একযুগ পর বন্ধুর সাথে এয়ারপোর্টে দেখা।১০% প্রিয় লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম/আদাপ,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়া ও ভালবাসায় অনেক ভালো আছি।বৃষ্টির দিনে হঠাৎ এয়ারপোর্টের দিকে যাত্রা। একযুগ পর কাছের বন্ধুর সাথে দেখা।এমন একটি বিষয় নিয়ে আজকের পর্ব সাজানো হয়েছে।আশা করছি ভালো লাগবে।
শহরের বুকে এক পশলা বৃষ্টি।ধুলোবালির নাভিশ্বাস ছেড়ে প্রশান্তির স্বস্তি ফিরছে শহরে।রাস্তা পারাপারে আমজনতা করছে ছোটাছুটি।খেটে খাওয়া সাধারণ শ্রমজীবী রিক্সাওয়ালা ভিজছেন।এমনই এক মুহূর্তে যেতে হলো উত্তরা আজমপুর থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকে।হুট করেই আমন্ত্রণ জানানো হলোভআমাকে, যে আমার পরিচিত কাছের একজন দেশ থেকে দেশের বাহিরে চলে যাচ্ছেন।শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়ো করে বের হওয়া হলো।তবে প্রশান্তির বিষয় এটাই রাস্তাঘাটে তেমন জ্যাম চোখে পড়লো না।জুমার নামাজ শেষ করেই উত্তরা আজিমপুর থেকে বাসে উঠলাম।
বৃষ্টিতে আমিও হালকা ভিজেছি মাত্র।১৫মিনিটের মধ্যেই এয়ারপোর্ট পৌছালাম।বাস থেকে নেমে ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে যাত্রা শুরু করলাম।কিন্তু কি দুর্দশা।ওভারব্রিজের মধ্যেও পানি আটকে আছে।দেখার যেন কেউ নেই।আগে ভাবছিলাম রাস্তার গর্তে পানি আটকে থাকায় কাঁদা ছিটিয়ে শুধু মানুষের জামা কাপড় নষ্ট করে।কিন্তু আজ একটি নতুন অভিজ্ঞতা হলো এয়ারপোর্ট এর রাস্তা পারাপারে ব্যবহৃত ফুট ওভার ব্রীজটির মধ্যে পানি জমে আছে।যাইহোক সময় পেলে হয়তোবা দায়িত্বরত জনপ্রতিনিধি কিংবা কোন প্রতিষ্ঠান এটা ঠিক করে নিবেন।আমার বন্ধুর সাথে ফোনে কথা হলো তারা টার্মিনাল ২ এ অবস্থান করছে।ভেতরে ঢুকতেই দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের তল্লাশি চোখে পড়ল।আমি ছবি উঠাতে বাঁধার মুখে পরলাম। যাই হোক,তল্লাশি চৌকি পার হয়ে বিমানবন্দরের খুব কাছাকাছি অবস্থান করছি।টার্মিনালে এগুতেই চোখে পরলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি সাইনবোর্ড।যেখানে লেখা আছে"দা ফাদার অফ নেশন"।ঠিক তার সামনে থেকে একটি সেলফি তুলে নিলাম।
আমার বন্ধু তার অবস্থান ঠিকঠাক বলতে না পারায় আমি টার্মিনাল ওয়ান থেকে বেশ কিছু সময় ঘুরাঘুরি করতে ছিলাম। এদিকে ছিটে ফোঁটা বৃষ্টিও থেমে নেই।জনসমাগম অনুযায়ী যাত্রী ছাউনী সংখ্যা নিতান্তই অপ্রতুল।আবার নতুন করে কিছুটা বৃষ্টিতে ভেজা হলো।ঠিক শেষ মুহূর্তে আমার বন্ধুর অবস্থান আমি নিশ্চিত করতে বললাম।যাইহোক, খানিকটা খোশগল্পে মেতে উঠলাম।তার সাথে থাকা লোকদের সাথে পরিচয় পর্ব সেরে নিলাম।