চলে পথে ছবি তুলা (১০% লাজুক খ্যাঁক এর জন্য)
মোটামুটি আগের তুলনায় কমিউনিটিতে একটু বেশি সময় দেওয়ার চেষ্টা করছি যদিও আপনাদের মত এত সময় দিতে পারছি না। তবে আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। আজকে মূলত আপনাদের সাথে কিছু ছবি শেয়ার করতে আসলাম। চলার পথে আমরা আমাদের আশেপাশে অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখতে পাই। কেউ কেউ আমরা সেগুলো ক্যামরা বন্দী করি, কেউ হয়তোবা করি না। এমনই কিছু দৃশ্য আমি ক্যামেরাবন্দি করেছিলাম সেগুলোই আপনাদের সামনে আজকে হাজির করতে চলে আসলাম।
![]() |
---|
এখানে যে ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন একটা রাস্তার ছবি। দু'পাশে সবুজ গাছ দেখতে খুব ভালই লাগছে। এটা মূলত আজকের তুলা। একটা কাজে মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে যাচ্ছিলাম। তো মাঝপথে ড্রাইভার হঠাৎ গাড়ি থামালো। ড্রাইভার মূলত প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিবেন। যেহেতু গাড়ি থেমেছে গাড়ি থেকে নামলাম রাস্তার দুপাশে দেখতে খুব ভালো লাগছিল ভাবলাম একটা ছবি তুললে মন্দ হয় না। তখন রাস্তার এই দৃশ্যটা নিজের মোবাইলের ক্যামেরায় বন্দি করে নিলাম।
![]() |
---|
দ্বিতীয় এই ছবিটা মূলত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। গত কিছুদিন আগে হঠাৎ করে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যায় এবং পানি খুব কাছাকাছি চলে আসে পাড়ের এবং এত প্রবলভাবে পানিগুলো পাড়ে উপচে পড়ছিল যার কারণে পাড়ে ভাঙানো শুরু হয়। এই ভাঙ্গন ঠেকাতে মূলত বালি ভর্তি এই বড় বড় বস্তা গুলো পাড়ে দেওয়া হয়।
![]() |
---|
এই তৃতীয় ছবিটি মূলত কক্সবাজার লাবনী পয়েন্টে।সমুদ্রের বালি গুলো মূলত গোলাটে হয়। কিন্তু এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি বালগুলো কালো কালো হয়ে গেছে। কক্সবাজারের এই সমুদ্র সৈকতের বালিতে এক ধরনের একটা পদার্থ পাওয়া যায়। একটা পদার্থ থাকার কারণে এখানে কিছু কিছু এলাকার বালি বা কিছু কিছু জায়গার বালি এ ধরনের কালো কালো।
![]() |
---|
এই ছবিতে মূলত সূর্য অস্ত যাবে সেই দৃশ্যটা ধারণ করার চেষ্টা করেছিলাম। এটা ওই একই দিনের তোলা ছবি।
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
উপরের কয়েকটা ছবি মূলত একইদিনের। এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি অনেকগুলো গাছ উপচে পড়ে গেছে, আবার অনেক জায়গায় যে বড় বড় বালির বস্তাগুলো দেয়া হয়েছে। এটা মূলত ডায়াবেটিস পয়েন্ট থেকে শুরু করে একদম লাবনী বিচ পর্যন্ত এভাবে বড় বড় বালির বস্তা গুলো দেওয়া হয়েছে। অনেকটাই পানির উচ্চতার কারণে এভাবে পাড় ভেঙে গেছে এবং এই পাড় রক্ষার্থে প্রাইমারি পদক্ষেপ হিসেবে বালির বস্তাগুলো দেওয়া হয়
![]() |
---|
এই ছবিটাতে একটা দেখা যাচ্ছে এটা কেউ মূলত কবিতা চত্বর বলে। এই মঞ্চে প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান হয়। আসলে মঞ্চটা যথাযথ যত্নের অভাবে প্রায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
মূলত ছবিগুলোর মাধ্যমে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের বর্তমান চিত্রটা কেমন সেটা সকলের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র।
আশা করি এই ব্লগের মাধ্যমে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের বর্তমান চিত্রটি সম্পর্কে আপনারা মোটামুটি একটা ধারণা পেয়েছেন এবং স্থানীয় প্রশাসন আশা করছি খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ এতক্ষণ ধরে পোস্টটি পড়ার জন্য।
ডিভাইস | রেডমি নোট ৯ |
---|---|
স্থান | কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত |
ফটোগ্রাফার | @joynalabedin |
আসলে নতুন কোন স্থানে গেলে চলতি পথে ছবি তুলতে আমার খুব ভালো লাগে। আমিও মাঝেমধ্যে এমন চলতে পথে কিছুটা সময়ের জন্য দাঁড়াতে অথবা ছবি তুলতে খুব বেশি পছন্দ করে থাকি। নতুন পরিবেশে ভালোলাগার একটা ফিলিংস কাজ করে মনের মধ্যে। তাই খুবই ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি দেখে।
মনে হচ্ছে আপনি কোন নদীর চটে বেড়াতে গেছেন। অনেক সুন্দর সুন্দর ছবি তুলেছেন দেখে তোমার অনেক ভালো লাগলো।আর ঘুরাঘুরি করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। সত্যি অসাধারণ ছিল আপনার বেড়াতে যে ছবিগুলো দেখে।ধন্যবাদ এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মেরিন ড্রাইভ রোড, সমুদ্র সৈকতে সূর্যাস্তের মূহুর্তের অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। দেখে ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
৩য় ছবিটির পরের লেখাগুলো ভালোমতো পড়ে বানান ঠিক করেন। ধন্যবাদ।
চলতি পথে খুবই সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন দাদা। এবং আমাদের দেখালেন বেশ ভালো লাগলো দেখতে আপনার এই ফটোগ্রাফি গুলো।
আপনি খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন এবং খুবই গুছিয়ে লিখেছেন অসাধারণ হয়েছে। এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমিও মাঝে মাঝে কোথাও ভ্রমণ করতে গেলে বা ঘুরতে গেলে এরকম হুটহাট ছবি তোলা মেতে উঠি কারণ এরকম ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো খুবই আকর্ষণে ছিল শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর একটি পোষ্ট দিলেন ভাইয়া। বর্তমানের কক্সবাজারের চিত্র দেখে অনেক ভাল লাগলো। আমি কিন্তুু এখনো কক্সবাজারে যায়নি। তবে এক সময় যাবো ইনশাআল্লাহ। ধন্যবাদ।