দীঘার সী বিচে স্পেশাল মাছভাজা ও তার অপূর্ব স্বাদ। ফুড ব্লগিং।
দীঘার সী বিচের স্পেশাল মাছ ভাজা
দীঘা বলতে যা প্রথম মনে আসে তা হল সমুদ্র। আর ভ্রমণপ্রিয় বাঙালি দীঘা গিয়ে আরেকটি জিনিস ভীষণ পছন্দ করে, তা হল মাছ ভাজা। আর দীঘা সী বিচে এই ধরনের মাছ ভাজার সম্ভার পাওয়া যায়। আজ আপনাদের দিঘার বিচে সেইসব মাছ বাজার দোকানের ছবি দেখাবো এবং তার সঙ্গে বিবরণ পোষ্টের মাধ্যমে লিখব। কারণ কিছুদিন আগে আমি কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে দীঘা বেড়াতে গিয়েছিলাম। আর সেখানে গিয়ে সমুদ্রের বিচে বেড়াতে বেড়াতে মাছ ভাজা খেয়েছিলাম। তাই আপনাদের জন্য মাছ ভাজার দোকানে রাখা কিছু মাছের ছবি তুলে রেখেছিলাম মোবাইলে। আর সেই সব ছবি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি।
দীঘার সী বিচে যেসব মাছ ভাজার দোকান আছে সেগুলিতে বিভিন্ন ধরনের মাছের ফ্রাই কিনতে পাওয়া যায়। এইসব মাছের ফ্রাই খেতে যেমন সুস্বাদু তেমন টাটকাও৷ যদিও এখানে প্রচুর পরিমাণ মাছ রাখা থাকে, কিন্তু সেগুলি কোনটাই খারাপ নয়। সবদিক থেকে সেই মাছগুলি ভীষণ টাটকা এবং খেতে ভীষণ ভালো। তাই প্রচুর পরিমাণ পর্যটক এই দোকানগুলি থেকে মাছ ভাজা অর্ডার দিয়ে খেয়ে থাকেন। দীঘার মাছ এমনিতেই বিখ্যাত। সমুদ্রের ধারে বন্দর শহর বলে এখানে আলাদা করে মৎস্য-বন্দর গড়ে উঠেছে। আর সেখানে পশ্চিমবাংলার সবথেকে বেশি পরিমাণ মাছ ধরা হয়। যেসব মাছ প্রতিদিন সারা ভারতের বিভিন্ন বাজারে রপ্তানি করা হয়। তাই দীঘা বেড়াতে গেলে মাছ খাবেন না তা যেন না হয়। অবশ্যই এখানকার লোকাল মাছের স্বাদ গ্রহণ করবেন।
আমি এইবারে বেড়াতে গিয়ে যেসব মাছ খেয়েছি তার মধ্যে চিঙড়ি, পমফ্রেট এবং ভেটকি অন্যতম। এই তিনরকম মাছ খেতে আমি ভালোবাসি। আর সমুদ্রের ধারে বেড়াতে গেলে মাছের ফ্রাই আমি অবশ্যই খাই। কিন্তু এই মাছ ছাড়াও ওইসব দোকানগুলিতে অনেক ধরনের মাছ কিনতে পাওয়া যায়। এমনকি এমন কিছু রকমের মাছ কিনতে পাওয়া যায় যা সাধারণত আমাদের বাজারে পাওয়া যায় না। যেমন এইবার গিয়ে দেখলাম অক্টোপাসের ফ্রাই বিক্রি হচ্ছে। যদিও আমি এমন ধরনের মাছ খেয়ে দেখতে পারিনি। সাধারণ কয়েকটি মাছ খেয়েছিলাম। দোকানগুলিতে যেসব মাছ পাওয়া যাচ্ছিল তার মধ্যে চিংড়ি, ভেটকি, ইলিশ, চিতল, অক্টোপাস, সার্ডিন এইসব উল্লেখযোগ্য। দীঘা গিয়ে মাছ ভাজার স্বাদ যে আস্বাদন করেছে, সে কখনোই স্বাদ ভুলতে পারবে না। এমনি বাজারের মাছ এবং দীঘা মোহনার মাছের মধ্যে তফাৎ আছে। এখানে মোহনার স্বাদু জলের অসাধারণ সব মাছ জালে ধরা পড়ে। ফলে সারা ভারতের মধ্যে এটি একটি অন্যতম মৎস্যবন্দর হিসেবে পরিচিত।
🙏 ধন্যবাদ 🙏
(১০% বেনিফিশিয়ারি প্রিয় লাজুক খ্যাঁককে)
--লেখক পরিচিতি--
কৌশিক চক্রবর্ত্তী। নিবাস পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়। পেশায় কারিগরি বিভাগের প্রশিক্ষক। নেশায় অক্ষরকর্মী। কলকাতায় লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত৷ কলকাতা থেকে প্রকাশিত কবিতার আলো পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। দুই বাংলার বিভিন্ন প্রথম সারির পত্রিকা ও দৈনিকে নিয়মিত প্রকাশ হয় কবিতা ও প্রবন্ধ। প্রকাশিত বই সাতটি৷ তার মধ্যে গবেষণামূলক বই 'ফ্রেডরিক্স নগরের অলিতে গলিতে', 'সাহেবি কলকাতা ও তৎকালীন ছড়া' জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সাহিত্যকর্মের জন্য আছে একাধিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি। তার মধ্যে সুরজিত ও কবিতা ক্লাব সেরা কলমকার সম্মান,(২০১৮), কাব্যলোক ঋতুভিত্তিক কবিতায় প্রথম পুরস্কার (বাংলাদেশ), যুগসাগ্নিক সেরা কবি ১৪২৬, স্রোত তরুণ বঙ্গ প্রতিভা সম্মান (২০১৯), স্টোরিমিরর অথর অব দ্যা ইয়ার, ২০২১, কচিপাতা সাহিত্য সম্মান, ২০২১ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
ধন্যবাদ জানাই আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবন্ধুদের৷ ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।
https://x.com/KausikChak1234/status/1884480809156902984?t=ctsrgQmc_ks6DLHv40KAFA&s=19
Daily tasks-
বাহ আপনি তো বীচ থেকে বেশ মজার মজার খাবার খেলেন ভালো লাগলো দেখে। কিছু কিছু নদীর মাছ স্পেশালি অনেক মজার হয়। আপনারা দীঘা বীচে গেলেন সেখানে ফ্রেশ মাছ খেলেন। আপনার অনুভূতি পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে। সেই সুন্দর মুহূর্তটি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
দীঘার সী বিচে তো দেখতেছি,বিচের সৌন্দর্যের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের মাছের সৌন্দর্যতাও ফুটে উঠেছে। বেশ কয়েক ধরনের মাছ দেখতেছি টেস্ট ও করেছেন আপনি। ভেটকি মাছের শুটকি দিয়ে আজকেই আমি একটি রেসিপি তৈরি করলাম খেতে ভালোই স্বাদ লাগে।দীঘার সী বিচে কাটানো অনুভূতির একাংশ খুবই সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। আপনার ফুড ব্লগ টি খুবই ভালো লাগলো আমার কাছে।