এর মধ্যেই দেশের বাইরে যাওয়া পরিচিত লোকটি তার সকল প্রস্তুতি শেষ করে নিয়েছে। কিছুক্ষণ পরপরই বিমান উড়ার দৃশ্য দেখে খুবই ভাল লেগেছে। বন্ধুর সাথে প্রায় ১২-১৪বছর পর দেখা হয় খুবি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম।অল্পসময়ে অনেকগুলো গল্প সেরে নিলাম। বৃষ্টির দিনে মুহূর্তটিকে খুবই উপভোগ করেছি।পরিচিতজনের বিদেশ যাওয়া সফল হোক।
রোজা রমজান মাস বাসায় গিয়ে ইফতার করতে অনেক সময় লাগবে।আমার বন্ধু থাকে ঢাকার মিরপুর দুই নম্বরে।জ্যামে পড়ে গেলে অনেক সময় লেগে যেতে পারে।যেহেতু বন্ধুটি ছিলো মেয়ে তাই বেশি সময় অপচয় না করে তাকে তার বাসার উদ্দেশ্যে সিএনজিতে উঠে দিলাম।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দৃশ্যগুলো খুবই চমৎকার এবং মনোরম লাগতেছিল।এর আগেও কয়েকবার গিয়েছি তবে এমনটা বেশি ভালো লাগেনি।বেশি সুন্দর লাগার পেছনে কারণটা হচ্ছে আজকের বৃষ্টিস্নাত আবহাওয়া।বেশ কিছু ছবি আমাকে দারুণভাবে মুগ্ধ করেছিল।খুব অল্প সময়ের জন্য বিমানবন্দরে অবস্থান করা হলেও সময়টা ছিল খুবই আনন্দের।বাল্যকালের বন্ধুর সাথে এমন একটি মুহূর্ত উপভোগ করায় নিজেকে অনেকটাই ভালো লেগেছে।
আশেপাশে অল্প কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পর আমিও আমার আবাসস্থল এর দিকে রওনা দিলাম।শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় খুব অল্প সময়ে বাসায় পৌঁছে গেলাম।তার সাথে আবার ফোনে কথা হলো সময় পেলে আবার দেখা হবে। ১২থেকে ১৪বছর পর বন্ধুর সাথে দেখা হওয়া যে কতটা বিস্ময়কর সেটা বোঝা খুব মুশকিল।যাই হোক সকল পরিচিতজনরা ভালো থাকুক বেঁচে থাকুক সকল বন্ধুত্ব।সম্পর্কগুলো টিকে থাকুক আজীবন,এমনটাই প্রত্যাশা।
বিষয় | বন্ধুর সাথে দেখা |
---|---|
বর্ণনায় | @kamrul8217 |
ডিভাইস | Samsung A32 |
লোকেশন | w3w |
তারিখ | ২৩ এপ্রিল ২০২২ |
এতক্ষন সাথে ছিলাম আমি@kamrul8217
পেশায় একজন সাংবাদিক,উপস্থাপক ও ক্ষুদ্রলেখক।জ্ঞান আহরণের সর্বাত্মক ছুটে চলা।একজন সাদাসিধা জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত মানুষ।দু-চোখে যা দেখি শব্দাকারে তা লিখতে থাকি।ভালো কাজে পাশে থাকি।একজন প্রকৃত মানুষ হওয়ার চেস্টায় চিরকৃতজ্ঞতায় পাশে আছে দুই বাংলার এক অবিচ্ছেদ্য প্রাণ@amarbanglablog
এই মুহূর্তটা যে কি আনন্দের হয় সেটা আসলে আমার খুবই ধারণা আছে। আসলে অনেকদিন পর যদি বন্ধুদের সাথে দেখা হয় তাহলে খুবই ভালো লাগে আর মনে হয় যে কোনো পুরনো জিনিস খুঁজে পেয়েছি।
