লেভেল ওয়ান হতে আমার অর্জন @kausikchak123

in আমার বাংলা ব্লগ29 days ago (edited)

1717333077516-removebg-preview.png

লেভেল ওয়ান হতে আমার অর্জন


শুভ সন্ধ্যা সকলকে। এই কদিন হল স্টিমিটের মত প্ল্যাটফর্মে অবাধ বিচরণ শুরু করেছি। আর তাতেই যোগ্য সঙ্গত করছে আমার বাংলা ব্লগ। এই কদিনেই একটা জিনিস বেশ স্পষ্ট বুঝছি যে আমার বাংলা ব্লগ স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে বাংলা লেখালেখির মান ও উৎকর্ষতাকে যে পর্যায়ে নিয়ে গেছে তা সত্যিই অন্যান্য ভাষা বা ব্লগের কাছে ঈর্ষনীয়। আজ কয়েকদিন ব্লগিংয়ের পর আমি abb লেভেল ১ এ কী শিখলাম তা আপনাদের সামনে নিজের মত করে তুলে ধরতে এলাম।

প্রথমে অর্জিত কিছু সাধারণ ধারণা -


ব্লকচেইন টেকনোলজি -



প্রথমেই আলোচনা করব ব্লকচেইন টেকনোলজির বিষয়ে৷ কারণ স্টিমিটের ধারণা বুঝতে হলে ব্লকচেইন বোঝা ভীষণ জরুরি। স্টিমিট ব্লকচেইন টেকনোলজিরই একটি প্ল্যাটফর্ম৷ যেখানে কোনো একটি সেন্ট্রাল সার্ভার থাকে না৷ সম্পূর্ণ রেকর্ডই বিকেন্দ্রীভূত হয়ে ব্লকের আকারে সব ইউজারদের মধ্যে শেয়ারড হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত সবকটি টার্মিনাল, যাদের টেকনিকাল ভাষায় নোড বলে। আর এই নোডগুলিই ডাটা শেয়ারের অংশীদার হিসাবে গণ্য হয়। ডাটাগুলি একটি শেয়ারড লেজারের মত ব্লকে থাকে যা চেইনের আকারে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্কটিকে পরিচালনা করে। এই নেটওয়ার্কে সবকটি নোডই সমান অংশীদার। উদাহরণ স্বরূপ আমরা গুগল ডকের শেয়ারড ফাইলের কথা বলতে পারি। গুগল ডকে যেমন একটি ফাইল সব ইউজারদের মধ্যে শেয়ার করা থাকে এবং তা সব ইউজারই এডিট ও মডিফাই করতে পারে। যদিও এটি কেবল একটি উদাহরণ হিসাবে নেওয়া হল। কারণ গুগল ডক ও ব্লকচেইনের মধ্যে পার্থক্য বিস্তর। ব্লকচেইনে সকল ইউজার গুগল ডকের মতো সব রেকর্ড পরিবর্তন করতে সক্ষম নয়। কিন্তু শেয়ারিংয়ের ধারণাটি কিছুটা একইরকম৷

স্টিমিট বনাম সাধারণ সোসাল সাইট-



আশা করি ব্লকচেইন টেকনোলজির ধারণা আপনাদের সামনে তুলে আনতে পারলাম। এবং যে কোনো নন-টেকনিকাল ইউজারও এই আলোচনা থেকে একটি সম্যক ধারণা পাবেন। আর এই ব্লকচেইনের একটি প্রপার অ্যাপ্লিকেশন হল আমাদের স্টিমিট। যা একটি ব্লগিং করার আমেরিকান প্ল্যাটফর্ম। একে কখনোই সাধারণ সোসাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট গুলোর সাথে তুলনা করা যায় না। কারণ পরিচালন পদ্ধতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। যেমন উদাহরণ স্বরূপ জনপ্রিয় সোসাল সাইট ফেসবুককে ধরা যাক। ফেসবুকে আমরা প্রতিনিয়ত পোস্ট করি, কমেন্ট লাইক করি, শেয়ার করি। কিন্তু প্রথমত এটি ব্লগিং নয়। এটি ক্লায়েন্ট সারভার আর্কিটেকচার পদ্ধতিতে পরিচালিত একটি স্বতন্ত্র ডায়নামিক ওয়েবসাইট। এখানে আমরা যা কার্যকলাপ করে থাকি, তা স্টোর হয় নির্দিষ্ট একটি কেন্দ্রীভূত সার্ভারে। সেখান থেকেই সারা পৃথিবীতে সকল ইউজারকে ডাটা সরবরাহ করা হয়। কিন্তু স্টিমিট যেহেতু ব্লকচেইন প্ল্যাটফর্মে পরিচালিত, তাই এখানে কোনো একটি কেন্দ্রীয় মেশিনকে কেন্দ্র করে সমগ্র কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় না। আর স্টিমিটের প্রধান দিকটি হল এখানে প্রতিটি কার্যকলাপের জন্য ইউজারকে পে করা হয়৷ যা সাধারণ সোসাল সাইটগুলোয় কখনোই হয় না। সেখানে সমস্ত আর্থিক লাভ শুধু কেন্দ্রীয় পরিচালন পরিষদই গ্রহণ করে থাকে। তাই সবদিক থেকেই স্টিমিট অনেক কার্যকরী ও সময়োপযোগী।

ক্রিপ্টোগ্রাফির ধারণা -



এরপর আসি ক্রিপ্টোগ্রাফি কনসেপ্টে। ব্লকচেইন ক্রিপ্টোগ্রাফি এমন একটি টেকনোলজি যেখানে সমস্ত ডাটা ক্রিপ্টোগ্রাফি প্রসেসে নিরাপদে সংরক্ষিত থাকে। এই ক্রিপ্টোগ্রাফি ধারণায় দুটি বিভাগ। একটি হল এনক্রিপশন ও দ্বিতীয়টি হল ডিক্রিপশন৷ অর্থাৎ সমস্ত তথ্য এখানে এনক্রিপটেড ফর্মে ব্লক লেজারে সঞ্চিত থাকে। যা ডাটাকে সুরক্ষা প্রদান করে থাকে। একটা উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি বোঝানো যাক। আমরা যদি কথা বলার সময় কোনো কোড ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করি, তবে সাধারণ মানুষের পক্ষে তা বোধগম্য হওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। এই সাধারণ ভাষাকে কোড ল্যাঙ্গুয়েজে পরিবর্তন করাই হলো এনক্রিপশন। আর কোড থেকে তা আবার সাধারণ ভাষায় পরিবর্তন হলো ডিক্রিপশন। ঠিক যে পদ্ধতি ক্রিপ্টোগ্রাফি ও ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্ষেত্রে অবলম্বন করা হয়৷ সেক্ষেত্রে ডিজিটাল কারেন্সির নিরাপত্তা ও ডাটা সুরক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের দিক থেকে বিবেচনা করা যায়।

পোস্ট করবার নিয়ম -



স্টিমিটে পোস্ট করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের অবশ্যই বিবেচনা করা উচিত। এখানে কয়েকটি টার্ম খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেমন স্পামিং বা স্প্যামিং, কপিরাইট, প্ল্যাগারাইজ কনটেন্ট ইত্যাদি। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কাজ করার সময়, বিশেষ করে ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে এই ধারণাগুলি ঠিকমতো না থাকলে ইউজার বিভিন্ন সময় অসুবিধার মধ্যে পড়তে পারে এবং ব্লক বা মিউটও হয়ে যেতে পারে। তাই এই ধারণাগুলো সেক্ষেত্রে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

