমনি ভাবে শরীরটা মোটামুটি ভাল লাগছে আল হামদুলিল্লাহ। তবে সবসময় আল্লাহর কাছে এরকম একটা আবহাওয়া চাইছি তাতে অনেক বেশি ভালো লাগে। প্রতিদিনের মত আজও আমি আপনাদের সাথে আরও একটি পোস্ট শেয়ার করতে চলে এসেছি আশা করি আমার কাছে ভালো লাগে।
ছোটবেলায় যেমন আমরা অনেক বেশি আনন্দ করতাম। তেমন আনন্দও কিন্তু আমাদের ছেলেমেয়েরা করতে পারে না। হয়তো যারা আমরা কোন শহরে বসবাস করি তাদের ছেলে মেয়েরা সব সময় আটকে থাকে আর তারা আসলে খোলামেলা সেরকম পরিবেশ ও পায় না যেটা আমরা পেয়েছি। আর তার সেরকম দুষ্টমি ও কিন্তু করতপ পারে না সে বাসার মধ্য থেকে মোবাইলে আসক্ত হয় এই মোবাইলে আসক্ত হওয়া কিন্তু খুবই খারাপ।
হয়তো কেউ গেমসে আসক্ত হয় বা কোন ভিডিও দেখে আসক্ত হয়। কিন্তু এ থেকে যদি আমরা আমাদের সন্তানকে দূরে রাখতে চাই তবে অবশ্যই আমাদেরকে তাদের অনেক বেশি সময় দিতে হবে এবং নিয়ে ঘুরতে যেতে হবে। যেমন তাদের সময় ভালো কাটে ও তারা আসলে মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকতে পারবে। আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব সেটা হলো আমার আসলে ছোটবেলায় কিছু খেলা প্রিয় ছিল সেগুলো নিয়ে আলোচনা আশা করি ভালো লাগবে।
আসলে আমার অনেকগুলো খেলা প্রিয় ছিল। ক্রিকেট ফুটবল খেলাটা বেশি খেলা করেছি। ক্রিকেট খেলাটা আমি আসলে অনেক বেশি খেলতাম। আর এটার জন্য আসলে আমি অনেক আমার বাবার থেকে মার ও খেয়েছি, তবু এটা আমার প্রিয় ছিল। যখন একটু বড় হয়েছি তখন আসলে ক্রিকেট বেশি খেলেছি। কিন্তু যখন ছোট ছিলাম তখন আসলে আমি অনেক বেশি একটা খেলা খেলতাম। এটা আসলে আপনারা কখনো খেলেছেন কিনা আমি জানিনা।
এই সম্পর্কে জানেননকিনা তাও আমি ঠিক বলতে পারবো না। তবে আমাদের ছোটবেলায় এই খেলাটা অনেক জনপ্রিয় ছিল আমাদের এলাকায়। আর সেটা হচ্ছে মার্বেল খেলা। মার্বেল দিয়ে আমরা বিভিন্ন ভাবে খেলতা আর এটা আসলে আমার কাছে খুব ভালো লাগত। আমি আর আমার ছোট ভাই আমার বাবার কাছ থেকে নেওয়া টাকা জমিয়ে এরপরে মার্বেল কিনতাম এবং আমি এই মাঝেমধ্যে খেলা করতাম।
আসলে আমরা এই মার্বেল দিয়ে খেলা করতে করতে যখন অনেকদিন হইল তখন দেখতাম যে আমাদের কাছে আর ওগুলো নেই। আসলে এরা ছোটো হওয়ার জন্য হারিয়ে যেত। আমার বাবার যেহেতু মুদি দোকান তার দোকানে আমরা যেহেতু এত মার্বেল দিয়ে খেলা করি সে বাধ্য হয়ে তার দোকানে মার্বেল নিয়ে এসেছিল। হয়তো সেগুলো বেশি বিক্রি করতে পারেনি। আমরাই এটা বেশি নিয়েছি। খেলাটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগতো।
আসলে এই খেলাটা আমরা এত প্রিয় ছিল যে আমি যেখানেই বেড়াতে যেতাম এই মার্বেল নিয়ে যেতাম। সেখানে বসাও খেলতাম এবং সেখানে যে ছেলেমেয়েরা থাকতো তাদেরকে ওই খেলাটা শেখাতাম। আমার আসলে খুব প্রিয় ছিল আর আমরা আসলে যতটা খোলামেলা এভাবে খেলাধূলা করেছি, আমাদের সন্তানেরা কিন্তু এভাবে খেলাধুলা করতে পারে না। তাই আমি যখন বাড়িতে যাই তখন আমার ছেলেকে আমি বেশি কিছু করতে নিষেধ করি না।
আমি চাই ও ইচ্ছামত চলুক আমাদের বাড়ি হয়তো ততটা গ্রামের মতো নয় কিন্তু ওর নানা বাড়ি একেবারে গ্রামের মতো। অনেক বড় উঠান রয়েছে। যে কারণে আসলে ওর ইচ্ছা মত দৌড়াতে পারে। তাই আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তো আজকে আপনাদের কাছে আমার এই প্রিয় খেলার নামটি বলে ভালো লাগলো। আশা করি আপনাদের কাছেও ভাল লেগেছে। সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন এই কামনাই করি।
আজ এই পর্যন্তই আমাদের সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছে। সবাই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন। আগামীকাল আরো কোন পোস্টটি আপনাদের সামনে হাজির হবো।
আহ ভাই আমাদের আপনাদের দিনগুলো কতই রঙিন ছিল। সারাদিন খেলাধুলা নিয়ে থাকতাম। ক্রিকেট ফুটবল মার্বেল আরও কত কী। আমার পছন্দের খেলা ফুটবল। ছোটবেলা অনেক মার্বেল খেলেছি। তবে এখনকার বাচ্চারা তো ঐ ফোনের গেমসের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তাদের কে এসব না দেখালে না জানালে তারা এর থেকে বের হতেই পারবে না।।
জি ভাই তারা এখন খেলা বলতে মোবাইল এর গেমস কেই বুঝে।
বর্তমান পরিস্থিতি একটু অন্যরকম আমি আপনার কিছু কিছু কথা সঙ্গে একমত পোষণ করছি সেটা হচ্ছে যে শহরের চার দেয়ালের মাঝে যারা বন্দী থাকে তারা আসলে খেলাধুল া করার তেমন একটা সুযোগ পায় না। সেক্ষেত্রে যারা আমরা গ্রামে বড় হয়েছি তারা কিন্তু খেলাধুলা করার অনেক সুযোগ পেয়েছি। আমি মনে করি শহরের ছেলে মেয়েদের থেকে গ্রামের ছেলে মেয়েরা শারীরিকভাবে অনেক বেশি স্ট্রং। কিন্তু বর্তমান শহর এবং গ্রাম দুই জায়গাতেই একই অবস্থা সবাই অনলাইন গেম আর ভিডিও নিয়ে ব্যস্ত।
এটা একদম ই ঠিক বলেছেন ভাই শহরের বাচ্চাদের থেকে গ্রামের বাচ্চারা বেশি স্ট্রং হয়।