সত্যি পুরনো বন্ধুদের সাথে অনেকদিন পর দেখা হওয়ার মুহূর্ত ভালো লেগেছে।বন্ধুত্বের বন্ধন গুলো চিরদিন অটুট থাকুক। ভালো থাকুক সকল ভালো মানুষেরা। চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়।
এতোদিন পর বন্ধুর সাথে দেখা,আমি হলে তো কান্না করে দিতাম।এই কান্না হত আনন্দের ।লোকেশন চিনতে একটূ ভুল হবারই কথা কেননা অনেকদিন পর যারা ঢাকা আসে তাদের সব কিছু এলোমেলো লাগে ,যাই হোক বন্ধুকে নিয়ে ভালো লিখছেন।ধন্যবাদ
হ্যাঁ সত্যিই আবেগাপ্লুত হয়েছিলাম।অনেকদিন পর দেখা হওয়ার কারণে খুবই বিষক্ষয় লাগছিল। অনেক চমৎকার মন্তব্য করেছেন শ্রদ্ধেয়।
প্রায় এক যুগ পর আপনি আপনার বন্ধুকে পেয়ে খুব সুন্দর একটা সময় পার করেছেন। আসলে অনেকদিন পর বন্ধুর সাথে দেখা করল গল্পের শেষ থাকে না। আশা করি খুব শীঘ্রই আপনার বন্ধুটির সাথে আপনার আবার দেখা হবে। ভেবেছিলাম আপনার বন্ধুর কোন ছবি শেয়ার করেছেন 😁 পরে দেখি করেননি হয়তো মেয়ে বন্ধু সে জন্য। যাইহোক আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার এবং আপনার বন্ধুর জন্য শুভেচ্ছা রইল।
প্রায় এক যুগ পর বন্ধুর সাথে দেখা হয় খুবই ভালো লেগেছে। আপনি ঠিক ধরেছেন বন্ধুটি মেয়ে হওয়া।য় তার কোন ছবি শেয়ার করা হয়নি। অনেকগুলো গল্প জমে ছিল আমাদের মাঝে।আবার দেখা হবে বন্ধুর সাথে এমনটাই প্রত্যাশা। ভালভাবে উপলব্ধি করে চমৎকার মন্তব্য করেছেন।
১২ থেকে ১৪ বছর এটা অনেক লম্বা একটা সময়। এতগুলো দিন কাছের বন্ধুর সঙ্গে দেখা নেই। মনের ভিতরে কত না বলা কথা কত স্মৃতি জমা হয়ে আছে এটা বলে বোঝানো সম্ভব না। এতদিন পর কাছের মানুষের সঙ্গে দেখা হওয়া এই অনুভূতিটা অন্য রকম। যাইহোক বুঝতেই পারছি আপনি ছুটির দিনটা অনেক আনন্দে কাটিয়েছেন। আপনার আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
দীর্ঘ দিনের জমানো অনুভূতিগুলো বলে বিশ্লেষণ করা সম্ভব হয় নাই। ছোটবেলার জমানো অনেক স্মৃতি আমার বন্ধুর সাথে রয়ে গেছে। একযুগ পর বন্ধুর সাথে দেখা করার অনুভূতিটা ছিল সত্যিই আনন্দদায়ক। দারুন মন্তব্য করেছেন শ্রদ্ধেয়।
সত্যি এরকম একটা মুহূর্ত আমাদের জন্য অনেক ভালোলাগার। আপনি আপনার বন্ধুর বিদেশ যাওয়ার মুহূর্তে দেখা করতে গিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। এটাই তো আমাদের জন্য অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। আপনার এয়ারপোর্ট যাওয়ার মুহূর্তে অনেক কিছু ঘটলো দেখলাম। এরকম একটা মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি ঠিক ধরেছেন প্রিয় মানুষের সাথে দেখা করার মুহূর্ত সত্যিই আনন্দের।অলস সময় থাকায়এয়ারপোর্ট থেকে কিছু ছবি প্রদর্শন করা হয়েছিল। যথাযথ মন্তব্য করে পাশে থাকার শুভ প্রত্যয় রইলো শ্রদ্ধেয়।