এবার আলোচনা করি লেভেল ১ এর প্রশ্নপত্রের প্রশ্নগুলি নিয়ে -


কোন ধরনের অ্যাক্টিভিটি স্প্যামিং বলে গণ্য হবে -



যেমন প্রথমে আসা যাক স্প্যামিং এর বিষয়ে। আজকের ডিজিটাল যুগে স্প্যাম শব্দটির সাথে আমরা সকলেই কমবেশি পরিচিত। স্প্যাম শব্দটির অর্থ হল অহেতুক বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও অন্যান্যদের বিরক্ত করা। যেমন একই বিষয় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বারবার আনা, অথবা অহেতুক ও অপ্রাসঙ্গিক ভাবে অন্যদের মেনশন করা, অথবা বারবার ছোট ছোট অপ্রাসঙ্গিক (১০০ শব্দের কম অথবা একটি ছবি) পোস্ট দিতে থাকা ইত্যাদি৷ ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে এই বিষয়টির দিকে খেয়াল রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কমেন্ট স্প্যামিংয়ের থেকেও দূরে থাকা উচিত সর্বোতভাবে৷ অর্থাৎ ছোট কয়েক শব্দের কমেন্ট বা একই বক্তব্য বারবার লেখা স্প্যামিংয়ের আওতায় পড়ে৷

ফটো কপিরাইট ও কপিরাইট ইনফ্রিঞ্জমেন্ট সম্পর্কে ধারণা -



কপিরাইট হল একটি আইন। ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে যা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ব্লগিং সাইটে তথ্য ব্যবহারকারী সমস্ত ইউজারের সৃষ্টি ও ধারণা তার নিজস্ব। এছাড়াও বিভিন্ন ওয়েব সাইটে সঞ্চিত তথ্য বা ছবির ৯৯% কপিরাইট প্রোটেক্টেড থাকে৷ এই সকল ডিজিটাল কনটেন্ট অবিকৃত অবস্থায় কোথাও নিজের নাম করে লিখে দিলে তা কপিরাইট ইনফ্রিঞ্জমেন্টের আওতায় পড়ে, যা তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী একটি অপরাধ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। তাই যেকোনো সৃষ্টির ওপর মালিকের যে অধিকার তা নির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ না করে নিজের লেখা হিসাবে প্রকাশ করা দণ্ডনীয়। ইনফ্রিঞ্জমেন্ট অর্থ হল লঙ্ঘন। কপিরাইটের নিয়ম লঙ্ঘন করলে ব্লগেও তা অপরাধ হিসাবি চিহ্নিত হবে ও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে।

তিনটি ওয়েব সাইট যেখান থেকে ফটো ফ্রিতে পাওয়া যায় -


ওয়েব দুনিয়ায় বিভিন্ন ওয়েব সাইট আছে যেগুলি থেকে আমরা কপিরাইটহীন ছবি ডাউনলোড করতে পারি ব্লগিংয়ের জন্য। কিন্তু সেক্ষেত্রে ছবির সাথে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট বা সোর্সের নাম থাকা বাধ্যতামূলক। এমন কয়েকটি ওয়েব সাইট হল --
https://pixabay.com/
https://stocksnap.io/
https://www.freeimages.com/

ট্যাগ কেন ব্যবহার করতে হয় এবং ট্যাগ কিসের ভিত্তিতে নির্বাচন করতে হয় -



ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে নতুন পাঠক পাবার জন্য ট্যাগের কোনো জুড়ি নেই৷ ট্যাগ হল এমন একটি পদ্ধতি যেখানে ইউজার নিজের পোস্টটিকে একটি নির্দিষ্ট কমিউনিটি বা গ্রুপ অফ ইউজারের কাছে সহজে পৌঁছে দিতে পারে। তাই পোস্টের সাথে ট্যাগ করলে একটি পোস্টকে অনেক বেশি ব্যবহারকারীর মধ্যে
পৌঁছে যায় সহজেই৷ যেমন ধরা যাক একটি বেড়ানোর ভ্রমণ কাহিনী পোস্ট করা হল। সেক্ষেত্রে যদি আমরা travel বা tour বলে ট্যাগ করি, তবে আগামীতে ওই ট্যাগগুলো সার্চ করলে সেই পোস্টটিও সহজে সামনে আসবে ও বেশি পরিমাণ পাঠক দ্বারা পঠিত হবে। তাই ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে সঠিক ট্যাগ করে রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অপ্রাসঙ্গিক ট্যাগ ব্যবহারকারীদের বিভ্রান্ত করতে পারে৷ যেমন ভ্রমণের পোস্ট দিয়ে যদি কেউ recipe বলে ট্যাগ করে, তবে তা একেবারেই অনুপযুক্ত ও বিভ্রান্তিকর। পোষ্টের মধ্যে ট্যাগ করতে হলে # চিহ্ন ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু পোস্টের পরে প্রদত্ত ট্যাগের জন্য নির্দিষ্ট বক্সে ট্যাগ করতে হলে শুধু ইংরেজিতে ট্যাগের নাম টুকু দিলেই হয়। # চিহ্ন প্রয়োজন হয় না। স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে ট্যাগ শুধু ইংরেজিতেই করতে হয়, কোনো সংখ্যা বা বাংলায় ট্যাগ লেখা গ্রহণযোগ্য নয়।

আমার বাংলা ব্লগে কী কী ধরনের পোস্ট করা নিষিদ্ধ -



আমার বাংলা ব্লগ একটি এমন ব্লগ যেখানে সারা পৃথিবীর বাঙালিরা বাংলায় লেখালেখি করে থাকেন ও প্রতিভার উন্মেষ ঘটান। সেক্ষেত্রে এই ব্লগের ব্যবহারকারীদের কয়েকটি নিয়ম সম্বন্ধে অবগত থাকা উচিত। এই ব্লগ যেহেতু একটি সম্পূর্ণ বাংলা প্ল্যাটফর্ম, তাই এখানে ইংরেজি সহ অন্যান্য ভাষায় লেখালেখি করা একেবারেই নিষেধ। পোস্টে রোমান অক্ষর ব্যবহার করা যাবে না। লেখার বিষয় যেকোনো কিছুই হতে পারে, কিন্তু কোনরকম ধর্মীয় আবেগে আঘাত করা কনটেন্ট অথবা ব্যক্তি আক্রমণ কোনভাবেই করা যাবে না। যদি কোন পোস্টে নগ্নতা প্রদর্শন বা অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট থাকে, অথবা গরু বা শুকরের মাংস বা প্রাণীহত্যা নিয়ে কোন রেসিপি থাকে, তবে তা nsfw ট্যাগ দিয়ে লিখতে হবে। ছবি ও তথ্য পোস্ট এর আগে কপিরাইট ও প্যাগারিজমের বিষয়টি ভালো করে জেনে নিতে হবে। আর যে কোন তথ্য প্রদান করার হলে তা যদি কোথাও থেকে নেওয়া হয় তবে পোস্টে সঠিক তথ্যসূত্র এবং কৃতজ্ঞতা প্রদান করা বাধ্যতামূলক। এই ব্লগে বারবার ১০০ শব্দের কম বা একটি মাত্র ছবি দিয়ে পোস্ট স্প্যামিং হিসাবে পরিগনিত হবে এবং সেক্ষেত্রে কনটেন্ট মিউট করা হতে পারে। ২৪ ঘন্টায় একজন ব্যবহারকারী সর্বোচ্চ ৩ টি পোস্ট করতে পারবেন। তার বেশি পোস্ট স্প্যামিংয়ের আওতায় আনা হবে।

