কিছু শব্দ বিদ্রোহীরুপে কবিতার জন্ম দেয় ||ঘুমন্ত খোকন||প্রিয় লাজুক শেয়ালের জন্য ১০%
চারিদিকে বাস্তবতার চিত্র এক দারুন মর্মান্তিক।এমনই কঠিন বাস্তবতা যে কথা বলাও যায় না,মেনেও নেওয়া যায় না।এমনই পরিস্থিতিতে চলছে জনজীবনে।সব দায় রাষ্ট্রের উপড় দিয়েই পার পাওয়া যায় না।ব্যক্তিত্বের প্রশ্নে আমরা লাজুক।একটি গঠনগত সৃজনশীল জাতি হিসাবে নতুন করে শুদ্ধচারের বিকল্প নেই।
কবিতার আগে,একটা মন্তব্য জেনে আসি।
মানুষ ভজলে সোনার মানুস হবি।
কথাটি বলেছিলেন স্কুল কলেজ না পড়ুয়া খ্যাতনামা ব্যক্তি গুরু লালন ফকির।কি,মানুষকে ভজেছেন কখনো?উত্তর হয়তো পাবো কিংবা পাবোনা।এই দুইয়ের মাঝেই বসবাস।তবে কি লাভ বলেনতো,আপনি আমি এত্ত শিক্ষিত হয়ে।কি হবে নামীদামী কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে? দু'চোখ বন্ধ থাকলে সে অন্ধ হয় না।মেলে থাকলেও অনেক সময় অন্ধ হয়ে যায়।শুধু বিবেকের সাথে সুসম্পর্ক গড়তে না পারায়।নিজকে বড় করতে,বড্ড বেশি ব্যস্ত হয়ে গেছে পুরো সমাজ।আশেপাশে তাকানোর সুযোগ নেই।সহায়সম্পত্তির টানে হারাম হালাল তফাৎটাও ভুলে গেছে মানুষ।নিজের আখের গোঁছাতে বড্ড বেশি অন্ধত্ব ধারন করছে।নইলে এই অন্ধত্ব নিজেকে নিজেই চিনবেনা।আপনার আশেপাশে অনেক মানুষ আছে যে আপনার অন্ধত্বতায় তার মনুষ্যত্ব বিকিয়ে যাচ্ছে।
এবার একটি বাস্তববাদী কবিতা হয়ে যাক।
ঘুমন্ত খোকন
কামরুল হাসান
গনতন্ত্র চলছে যেমন
একনায়কের বেশে,
খোকন তুমি ঘুমিয়ে কেন
বদলা নিবে কিসে।
দফায় রফায় দুর্নীতি আজ
সব অফিসের মাঝে,
তেলবাজীতে ব্যস্ত সবাই
ব্যস্ত বাজে কাজে।
দৌলতিয়ায় লোক বেড়েছে
লোক বেড়েছে মেসে,
খোকন তুমি ঘুমিয়ে কেন
বদলা নিবে কিসে।
বিনা পয়সায় চাকুরী দিবে
সেবা পাবে হেসে,
সব জায়গায় ঘাঁ ধরেছে
মলম দিবে কিসে।
চোর বাটপার নেতা সেজেছে
শাসন চলছে মিছে,
গম চুরিতে হিড়িক পরছে
বদলা নিবে কিসে।
ঘুমিয়ে কেন ওহে খোকন
লুকিয়ে ঘড়ের কোণে,
সাহস করে জাগো এবার
জাগো মহাপ্রাণে।
~~মন্তব্য ~~
কখনো প্রেম,কখনো বিরহ,কখনো দেশপ্রেমে ছন্দ আবার কখনো বিদ্রোহে দ্বন্দ।কবিতার পাতায় বাস্তবতা লিপিবদ্ধ।তবে,জাতি হিসাবে আমাদের এই পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসা দরকার।খাতা কলমে বদ্ধনীতির বাস্তবায়ন হওয়া চাই।আর সেটা শুরুক হোক নিজ থেকেই।আপনি,আমি শুদ্ধচার হলেই একটি জাতি পরিশুদ্ধ হবে।টেকসই উন্নয়নে খুব বেশি দরকার মানব সম্পদের যথাযথ মানবিক বিকাশগত উন্নয়ন।মুখের সাধুতার চেয়ে বাস্তবতার সততা অনেক জরুরি।
প্রকৃত দেশপ্রেমে, ভরে উঠুক বাংলা
নিপাত যাক,আছে যতো কয়লা।
ধন্যবাদ,এতক্ষন সাথে থেকে অনেক সময় দিয়ে পোস্টটি পড়ার জন্য।আলোচনার সাথে সমালোচনা চাই,শিখতে কোন ত্রুটি নাই।
তারিখ.২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
এতক্ষণ সাথে ছিলাম আমি@kamrul8217
