আত্মহত্যা নিয়ে আমার কিছু কথা, ১০% লাজুক শেয়ালের জন্য।
হ্যালো বন্ধুরা,
আত্মহত্যা ইংরেজিতে সুসাইড।ব্যক্তির ইচ্ছাকৃত নিজের জীবন বিসর্জন দেওয়াই হচ্ছে আত্মহত্যা।সুইসেইডেয়ার নামক ল্যাটিন শব্দ থেকে আত্মহত্যা শব্দটি এসেছে।চিকিৎসকদের সংজ্ঞা অনুযায়ী মানসিক অবসাদ জনিত কারণে স্বেচ্ছায় নিজের জীবনকে বিসর্জন দেওয়াই হচ্ছে আত্মহত্যা।সময়ের সাথে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েই চলছে।যা বর্তমানে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে,প্রতিবছর প্রায় ১০ লাখ মানুষ আত্মহত্যা করে থাকে।সারা বছরজুড়ে সমগ্র পৃথিবীতে যত মানুষের মৃত্যু ঘটে তারমধ্যে ত্রয়োদশতম কারণ হচ্ছে আত্মহত্যা।তবে মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের আত্মহত্যার প্রবণতা অনেক বেশি।পরিসংখ্যানগত রিপোর্টে দেখা যায় নারীদের তুলনায় তিনগুণ বেশি আত্মহত্যা শিকার হয় পুরুষরা।
আত্মহত্যার প্রবণতা বিষয় নিয়ে পর্বটি সাজাতে গিয়ে আত্মহত্যার প্রাচীনতম বিষয়ে ঐতিহাসিক ধারণা পাওয়া যায়। প্রাচীন এথেন্সের কোন লোক আত্মহত্যা করলে তার মৃতদেহ সৎকার করা থেকে সাধারন জনগন বিরত থাকতো।শহরে তার লাশ সমাহিত করা হতো না।কবরের পাশে থাকতো না কোন নেমপ্লেট।একান্তই আত্মহত্যাকারীর আত্মীয়-স্বজনেরা লাশটি শহর থেকে দূরে কোথাও নির্জনে নিয়ে দাফন করতো।
সোর্স
উইকিপিডিয়ার তথ্যবলছে,বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আত্মহত্যার বিরুদ্ধে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করা।সম্পদ জব্দ করা থেকে শুরু করে মৃত ব্যক্তির সৎকার না করা। তবুও থেমে নেই আত্মহত্যার মতো গর্হিত কাজ।বিভিন্ন ধর্মের বরাত দিয়ে আত্মহত্যাকে পাপ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।১৮৮২সালে দিনের বেলা লন্ডনে আত্মহত্যাকারী ব্যক্তির লাশ দাফনের অনুমতি মধ্য দিয়ে বিংশ শতাব্দীতে পশ্চিমা দেশগুলোতে এটি বৈধ হিসাবে প্রকাশ ঘটতে থাকে।
আত্মহত্যার পদ্ধতিঃ
অঞ্চলভেদে আত্মহত্যার পদ্ধতি ভিন্নতা রয়েছে।গলায় ফাঁস,বিষ-ক্রিয়া সেবন,আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার,লাফ দেওয়া,ডুবে যাওয়া,মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবন,মাদক গ্রহণ ইত্যাদি।অধিকাংশ আত্মহত্যার কারণ হিসেবে গলায় ফাঁস দেওয়াকে দায়ী করা হয়।
সোর্স
আত্মহত্যার কারণ হিসেবে বয়স আনুপাতিক ভিন্নতা রয়েছে। বেকারত্ব,প্রেমঘটিত,নিঃসঙ্গতা,সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত, পারিবারিক কলহ,বিষন্নতা,মানসিক চাপ ইত্যাদি কারণে আত্মহত্যা করে থাকে।স্কুল কলেজ পড়ুয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলের শিক্ষার্থীদেরকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে দেখা যায়।মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা আত্মহত্যায় বেশি এগিয়ে আছে।
সোর্স
আত্মহত্যা থেকে বাঁচার উপায়:
ধর্মীয় বিধি-নিষেধ মেনে চলা,যেকোনো বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা ভাবনা না করা,ডিপ্রেশন থেকে বের হয়ে আসা,সব কিছু সহজ ও স্বাভাবিক মনে করা,একাকীত্ব পরিহার করা,ঘুরে বেড়ানো,চলাফেরায় স্বাভাবিকতা আনা,মাদক থেকে দূরে থাকা, ধর্মীয় তথা ভালো কাজে মনোনিবেশ করা,যেকোনো বিষয় নিয়ে পারস্পরিক বোঝাপড়া করা,সময়ের সাথে নিজেদেরকে সামলিয়ে নেওয়া,যেকোনো বিষয়ের গভীরে না যাওয়া,বদ্ধতা পরিহার করা,সমস্যাজনিত জায়গা কিংবা কারণ এড়িয়ে চলা,ভালো বই পড়া,নিজের মধ্যে নতুন করে সৃজনশীল কিছু পরিবর্তন আনা।