প্ল্যাগারিজম সম্পর্কে ধারণা -



ওয়েব কনটেন্টের ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। কোনো পোস্টের ক্ষেত্রে বিষয় যদি অন্য কোনো পোস্ট বা কনটেন্ট থেকে হুবহু কপি করা হয় তবে তা প্ল্যাগারাইজেশনের আওতায় পড়ে৷ তাই পোস্ট rewrite এর ক্ষেত্রেও ৭০% নিজেকে লিখতে হবে এবং বাকি ৩০% অন্য কনটেন্ট থেকে নেওয়া যেতে পারে৷ প্ল্যাগারাইজড কনটেন্ট স্পামিংয়ের মধ্যে পরিগনিত হবে।

re write আর্টিকেল কাকে বলে-



বিভিন্ন পোস্ট বা ওয়েব রিসোর্স থেকে কোন একটি বিষয়ের উপর সম্যক ধারণা গ্রহণ করে তা নিজের মতো করে আবার ব্লগে উপস্থাপন করাকে re write আর্টিকেল বলা হয়।

re write আর্টিকেলে কী কী বিষয়ে উল্লেখ করতে হবে?



re write আর্টিকেলে তথ্যসূত্র গুলো সঠিকভাবে উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক এবং কনটেন্ট যাতে প্ল্যাগারিজমের আওতায় না পড়ে তা দেখা একান্ত আবশ্যক। এছাড়া সরাসরি কোনো বক্তব্য বা উক্তি ব্যবহার করলে তা ইনভাটেড কমার ভেতর রাখতে হবে।

একটি পোস্ট কখন ম্যাক্রো ব্লগিং হিসাবে ধরা হবে?



ম্যাক্রো হল মাইক্রোর বিপরীতধর্মী ধারণা। অর্থাৎ যখন একটি পোস্ট বড় আকারে বিবৃত হয় এবং একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে ডিটেইলিং করে তার প্রতিটি দিক বিশদে ব্যাখ্যা করা হয়, তখন তাকে ম্যাক্রো পোস্ট বলে। ম্যাক্রো পোস্ট এর ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে নজর রাখতে হয়। যেমন একই বক্তব্য বারবার উঠে আসছে কিনা অথবা মাত্রাতিরিক্ত এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা ব্লগে স্থান পাচ্ছে কিনা। আর এর বিপরীত পোস্টকে মাইক্রো পোস্ট বলা হয়। যা আকারে ছোট এবং মোটামুটি ১০০ শব্দের মধ্যে লেখা হয়। যদিও মাথায় রাখা দরকার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে পোস্টের টাইটেল লেখবার সর্বোচ্চ শব্দ সংখ্যা ২৫৫ টি এবং পোস্ট লেখবার সর্বোচ্চ শব্দ সংখ্যা ৬৫৫৩৫ টি।

প্রতি ২৪ ঘন্টায় একজন ব্লগার সর্বোচ্চ কটি পোস্ট করতে পারবেন?



আমার বাংলা ব্লগে প্রতি ২৪ ঘন্টায় একজন ব্লগার সর্বোচ্চ তিনটি পোস্ট করতে পারবেন।

শেষের কথা -



সর্বোপরি সবকটি বিষয় নিয়েই আলোচনা করার চেষ্টা করলাম। লেভেল ওয়ানে অর্জিত জ্ঞান ও শিক্ষা থেকে যে ধারণাটুকু অর্জন করেছি তা নিজের মত করে আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম আলোচনার আকারে। আগামীর যাত্রাপথে আপনাদের এভাবেই পাশে চাই। পাঠকদের ভালোবাসা থাকলে আমি নিশ্চয় স্টিমিট প্ল্যাটফর্ম ও আমার বাংলা ব্লগে নিজের ছাপটুকু একদিন রাখতে পারব এই বিশ্বাস মনেপ্রাণে আছে।



