ঘুরে এলাম শরৎ বাসভবন, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুকে জানাই বৃষ্টিস্নাত শুভেচ্ছা। এই পরিবেশে সকলে নিশ্চয়ই ভালো আছেন এবং নিরাপদে আছেন। ঝড় বয়ে যাচ্ছে দুই বাংলা জুড়ে। তার মধ্যেই আমরা যে যার কাজে ব্যস্ত। তাই ঠিক করলাম আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুদের জন্য নিয়ে আসি একটি ভালোলাগার জায়গার ঠিকানা।
আমার শহর কলকাতা। আর সেখানে চারপাশে নানান দ্রষ্টব্য। ঠিক এমনই একটি বিশেষ দ্রষ্টব্য স্থলে সেদিন পৌঁছে গেছিলাম একটি অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ বজায় রাখতে। অনুষ্ঠানটি ছিল কবিতার। সাহিত্য জগতে দীর্ঘদিন যুক্ত থাকার সুবাদে পৌঁছে যাই বাংলার বিভিন্ন দিকে। ঠিক সেভাবেই সেইদিন গিয়েছিলাম হাতের কাছে অবস্থিত কলকাতা শহরের প্রাণকেন্দ্র বালিগঞ্জে শরৎচন্দ্র বাসভবনে। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর জীবনের শেষ চারটি বছর এই বাসভবনেই কাটিয়েছিলেন। এখানেই ১৯৩৮ সালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এবং পার্থিব জগতের মায়া কাটিয়ে তিনি পাড়ি দেন আনন্দলোকে। এই বাড়ি থেকেই তাঁর নিথর দেহ কলকাতায় কেওড়াতলা মহাশ্মশানের দিকে নিয়ে যাওয়া হয় অন্তেষ্টিক্রিয়ার জন্য। তাই বাঙালির কাছে ও আপামর সাহিত্যপ্রেমী মানুষের কাছে এই বাড়ি আজও এক তীর্থস্থল। আমন্ত্রণের সুবাদে পৌছে গিয়েছিলাম বাড়িটির একদম অন্দরমহলে। সেই যুগের কড়িবরগা স্থাপত্য চোখ টেনে রাখে যেন সবসময়। অদ্ভুত তার আকর্ষণ। আর চারপাশে যেন দেওয়ালে লেগে আছে আজও শরৎ বাবুর নান্দনিক সুবাস। চোখ বুঝলে আজও যেন দেখা যায় তিনি আরাম কেদারায় বসে হাতে কলম নিয়ে লিখে চলেছেন নিজস্ব ভঙ্গিমায়।
সবদিক থেকে তাই কলকাতায় অবস্থিত এই বাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্বই আলাদা। হুগলি জেলার দেবানন্দপুরে জন্ম হলেও, পরে রূপনারায়ণের ধারে দেউলটিতে বাস করতেন কথা সাহিত্যিক। কিন্তু জীবনের বেশ কয়েকটি বছর তিনি কাটান কলকাতা শহরের এই বাড়িতে। শরৎচন্দ্রের বাড়ি দেখতে প্রচুর মানুষ দেউলটি ভ্রমনে যান প্রতিবছর। কিন্তু ক'জন মানুষ দেখতে আসেন কলকাতাস্থিত তাঁর এই ভিটে? যেখানে আজও সকলের অগোচরে যেন সাড়া দেন কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং যেখানে আজও প্রতিটি ইটের গায়ে যেন লেখা হয়ে আছে তার শেষ জীবনের চার চারটি বছর।
দাদা আজকে খুব চমৎকার একটি পোস্ট করেছ একদম হৃদয় জুড়ানো। এবং তথ্যবহুল পোস্ট। তোমার কবিতার কন্ঠ কিন্তু দারুন। শরৎচন্দ্র সম্পর্কে বিস্তারিত তোমার কাছে জেনে ভালো লাগলো। শুভকামনা তোমার জন্য🌹❤️🌹
তোমাকে অনেক ভালোলাগা জানালাম সেলিনা দিদি। তুমি অনেক সহযোগিতা করছো৷ এর জন্য কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। ভালোবাসা জেনো।
প্রিয় কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কলকাতার বাসভবন নিয়ে লেখা আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবনের শেষ চার বছর কাটানো স্মৃতি বিজরিত বাড়িটি সম্পর্কে জানতে পেরে ভালো লাগলো। আপনার লেখায় বাড়ীটির গুরুত্ব ও অন্যন্যা বিষয় বিশদ ভাবে তুলে ধরেছেন। আপনি ঠিকেই বলেছেন,বাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্বই অপরিসীম। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনার মূল্যবান বক্তব্য আমায় অনুপ্রাণিত করলো৷ অশেষ ভালোবাসা৷ চেষ্টা করব সমস্ত অজানা তথ্য সকলের গোচরে নিয়ে আসতে৷ শুভকামনা রইল।
শরৎচন্দ্র আমার অনেক পছন্দের একজন লেখক। তবে তার সম্পর্কে এতো কিছু জানা ছিল না। আপনার পোস্ট থেকে বেশ কিছু তথ্য পেলাম।এই বাড়িতেই তাহলে উনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পাশাপাশি জীবনের বেশ অনেক টা সময় এখানেই অতিবাহিত করেন। সেক্ষেত্রে উনার অনেক স্মৃতি এখানে রয়েছে। বেশ ভালো ছিল আপনার পোস্ট টা।
খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য। আমার পোস্ট মন দিয়ে পড়েছেন বলে অনেক ধন্যবাদ। এই বাড়িটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের শেষ দিনগুলোর সাক্ষী। এখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এখনও বাড়িটিতে ঢুকলে যেন শিহরণ হয়।
অনেক ধন্যবাদ, তবে লেখার পরিমান কিছুটা বৃদ্ধি করার পরামর্শ রইল, এছাড়াও মার্কডাউনের কিছু বিষয় আছে যেগুলোর ব্যবহারের মাধ্যমে পোষ্টের সৌন্দর্য বহুগুনে বৃদ্ধি করা সম্ভব, পোষ্টের লিংকটি নিচে দেয়া হলো-
https://steemit.com/hive-129948/@abb-school/level-03-lecture-sheet
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। সুন্দর ভাবে সহায়তা করলেন অনেক কিছু শিখতে। এই ব্লগে আন্তরিকতা চোখে পড়বার মতো৷ এমন একত্রিত প্রচেষ্টা যেকোনো উদ্যোগকেই সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে যেতে পারে৷ মার্কডাউন গুলো জেনে এখন পোস্টগুলো সাজাতে খুব সুবিধা হচ্ছে৷