কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় সেরা প্রাবন্ধিক পুরস্কার পাওয়ার অনুভূতি।
কলকাতা বইমেলায় প্রাপ্ত সম্মাননা পদক
🙏 সকলকে স্বাগত জানাই 🙏
আরও একটি পালক৷ ভালোবাসার আর এক নাম জীবন৷ আর সেই জীবনে চলার পথে বারবার ফিরে আসে শ্বাস নেবার সক্ষমতা৷ তাই তো বেঁচে থাকা। প্রবন্ধ লেখা শুরু করেছিলাম একান্ত ভালোলাগার জায়গা থেকে। কবিতা তো অনেক লিখেছি। কিন্তু প্রবন্ধ নিয়ে যে তিনটি বইয়ের কাজ করেছি, সেই বইগুলিও আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। শ্রীরামপুর হোক বা কলকাতা, অথবা মুর্শিদাবাদ, এই গোল্ডেন ট্র্যাঙ্গেলটি আজ যেন পরিপূর্ণ। ইতিহাসের কানাকানি আমাকে নাড়িয়ে দেয় বারবার। আর তার ফলস্বরূপ স্বপ্নগুলো জড়ো করতে শিখে মলাট বন্দি করে তুলে দিয়েছি আপনাদের হাতে। এরপর পাওয়া প্রাপ্তিগুলোই আমার বেঁচে থাকবার রসদ। ঠিক যেমনভাবে বইমেলার মধ্যেই পাঞ্চজন্য পত্রিকা থেকে এই অধমকে নির্বাচিত করা হল সেরা প্রাবন্ধিক হিসাবে। আমার ফ্রেডরিক্স নগরের অলিতে গলিতে বইটি আজ অনেকের ঘরেই পাওয়া যাবে। আর সেই বইয়ের জন্য আমার ঘরে পাওয়া যাবে শ্রদ্ধেয় সাহিত্যিক অনিল ঘড়াইয়ের নামাঙ্কিত 'অনিল ঘড়াই স্মৃতি সম্মাননা, ২০২৫'। স্থান - নারায়ণ সান্যাল সভাঘর, কলকাতা বইমেলার তিন নম্বর গেটের পাশে।
অনিল ঘড়াই একজন প্রথিতযশা কথা সাহিত্যিক। তাঁর বিভিন্ন লেখা বই আজও মানুষ কিনে নিয়ে পড়ে। আর যখন আমাকে নির্বাচিত করা হয় কলকাতা বইমেলা প্রাঙ্গণে সেই শ্রদ্ধেয় ব্যক্তির নামাঙ্কিত পুরস্কার প্রদান করার জন্য, তখন মনের মধ্যে এক অদ্ভুত হাওয়া বয়ে যায়। আর যে হাওয়াটা জীবনে বড় জরুরি। শ্রদ্ধেয় সাহিত্যিক অনিল ঘড়াইয়ের নামাঙ্কিত এই পুরস্কার যখন আমার নামে ঘোষণা হয়, তখন বারবার মনে হয় আমি ঠিক পথেই চলছি। যে পথে চললে আমি নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে পৌঁছে যেতে পারি। আর সেই পথে বাধা তো থাকবেই। কিন্তু সকল বাধাকে উত্তীর্ণ করে আমার কাজ হল সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া এবং আমার গবেষণাধর্মী কর্মকাণ্ডকে আরও টেনে নিয়ে যাওয়া। যতদিন বেঁচে থাকবো লিখতে চাই। আর সেই লেখার কোন বিরাম নেই। পথে মুকুট আসুক আর কাঁটা, লেখাই হল আমার একমাত্র উদ্দেশ্য।
শ্রদ্ধেয় অনিল ঘড়াই স্মৃতি সাহিত্য সম্মাননা দিয়ে আমার কাজের দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পুরস্কার আসলে একটি মাইলস্টোন। আর এই মাইলস্টোন সামনে পড়লে দেখে নিতে হয় আর কত দূরত্ব বাকি। লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য না থাকলে পথ চলা যায় না। লক্ষ্যহীন পথ চলার কোন দিশা নেই। তাই এই মাইলস্টোনগুলো সাহায্য করে সঠিক পথ চিনতে। পুরস্কার আসলে এক স্বীকৃতি মাত্র। আর সেই স্বীকৃতি মাথার মুকুটে একটি পালক হলেও, আমি চাই না সেই পালক কখনো নষ্ট হয়ে যাক। আসলে ভবিষ্যতে কাজই কথা বলবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আর সেই কাজের লক্ষ্যেই যাবতীয় স্বার্থত্যাগ। বাকিটা তো আপনারা বলবেন। আজ পুরস্কার পাওয়ার এই মুহূর্তে আমি আমার সকল পাঠক এবং শুভানুধ্যায়ী বন্ধুদের আরো একবার হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা জানালাম।