--লেখক পরিচিতি--

IMG_20240303_181107_644.jpg

কৌশিক চক্রবর্ত্তী। নিবাস পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়। পেশায় কারিগরি বিভাগের প্রশিক্ষক। নেশায় অক্ষরকর্মী। কলকাতায় লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত৷ কলকাতা থেকে প্রকাশিত কবিতার আলো পত্রিকার সহ সম্পাদক। দুই বাংলার বিভিন্ন প্রথম সারির পত্রিকা ও দৈনিকে নিয়মিত প্রকাশ হয় কবিতা ও প্রবন্ধ। প্রকাশিত বই সাতটি৷ তার মধ্যে গবেষণামূলক বই 'ফ্রেডরিক্স নগরের অলিতে গলিতে', 'সাহেবি কলকাতা ও তৎকালীন ছড়া' জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সাহিত্যকর্মের জন্য আছে একাধিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি। তার মধ্যে সুরজিত ও কবিতা ক্লাব সেরা কলমকার সম্মান,(২০১৮), কাব্যলোক ঋতুভিত্তিক কবিতায় প্রথম পুরস্কার (বাংলাদেশ), যুগসাগ্নিক সেরা কবি ১৪২৬, স্রোত তরুণ বঙ্গ প্রতিভা সম্মান (২০১৯), স্টোরিমিরর অথর অব দ্যা ইয়ার, ২০২১, কচিপাতা সাহিত্য সম্মান, ২০২১ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।



কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

ধন্যবাদ জানাই আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবন্ধুদের৷ ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।


Sort:  
 29 days ago 

লেভেল ওয়ান প্রত্যেকটা লেবেলের চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা শিখার বিষয়। কারণ এখানে কিছু কারেন্সি সম্পর্কে বেসিক ধারণা দেওয়া হয় আপনি এগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন এ কথাটা জেনে খুব ভালো লাগলো। যাইহোক দোয়া করি এগিয়ে যান আশা করি ভবিষ্যতে আপনি অনেক ভালো কিছু করবেন।

 26 days ago 

সত্যিই এই লেভেল খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই লেভেল থেকে যা শিখেছি তা প্রতি পদে কাজে লাগছে। এরপর আরো যে লেভেল গুলো সামনে আছে তা পার হতে হবে। আপনাদের পাশে চাই৷ সবসময় সাথে থাকবেন এই আশা রইল

 29 days ago 

কিছু প্রশ্নপত্র বাকি রয়ে গেছে। আপনি প্রশ্ন পত্রটি পড়ে পোস্ট টি ঠিক দিন।

https://steemit.com/hive-129948/@abb-school/or-or-level-01-exam

 28 days ago 

সব গুছিয়ে ঠিক করে দিয়েছি। আশা করি এবার সবকটি প্রশ্ন ঠিকমতো কভার করতে পেরেছি। প্রথমে শুধু ব্লকচেইনের ধারণা আর ক্রিপ্টোগ্রাফি নিয়ে নিজের ধারণা লিখেছি। তারপর একে একে সবকটি বিষয় কভার করেছি৷ অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এভাবে পাশে থাকবার জন্য।

ভাই আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি লেভেল ওয়ান থেকে অনেক কিছু অর্জন করে নিতে পেরেছেন। এভাবে লেগে থাকুন বাকি ক্লাসগুলোতে তাহলে আপনি আমার বাংলা ব্লগের সকল বিষয় সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পারবেন ধন্যবাদ।

 26 days ago 

হ্যাঁ। আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি শেখার। শেখার সত্যিই কোনো শেষ নাই। যেভাবে প্রতিদিন এই ব্লগ থেকে নতুন নতুন জিনিস শেখবার সুযোগ পাই ও নিজেকে আপগ্রেড করি৷ এই লেভেলের পরে আরো অনেক কিছু শেখবার জন্য মুখিয়ে আছি

 29 days ago 

আপনি দেখছি নেভেল ওয়ানের প্রশ্নগুলো অনেক সুন্দরভাবে উত্তর দিয়েছেন ।এভাবেই এগিয়ে যান ভাইয়া দেখবেন খুব শীঘ্রই আপনিও ভেরিফাইড মেম্বার হয়ে যাবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 62758.86
ETH 3465.23
USDT 1.00
SBD 2.49