শিশু দিবস উপলক্ষে বিদ্যালয়ে ফুড ফেস্টিভ্যাল৷ একটি সচিত্র প্রতিবেদন।
শিশু দিবস উপলক্ষে বিদ্যালয়ে ফুড ফেস্টিভ্যাল
আজ স্কুলে হয়ে গেল ফুড ফেস্টিভ্যাল। অর্থাৎ শিক্ষক এবং ছাত্ররা সকলে মিলে আজ শিশু দিবসের দিনে মিলিত হয়েছিল বিভিন্ন রকমের খাবার নিয়ে। সেই সব খাবারের বৈচিত্র অনেক। আজ সকাল থেকেই ছিল সাজো সাজো রব। তার মধ্যে সকলে যে যার প্রস্তুতকরণের খাবার নিয়ে তৈরি হয়েছিল। একটি বড় হলঘরে সম্পূর্ণ প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করা হয়েছিল স্কুলের তরফে। সেখানেই সকল শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা এবং শিক্ষক শিক্ষিকারা আলাদা আলাদা বিভাগে অংশগ্রহণ করে তাদের নিজস্ব খাবার নিয়ে। কি ছিল না তাতে? ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবার থেকে শুরু করে বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিভিন্ন খাবার, সবকিছুর আয়োজন ছিল আজ ওই একটি ঘরের মধ্যে। আর বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নামকরা ৬ জন শেফ। তারা প্রত্যেকেই খ্যাতিসম্পন্ন। প্রথমেই সকল প্রতিযোগীর খাবার থেকে তারা স্বাদ গ্রহণ করল। বিচার করতে হলে তাদের সকল স্বাদ গ্রহণ করতেই হত। তাই অল্প অল্প করে তারা প্রত্যেকে বিভিন্ন খাবারের স্বাদ গ্রহণ করল। তারপর সেখান থেকে ছাত্র এবং শিক্ষকদের বিভাগে আলাদা আলাদা বিজয়ী ঘোষণা করল। পুরস্কার দেয়া হলো তাদের।
আজ শিশু দিবস। পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুর জন্মদিন। তিনি ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। শিশুদের নিয়ে তাঁর বিশেষ ভাবনা এবং মানসিকতার জন্য তাঁর জন্মদিনটিকে শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয় ভারতবর্ষে। তাঁর প্রধানমন্ত্রীত্বের কালে তিনি শিশুদের নিয়ে আলাদাভাবে চিন্তা করেছিলেন বিভিন্ন কমিটি তৈরি করে। তাই আজকের দিনটি শিশু দিবস। আর এই দিনে বিভিন্ন স্কুল কলেজে বহু অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়ে থাকে। আমাদের বিদ্যালয়েও তাই আজ আয়োজন ছিল বিভিন্ন অনুষ্ঠানের। শিশুদের জন্য ছিল নাচ গানের আয়োজন। আর তুলনামূলক বড়দের জন্য এই ফুড ফেস্টিভাল।
বিচারকরা চলে যাওয়ার পর আমরা বাকি শিক্ষকরা গিয়েছিলাম সকল রান্না টেস্ট করতে। লোভ প্রথম থেকেই লাগছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই অঞ্চলে প্রথমে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আগে বিচারকরা থাকবে তারপর বাকিরা, এটাই ঠিক হয়েছিল নিয়ম হিসাবে। আর সেই মতো আমরা একটু পরে গিয়েছিলাম সেই প্রতিযোগিতার ঘরে। তারপর খাবার-দাবারের যে কিছু অংশ পড়েছিল তার থেকে কিছু স্বাদ গ্রহণ করলাম। সবকটা রান্নাই অসাধারণ হয়েছিল। বিশেষ করে সুসি নামক একটি জাপানি পদ আজ প্রথমবার খেলাম। তার সাথে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের পদ তো ছিলই। সব মিলিয়ে এই ফুড ফেস্টিভালে বেশ আনন্দ হল এবং অনেক কিছু খাওয়া-দাওয়া হলো।
চেষ্টা করেছি আজকের এই অনুষ্ঠানের কিছু ছবি আপনাদের জন্য শেয়ার করতে। যদি আপনাদের ভালো লাগে নিশ্চয়ই মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন।
🙏 ধন্যবাদ 🙏
(১০% বেনিফিশিয়ারি প্রিয় লাজুক খ্যাঁককে)
--লেখক পরিচিতি--
কৌশিক চক্রবর্ত্তী। নিবাস পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়। পেশায় কারিগরি বিভাগের প্রশিক্ষক। নেশায় অক্ষরকর্মী। কলকাতায় লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত৷ কলকাতা থেকে প্রকাশিত কবিতার আলো পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। দুই বাংলার বিভিন্ন প্রথম সারির পত্রিকা ও দৈনিকে নিয়মিত প্রকাশ হয় কবিতা ও প্রবন্ধ। প্রকাশিত বই সাতটি৷ তার মধ্যে গবেষণামূলক বই 'ফ্রেডরিক্স নগরের অলিতে গলিতে', 'সাহেবি কলকাতা ও তৎকালীন ছড়া' জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সাহিত্যকর্মের জন্য আছে একাধিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি। তার মধ্যে সুরজিত ও কবিতা ক্লাব সেরা কলমকার সম্মান,(২০১৮), কাব্যলোক ঋতুভিত্তিক কবিতায় প্রথম পুরস্কার (বাংলাদেশ), যুগসাগ্নিক সেরা কবি ১৪২৬, স্রোত তরুণ বঙ্গ প্রতিভা সম্মান (২০১৯), স্টোরিমিরর অথর অব দ্যা ইয়ার, ২০২১, কচিপাতা সাহিত্য সম্মান, ২০২১ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
ধন্যবাদ জানাই আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবন্ধুদের৷ ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/KausikChak1234/status/1857129014889980024?t=TDh7Kj6K166vjiBRGSA1sg&s=19
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 5/6) Get profit votes with @tipU :)
দারুণ সব খাবারদাবার৷ আহা কী লোভনীয়৷ বাচ্চারা এতো সুন্দর করে সাজিয়েছে যা প্রশংসা না করে পারা যায় না৷ প্রতিটা খাবারের নাম জানলে আরও ভালো লাগত৷ সুসি কেমন লাগল খেতে? আমার অনেকদিনের ইচ্ছে সুসি বানানোর৷ কিন্তু সে আর হয়ে ওঠে না৷ আসলে রান্না হল অদ্ভুত শিল্প যা মানুষের মন ও পেট দুটোই মনোরম করে তোলে।
সত্যিই ভীষণ সুন্দর করে সাজিয়েছিল সবকিছু। প্রতিটি খাবার দেখেই যেন লোভ হচ্ছিল। তবে সুসি আমার খুব একটা ভালো লাগেনি। কিন্তু দেখতে অসাধারণ হয়েছিল।
শিশু দিবস উপলক্ষে খুব সুন্দর ফুড ফেস্টিবলের আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন লোভনীয় খাবারগুলো দেখে তো বেশ ভালো লাগলো। দেখে ইচ্ছে করছে একটু টেস্ট করে দেখি। সবাই মিলে খুব দারুণ মুহূর্ত কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার এই মুহূর্তগুলো এবং লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু। সত্যিই সুন্দর একটি সময় কেটেছে শিশুদের নিয়ে। আর তারা যে ধরনের অভিনব সব খাবার করে এনেছিল তাদেরকে আমরা সকলেই অবাক হয়েছি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এমন সুন্দর মন্তব্য করবার জন্য।