আপনার টাইটেল টি দেখে অতি আগ্রহে আপনার পোস্টে ঢুকে পড়লাম। আসলে আপনি যে ফিলিংসটা শেয়ার করেছেন এটি যারা ওই সময়টা পার করেছে শুধু তারাই বুঝতে পারবে। আমার ও এমন ঘটেছে যার কারণে আপনার পোস্টটি দেখে মনে পড়ে গেল সেই পুরনো স্মৃতি। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।
আসলেই যার সাথে ঘটনাগুলো ঘটে শুধু তারাই ফিলিংসটা উপভোগ করতে পারে। একযুগ পর কাছের মানুষের সাথে দেখা করার মুহূর্ত টা যে কতটা আনন্দের এবং উপভোগ্য তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়।দারুন উপলব্ধিতে চমতকার মন্তব্য ছিলো।
আসলে ভাই আমি এই পরিস্থিতিতে পড়েছি, যার কারণে আপনার অনুভূতিটি আমি বুঝতে পেরেছি। ধন্যবাদ আপনাকে ফিডব্যাক দেয়ার জন্য।
একযুগ পর বন্ধুর সাথে এয়ারপোর্টে দেখার অনুভূতির গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে বন্ধুত্ব অনেক বড় একটা জিনিস যেটা জীবনের একটা বড় অংশ। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বন্ধুত্ব জীবনের বড় একটি অংশ।প্রায় এক যুগ পর বন্ধুর সাথে দেখা হওয়াছিলো বিস্ময়কর ব্যাপার। জীবন জীবিকার তাগিদে কে কোথায় থাকে এটা চরম একটি বাস্তবতা। যাই হোক অনেক দিন পর প্রিয় মানুষের সাথে দেখা করে অনেকটাই ভালো লেগেছে। দারুন মন্তব্য ছিলো শ্রদ্ধেয়।
দীর্ঘদিন পর বন্ধুর সাথে দেখা হলে মনটা খুবই খুশি হয়। মন চায় বন্ধুকে নিয়ে সারাক্ষণ একত্রে সময় পার করি কিন্তু সময়ের ব্যবধানে তা হয়ে ওঠে না। তবে ভালো লাগে কিছুটা সময়ের জন্য পুরোনো স্মৃতি গুলো মনের মাঝে ভেসে আসে। একত্র পার করা দিনগুলো ফিরে পায় নতুন করে।
পুরনো বন্ধুর সাথে দেখা হওয়ায় অনেকটাই ভালো লেগেছে। চেয়েছিলাম অনেকটা সময় ধরে গল্পগুজব এ আনন্দমুখর সময়টা ধরে রাখার জন্য। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে তা হয়ে ওঠে নাই।। আপনি খুবই গঠনগত মন্তব্য করেছেন শ্রদ্ধেয়।
অনেকদিন পর বন্ধুর সাথে দেখা করার অনেক স্মৃতি ভেসে ওঠে। ইচ্ছা ছিল অনেক সময় ধরে তার সাথে আনন্দঘন সময় উপভোগ করতে। তবে ব্যস্ততার কারণে হয়ে ওঠে নাই।। চমৎকার মন্তব্য করেছেন শ্রদ্ধেয়।
এই মুহুর্তটা সত্যিই একটি সুন্দর মুহূর্ত ছিল আপনার জন্য ভাইয়া। কেননা আপনি দীর্ঘ এক যুগ পরে আপনার প্রিয় বন্ধুদের সাথে দেখা করতে সক্ষম হয়েছেন। আসলে কর্মজীবন আমাদের জন্য এমনই একটি জীবন যা আমাদের অনেক আপনজনকেও খুব সহজে দূরে সরিয়ে দিতে পারে।
প্রিয়জনের দূরে থাকাটা নিশ্চয়ই কস্টকর।এতদিন পর বন্ধুকে পেয়ে অনেকটাই ভালো লেগেছে। সময়টা দারুণ উপভোগ করেছি। অনেক চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।