বর্তমান সময়ে ব্যাপক হারে বেড়েছে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির জন্য আত্মহত্যা নামক পাপীষ্ঠ কাজ।তরুণ-তরুণী থেকে বয়স্ক মানুষগুলো বেছে নিচ্ছে জঘন্যতম এই হাতিয়ারটি।সময়ের সাথে বিভিন্ন আইন কিংবা নিয়মকানুন করা হলেও থেমে নেই গর্হিত এ কাজটি।ধর্মীয় অনুশাসন পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে কিংবা মেনে চললে অচিরেই বন্ধ হবে এমন আত্মঘাতী বিষয়।
পরিশেষে বলতে চাই,সকল বাধা বিপত্তি পেরিয়ে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে স্বাভাবিক জীবনযাপনের মাধ্যমে বন্ধ হোক ডিপ্রেশন।মুক্তি পাক মানুষের সহজ সরল জীবন।শান্তিপূর্ণ পৃথিবীতে বসবাস হোক সকলের।এমনটাই প্রত্যাশা রেখে আজকে এখানেই শেষ করছি।ভালো থাকবেন,সুস্থ্য থাকবেন,নিরাপদে থাকবেন, প্রিয় প্ল্যাটফর্ম@amarbanglablog
বিষয় | আত্মহত্যা নিয়ে গল্প |
---|---|
বর্ণনায় | @kamrul8217 |
ডিভাইস | Samsung A32 |
লোকেশন | w3w |
তারিখ | ১১মার্চ ২০২২ |
এতক্ষণ সাথে ছিলাম আমি@kamrul8217
পেশায় একজন সাংবাদিক,উপস্থাপক ও ক্ষুদ্র লেখক।জ্ঞান অন্বেষণের ছুটে বেড়াই দিকবিদিক।প্রতিদিন চেষ্টা করি একটি করে হলেও ভালো কাজ করার জন্য।মানুষের জন্য,মানুষের পাশে আজীবন থাকতে চাই।আমার ভালোবাসাকে আরো বেশি গুণে বাড়িয়ে দিয়েছে দুই বাংলার এক অবিচ্ছেদ্য প্রাণ@amarbanglablog
আত্মহত্যা অবশ্যই মহাপাপ সৃষ্টিকর্তার কাছে কঠোর জবাবদিহিতা করতে হবে আপনি বলেছেন ধর্মীয় বিধি-নিষেধ মেনে চলা যদি কারোর মধ্যে ধর্মীয় নূন্যতম কোন জ্ঞান থেকে থাকে সৃষ্টিকর্তার কাছে একদিন আমাদেরকে জবাবদিহি করতে হবে এইটুকু যার মধ্যে আছে আমি মনে করি কখনো সে আত্মহত্যা করতে পারে না আত্মহত্যা নিয়ে সুন্দর একটি আলোচনা উপস্থাপন করেছেন শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য
অনেক চমৎকার মন্তব্য করেছেন। ধর্মীয় বিশ্বাসের মানুষেরা এটা করতে পারে না কেননা এর জন্য কঠিন শাস্তি অপেক্ষামান।এমন মূল্যবোধ জাগ্রতহোক সকলের মাঝে।
ভাই আত্মহত্যা সম্পর্কে সম্পূর্ণ একটি বিশ্লেষণ ধর্মী আর্টিকেল লিখেছেন আপনি। যার মধ্যে আত্মহত্যার সংজ্ঞা থেকে শুরু করে কারণ এবং প্রতিকার সবই আছে। তবে আমি মনে করি মানুষের জীবন সৃষ্টিকর্তার দেয়া সবচাইতে অমূল্য উপহার। এই মূল্যবান উপহার কখনোই এভাবে নষ্ট করতে নেই।
অমুল্য এ উপহার ভাল থাকুক আজীবন। প্রতিকার হোক সকল অবসাদের।সুস্থতায় বেচে থাকা হোক সকলের। অনেক গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন শ্রদ্ধেয়।
সুন্দর একটা বিষয়ে লিখেছেন ভাই অনেক ভালো লাগলো আপনার লেখা টি। আসলে ঠিকই বলেছেন আপনি যে আত্মহত্যা অনেক বেড়ে গেছে। যা আমাদের কাছে অনেক নরমাল মনে হয়। হয়তো আগের নিয়ম গুলো ছিল যে আত্মহত্যা করার পর তাকে অনেক দূরে রাখা হতো। তবে হয়তো কালক্রমে এগুলো সব পরিবর্তন এসেছে। আমরা চাই যে আমাদের সমাজ তাকে সুন্দর ও সমৃদ্ধি করতে। আমরা আমাদের নিজেদের পরিবার সমাজকে সব সময় সঠিক পথে চালনা করব। যাতে এইরকম আমার আপনার পরিবারের কোনো সদস্য আত্মহত্যার পথ বেঁচে না নিতে হয়। এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাই।
আত্মহত্যা নিয়ে চমৎকার পরামর্শ দিয়েছেন। আপনার সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য আমাকে লিখতে আরো বেশি অনুপ্রাণিত করবে। সবকিছু ছাপিয়ে বন্ধ হোক নরঘাতক এই গর্হিত কাজ। সুস্থ থাকুক পৃথিবীর সকল মানুষ। ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল।