উত্তরবঙ্গের জলঢাকা নদী ও জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। ভিডিওগ্রাফি পোস্ট।
উত্তরবঙ্গের জলঢাকা নদীর ভিডিওগ্রাফি
🙏 সকলকে স্বাগত জানাই 🙏
আজ আপনাদের সামনে একটি ভিডিওগ্রাফির পোস্ট নিয়ে এলাম। এই পোস্টে আপনারা তিরতির করে বয়ে যাওয়া একটি পাহাড়ি নদী দেখতে পাচ্ছেন। সেই নদীটির এক পাশে বসে আমি ভিডিওগ্রাফিটি গ্রহণ করেছি। এই ভিডিওগ্রাফিতে যে নদীটি দেখতে পাচ্ছেন তার নাম জলঢাকা নদী।
বর্তমানে উত্তরবঙ্গে বেড়াতে এসেছি। এখানে এসে পাহাড়ের উপর পৌঁছে গিয়েছি জলঢাকা নদীর ধারে। আপনারা যদি এই জায়গার মানচিত্রটি লক্ষ্য করেন তবে বুঝতে পারবেন জলঢাকা নদী হল ভারত ভুটান সীমান্তে অবস্থিত একটি পাহাড়ি নদী। এই নদীটির জলকে আটকে টারবাইন ঘুরিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। আমি ঠিক সেই জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিলাম যেখানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে অনবরত। সেই জায়গাটি প্রাকৃতিক দৃশ্যের দিক থেকে অনবদ্য। আর এই পাহাড়ি গ্রামটির নাম হল বিন্দু। সেই বিন্দু গ্রামটি একেবারে ভারতের সীমান্তে অবস্থিত। কারণ বিন্দু গ্রামের পরেই জলঢাকা নদী পার হলে ভুটানে প্রবেশ করা যায়। তাই ভারত ভুটান সীমান্তে এই অনবদ্য নদীটি ঘুরতে যাওয়ার জন্য অসাধারণ একটি জায়গা। এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য এক কথায় অসাধারণ। একবার গেলে সেখান থেকে চট করে ফিরে আসতে মন চাইবে না।
এই বিন্দু গ্রামে পৌঁছে আমি জলটাকা নদীর উপরে একটি পাথরে অনেক সময় বসেছিলাম। আর সেখানে বসেই এই ভিডিওগ্রাফিটি গ্রহণ করি। নদীটি পাহাড় থেকে নেমে এসে খরস্রোতে এগিয়ে চলেছে সমতলের দিকে। মাঝখানে প্রচুর পরিমাণে পাথর, যার উপর দিয়ে বয়ে চলেছে জলঢাকা নদীটি। আর তার ধারে বিন্দু গ্রামের মানুষেরা পসরা সাজিয়ে বসেছে বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করতে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় হস্তশিল্পের জিনিসপত্র থেকে শুরু করে তিব্বতীয় ঘরানার বহু দ্রব্য এবং স্থানীয় চকোলেট ও চা তারা বিক্রি করছে। বাঙালির সেসব জিনিসে আগ্রহের শেষ নেই। ঘুরতে যাওয়া বাঙালি পরিবারেরা সেই সব দোকানে ভিড় জমিয়ে প্রতিনিয়ত কেনাকাটি করছেন বিভিন্ন জিনিসপত্র। আর স্থানীয়রা এই সুযোগে কিছু কর্মসংস্থান করে উঠতে পেরেছেন। গ্রামটিতে মানুষের সংখ্যা খুবই কম। এক দিক দিয়ে বয়ে যাওয়া খরস্রোতা জলঢাকা, আর অন্য পাশে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অফিস, এই নিয়ে ছোট্ট গ্রাম বিন্দু।
আপনাদের সঙ্গে এই জলঢাকা নদীর কয়েকটি ছবি এবং আমার গ্রহণ করা একটি ভিডিও শেয়ার করলাম। যদি আপনাদের ভিডিও গ্রাফিটি ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে আমার উৎসাহ বৃদ্ধি করবেন।
💐ভিডিওগ্রাফি💐
🙏 ধন্যবাদ 🙏
(১০% বেনিফিশিয়ারি প্রিয় লাজুক খ্যাঁককে)
--লেখক পরিচিতি--
কৌশিক চক্রবর্ত্তী। নিবাস পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়। পেশায় কারিগরি বিভাগের প্রশিক্ষক। নেশায় অক্ষরকর্মী। কলকাতায় লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত৷ কলকাতা থেকে প্রকাশিত কবিতার আলো পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। দুই বাংলার বিভিন্ন প্রথম সারির পত্রিকা ও দৈনিকে নিয়মিত প্রকাশ হয় কবিতা ও প্রবন্ধ। প্রকাশিত বই সাতটি৷ তার মধ্যে গবেষণামূলক বই 'ফ্রেডরিক্স নগরের অলিতে গলিতে', 'সাহেবি কলকাতা ও তৎকালীন ছড়া' জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সাহিত্যকর্মের জন্য আছে একাধিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি। তার মধ্যে সুরজিত ও কবিতা ক্লাব সেরা কলমকার সম্মান,(২০১৮), কাব্যলোক ঋতুভিত্তিক কবিতায় প্রথম পুরস্কার (বাংলাদেশ), যুগসাগ্নিক সেরা কবি ১৪২৬, স্রোত তরুণ বঙ্গ প্রতিভা সম্মান (২০১৯), স্টোরিমিরর অথর অব দ্যা ইয়ার, ২০২১, কচিপাতা সাহিত্য সম্মান, ২০২১ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
ধন্যবাদ জানাই আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবন্ধুদের৷ ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।
https://x.com/KausikChak1234/status/1872657179293131043?t=9ocrHEIlGtjUVEp_-ZVTHg&s=19
Daily tasks-
দাদা আপনার এই ভিডিওটা দেখার মধ্য দিয়ে আমি বেশ অনেক কিছু ধারণা পেলাম। খুব সুন্দর ভাবে আপনি ভিডিও ধারণ করেছেন। এমন সুন্দর স্থানগুলো ভ্রমণ করতে এমনিতেই ভালো লাগে। আশা করব আপনি আপনাদের দেশের সুন্দর সুন্দর স্থান গুলো দর্শন করবেন এবং আমাদের দেখার সুযোগ করে দিবেন।
ব্লগের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গার ছবি এবং ভিডিও আপনাদের সামনে তুলে আনবো ভাই। ধীরে ধীরে সবকিছু লিখব। আমার এই ভিডিওগ্রাফি আপনার ভালো লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ।