কবিতার পাতায় আজকের কবিতা - পথ।
আজকের কবিতার পাতায় কবিতা - পথ
🙏 সকলকে স্বাগত জানাই🙏
আমাদের চলার পথ যেমন দুর্গম তেমন বন্ধুর। সেই পথে চলতে চলতে আমরা কখনো হারিয়ে যাই অনির্দিষ্ট ঠিকানায়। জীবনে অনেক ধরনের অভিজ্ঞতা নিয়ে হেঁটে চলতে হয় ভবিষ্যতের দিকে। আর মানসিকভাবে আমরা সেই সব অভিজ্ঞতার জন্য তৈরিও থাকি না। একটি অনির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার নামই জীবন। কিন্তু কোন বিক্ষিপ্ত ঠিকানাকে নির্দিষ্ট দিকে পরিচালনা করবার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি। আজ একটি কবিতা আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম, যার মূল বক্তব্যই হলো জীবনের সেই চলার পথ। আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম চিন্তাভাবনার মধ্য দিয়ে যাই। কখনো বন্ধু হয়ে কারো পাশে দাঁড়াতে হয়। আবার কখনো নিজের জন্য সাহায্য প্রয়োজন হয় কারোর থেকে। জীবনের সঙ্গে এখানে জোয়ার ভাঁটাকে তুলনা করা হয়েছে। প্রবল জোয়ার ভাঁটায় যেমন জল বাড়ে কমে, ঠিক তেমনভাবে জীবনের স্রোতও বিভিন্ন দিকে ধাবিত হয়। কবিতা হল জীবনের দলিল। নির্দিষ্ট সময়কালকে বেঁধে রাখার একটি উপায় হল কবিতা। এখানে কবিতার মাধ্যমে আমি জীবনের সেই ওঠাপড়া গুলিকে ধরবার চেষ্টা করেছি। তবু সবকিছুর পরেও আমরা দীর্ঘ পথ হাটতে চাই একসাথে। আর সেই দীর্ঘ পথের দিকেই আমাদের চেয়ে থাকা।
☘️কবিতা☘️
পথ
কৌশিক চক্রবর্ত্তী
নতুন পথে না যদি যাই, নতুন পথে আসি
আশপাশেতে কুড়িয়ে নেব আবার ভাঙা বাঁশি।
নিজের নামে রাখবো নদী, নিজের নামে পথে
সব কটা দিন গুছিয়ে তখন রাখছি ভবিষ্যতে।
আবার খেলে জোয়ার ভাটা, আবার ডোবে পাড়
আঙুল টুকু ভিজছে কেবল, পা গুলি সব্বার।
তখন যদি শরীরটুকু ভেজাতে চাই আরও
হয়তো সেদিন তুমিও আমায় আবার চিনতে পারো।
বিপদ হলে আমায় ডেকো, চিনিয়ে দেবো ধুলো
রাতের আলো ঝলসে দেবে তখন শরীরগুলো।
হয়ত তখন রাস্তা থেকে ফিরবে পায়ের ছাপ
অনেকটা দূর হাঁটব বলে বাড়বে জুতোর মাপ।
দাম দিও না রাস্তাটুকুর, যদিও আমি ঘুরি
শহরটাকে শিখিয়ে দিলাম আমার বাহাদুরি।
রাস্তা করা বিপজ্জনক সকল নদীর ধারে
হয়তো তোমার শরীর ঘেঁষে সে পথ যাবে সরে।
🙏 ধন্যবাদ 🙏
(১০% বেনিফিশিয়ারি প্রিয় লাজুক খ্যাঁককে)
--লেখক পরিচিতি--
কৌশিক চক্রবর্ত্তী। নিবাস পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়। পেশায় কারিগরি বিভাগের প্রশিক্ষক। নেশায় অক্ষরকর্মী। কলকাতায় লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত৷ কলকাতা থেকে প্রকাশিত কবিতার আলো পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। দুই বাংলার বিভিন্ন প্রথম সারির পত্রিকা ও দৈনিকে নিয়মিত প্রকাশ হয় কবিতা ও প্রবন্ধ। প্রকাশিত বই সাতটি৷ তার মধ্যে গবেষণামূলক বই 'ফ্রেডরিক্স নগরের অলিতে গলিতে', 'সাহেবি কলকাতা ও তৎকালীন ছড়া' জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সাহিত্যকর্মের জন্য আছে একাধিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি। তার মধ্যে সুরজিত ও কবিতা ক্লাব সেরা কলমকার সম্মান,(২০১৮), কাব্যলোক ঋতুভিত্তিক কবিতায় প্রথম পুরস্কার (বাংলাদেশ), যুগসাগ্নিক সেরা কবি ১৪২৬, স্রোত তরুণ বঙ্গ প্রতিভা সম্মান (২০১৯), স্টোরিমিরর অথর অব দ্যা ইয়ার, ২০২১, কচিপাতা সাহিত্য সম্মান, ২০২১ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
ধন্যবাদ জানাই আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবন্ধুদের৷ ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।
https://x.com/KausikChak1234/status/1876888572818522170?t=oXWpL_OLyrck8AHujF2OFg&s=19
Daily tasks-
আজও আপনার কবিতার ডায়েরি থেকে দারুণ একটি কবিতা লিখেছেন ভাইয়া। আপনার কবিতাটি পড়ে অসম্ভব ভালো লেগেছে। কবিতার প্রতিটি লাইন আর ভাষাগুলো চমৎকার ছন্দে ছন্দে ফুটিয়ে লিখেছেন।
খুবই সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। কবিতার ভাষাগুলো অসাধারণ হয়েছে। আপনার এই কবিতা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার কবিতাটি আপনার ভালো লেগেছে শুনে অনেক আনন্দ পেলাম।
অনেক সুন্দর লাইনগুলো। একদম মনের মাধুরী মিশিয়ে লেখা আপনার কবিতা। বেশ ভালো লাগলো এত সুন্দর ভাবে কবিতার লাইন গুলো লিখেছেন দেখে। কবিতা মনের কথা বলে। মনের ভালো লাগার অনুভূতিগুলো লাইনে লাইনে প্রকাশ করা যায়। অনেক ভালো লাগলো দাদা।
কি সুন্দর কবিতাটা লিখেছ, মাত্রা মিলিয়ে ছন্দে এত সুন্দর কবিতা খুব কম জনই লিখতে পারে। এছাড়াও কবিতার মধ্যে তোমার বক্তব্য মনে দাগ কাটার মত। বাকি শব্দ চয়ন নিয়ে তো কোনো কথা বলার জায়গায় নেই।
একদম মনের মাধুর্য মিশিয়ে কবিতা লিখেছেন দাদা। বেশ ভালো লাগলো কবিতা আবৃত্তি করে। লাইনগুলো জাস্ট অসাধারণ ছিল। ছন্দ মিল এর পাশাপাশি সুন্দর সুন্দর ওয়ার্ড ব্যবহার। তাই কবিতাটা অসাধারণ হয়ে উঠেছে।
বাহ দারুণ ভাই। চমৎকার লাগল আপনার কবিতা টা। সত্যি দারুণ লিখেছেন। শব্দের অর্থের এবং ছন্দের অসাধারণ একটা মেলবন্ধন সৃষ্টি হয়েছে এই কবিতায়। সবমিলিয়ে অসাধারণ ছিল আপনার কবিতা টা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।