পেশায় একজন সাংবাদিক,উপস্থাপক ও ক্ষুদ্রলেখক।চারপাশে যা পাই তাই লিখি।জ্ঞানের জগতে আমি খুবই ক্ষুদ্র একজন শিক্ষনবিশ ছাত্র।মানুষ হতে আজন্ম ছুঁটে চলা।আমার বিকশিত জ্ঞানের ধারায় অকৃত্রিম বন্ধু,দুইবাংলার এক অবিচ্ছেদ্য প্লাটফর্ম @amarbanglablog
কবিতার এই অংশগুলো অনেক চমৎকার ছিল। এছাড়াও আপনি কবিতার প্রত্যেকটি শব্দগুচ্ছশব্দগুচ্ছ অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এমন সুন্দর একটি কবিতা মাঝে মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একটি দেশের বর্তমান অবস্থা কে খুব অল্প শব্দের মধ্যে লিপিবদ্ধ করার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। এখানে দৌলোতিয়া বলতে একটি পতিতালয় রাজ্য হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে, মেস বলতে ছাত্র-ছাত্রীদের থাকার হোস্টেল কিংবা আবাসিক কে বোঝানো হয়েছে। চেষ্টা করেছি শব্দগুচ্ছ কে প্রাঞ্জল করে উপস্থাপন করার জন্য।
খুব সুন্দর করে একটি বিদ্রোহী কবিতা আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আসলে সবকিছুর মূলে হচ্ছে মানবতা, যতদিন না মানবতা ফিরে আসবে। ততদিন এভাবেই চলতে থাকবে।যাইহোক অনেক ভালো লিখেছেন, অনেক ভালো লাগলো আপনার বিদ্রোহী কবিতাটি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এই কামনা করি সব সময়।
আপনি সত্যি বলেছেন মানবতা যতদিন মানুষের মাঝে ,না ফিরবে ততদিন এভাবেই চলতে থাকবে। একজন সফল মানুষের চেয়ে বেশি প্রয়োজন বিবেকবান মানুষ, মানবিক মানুষ। সবকিছুর ঊর্ধ্বে দেশপ্রেম জেগে উঠুক, সোনার মানুষে ভরে যাক আমার এই বাংলাদেশ।
হ্যাঁ ভাইয়া একটা কথা আছে, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে, স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। আসলে কি বলব মানুষের ভিতরে মনুষ্যত্ব বলতে কিছুই নেই। আপনি কবিতার সুরে সুরে মানুষের চরিত্রের ব্যাখ্যাগুলো দিয়েছেন। এবং কি কেউ দেখেও না দেখার ভান করে আছে, আবার কেউ দেখে শুনে করছে। সত্যি অসাধারন ছিল আপনার কবিতাটি, খুব সুন্দর করে লাইন বাই লাইন লিখেছেন। আপনার পুরো কবিতাটা নেওয়া সম্ভব নয়, তবুও এই কটা লাইন নিলাম খুবই ভাল লেগেছে আপনার কবিতাটি পড়ে।
আর আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
আপনি খুব চমৎকার করে বলেছেন, বর্তমান সময়ে মানুষের চেয়ে মনুষ্যত্বের খুব বেশি প্রয়োজন। মনুষ্যত্বহীন একটি জাতি কখনো সফলতার স্বর্ণ শিখরে পৌঁছানো সম্ভব নয়। আমরা যদি প্রত্যেককেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে শুদ্ধচ্চারণ করি তাহলে পুরো জাতি পরিশুদ্ধ হবে।
ওয়াও অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন আপনি একদম বাস্তবধর্মী কবিতাটা অসাধারন লেগেছে প্রতিশব্দ এবং লাইন অনেক সুন্দর হয়েছে শুভকামনা রইল আপনার জন্য
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়,সমসাময়িক বিষয়গুলো দারুনভাবে কাড়া নাড়ছে।কিছু বিদ্রোহী শব্দ কানের পাশে বেঁজে উঠছে।তাই না লিখে থাকা হলো না।
আপনার উৎসাহমুলক এমন মন্তব্য আমাকে নতুন কিছু লিখতে সাহস যোগাবে।