পুরস্কার পাওয়ার মুহূর্তটি আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে পেরে ভালো লাগলো। আপনারাও আরো আশীর্বাদ করবেন, যাতে আমার বই এবং কাজগুলি আরো মানুষের মাঝে পৌঁছে যেতে পারে। যতদিন বেঁচে থাকব কাজ করতে চাই। আপনাদের ভালোবাসা তার জন্য ভীষণ প্রয়োজন।
🙏 ধন্যবাদ 🙏
(১০% বেনিফিশিয়ারি প্রিয় লাজুক খ্যাঁককে ও ৫% এবিবি চ্যারিটিকে)
--লেখক পরিচিতি--
কৌশিক চক্রবর্ত্তী। নিবাস পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়। পেশায় কারিগরি বিভাগের প্রশিক্ষক। নেশায় অক্ষরকর্মী। কলকাতায় লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত৷ কলকাতা থেকে প্রকাশিত কবিতার আলো পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। দুই বাংলার বিভিন্ন প্রথম সারির পত্রিকা ও দৈনিকে নিয়মিত প্রকাশ হয় কবিতা ও প্রবন্ধ। প্রকাশিত বই সাতটি৷ তার মধ্যে গবেষণামূলক বই 'ফ্রেডরিক্স নগরের অলিতে গলিতে', 'সাহেবি কলকাতা ও তৎকালীন ছড়া' জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সাহিত্যকর্মের জন্য আছে একাধিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি। তার মধ্যে সুরজিত ও কবিতা ক্লাব সেরা কলমকার সম্মান,(২০১৮), কাব্যলোক ঋতুভিত্তিক কবিতায় প্রথম পুরস্কার (বাংলাদেশ), যুগসাগ্নিক সেরা কবি ১৪২৬, স্রোত তরুণ বঙ্গ প্রতিভা সম্মান (২০১৯), স্টোরিমিরর অথর অব দ্যা ইয়ার, ২০২১, কচিপাতা সাহিত্য সম্মান, ২০২১ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
ধন্যবাদ জানাই আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবন্ধুদের৷ ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/KausikChak1234/status/1887202101484281882?t=L_TvigqMeL0zhnVfmsF9oA&s=19
Daily tasks-
প্রথমেই আপনার অর্জনের জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাই দাদা। অবশ্যই পথচলায় এমন স্বীকৃতি/ সম্মাননা যেমন উৎসাহ দেয়, তেমনি দ্বায়িত্ববোধ ও বাড়িয়ে দেয় বটে। আশা করছি আপনার লেখা, আপনার বই আরোও অনেক অনেক বেশি মানুষের হাতে পৌঁছাতে পারুক। আপনার জন্য শুভকামনা।
নিজের লেখা বইয়ের জন্য সম্মাননা পাওয়া সত্যি অনেক আনন্দের বিষয়। আপনি বইমেলার সেরা প্রাবন্ধিক হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো দাদা। আপনার এই সম্মাননা আপনাকে আরো সম্মানের শিখরে পৌঁছে যেতে অনুপ্রাণিত করবে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল দাদা।