এলার্জির কারনে জীবন অতিষ্ঠ।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। তবে আমি একটি মারাত্মক রোগ আক্রান্ত হয়েছি। এটা অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে পরীক্ষা। সৃষ্টিকর্তা যাকে বেশি ভালোবাসেন তাকে বিভিন্ন ধরনের বিপদ-আপদ, রোগ, মেহমান, কন্যা সন্তান এসব কিছু দিয়ে পরীক্ষা করে থাকেন। সবকিছুই সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। তিনির হুকুম ছাড়া গাছের পাতার ও নড়ার শক্তি নাই। তাছাড়া সৃষ্টিকর্তা যা কিছু করেন সবকিছু বান্দার ভালোর জন্যই করে থাকেন।
আমি জানি আমার মত অনেকেই এ রোগে আক্রান্ত। সাধারণত ৮০% মানুষ এ রোগে ভুগতেছে। অনেকে অনেক ধরনের চিকিৎসা করেও এ রোগ থেকে মুক্তি পাচ্ছে না। শুনেছি এ রোগ নাকি মৃত্যু পর্যন্ত বয়ে নিতে হয়। বড় ধরনের কোন রোগ নয় তবে বিরক্তিকর একটি রোগ। আর সেটা হলো এলার্জি জনিত রোগ। এ এলার্জির রূপ আবার বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। কারো ডাস্ট এলার্জি, কারো চর্ম এলার্জি, কারো আবার ঠান্ডা জনিত এলার্জি। মূলত এলার্জিজনিত রোগটাই খুবই বিরক্তিকর একটি রোগ।
আমার ডাস্ট এলার্জি রয়েছে। রাস্তা দিয়ে আসা-যাওয়ার পথে, অথবা ধুলাবলিজনিত কোন কাজকর্ম করলে, কোন ধরনের তরকারি রান্না করার সময় সেটার ভাব নাকে চলে আসলে সাথে সাথে আমার হাঁচি শুরু হয়ে যায়। মানে মুহূর্তের মধ্যে শরীরের টেম্পারেচার বেড়ে যায়। আর একসাথে অনেকগুলো হাঁচি আসে। সেজন্য আমি খুবই সতর্কতার সাথে চলাফেরা করি। সব সময় মাক্স ব্যবহার করার চেষ্টা করি। আমাদের গ্রামের একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের পরামর্শক্রমে ওনার ওষুধ খেয়ে ডাস্ট এলার্জি টা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সতর্কতা অবলম্বন করে চললে হাঁচি কম আসে। অনেকদিন যাবত ভালোই যাচ্ছিলো।
তবে বেশ কয়েক মাস ধরে নতুন আরেক এলার্জিজনিত রোগে ভুগতেছি। আর সেটা হল চর্মরোগ। এলার্জিজনিত কোন খাবার খেলেই শরীরের চর্মরোগ দেখা দেয়। কোরবানির ঈদের পরে এ রোগটি বেশি দেখা দেয়। কারণ তখন প্রচুর গরুর মাংস, হাঁসের মাংস, হাঁসের ডিম খাওয়া হয়। তখন বিভিন্ন ধরনের ঔষধ খেয়ে মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ঘটনাক্রমে গত সপ্তাহে গরুর মাংস এবং হাঁসের মাংস একসাথে খেয়েছিলাম। শুক্রবারে খাওয়ার পরে শনিবার থেকেই শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চর্ম রোগ দেখা দেয়। দিন দিন সেটা বাড়তেই থাকে। গত দুই তিন দিন যাবত শরীরের এমন কোন অঙ্গ পতঙ্গ বাদ নেই যেখানে চর্মরোগ দেখা দেয়নি। মানে আপাদমস্তক সব জায়গায় চর্মরোগ দেখা দিয়েছে। এখন আমি মারাত্মক কষ্ট যন্ত্রণা ও বিপদের মধ্যে রয়েছি। স্কিনের পিক দিলে অনেকে হয়তো ভয় পাবেন। সে জন্য স্কিনের পিক শেয়ার করলাম না।
রাত হলে ঘুমাতে পারিনা, দিনের বেলা অফিসে কাজ করতে পারি না, বাসায় আসলে বসে থাকতে পারিনা, সারা শরীর শুধু চুলকায়। সারা শরীরে ঘামাচির মত ছোট ছোট খুশপাছড়া হয়ে গেছে। গতকাল থেকে চোখে মুখে দেখা দিচ্ছে। আমার শরীরের অবস্থা দেখে আমি নিজেই ভয় পাচ্ছি। এমন গুরুতর অবস্থা কখনো হয়নি। এর আগে যতবার দেখা দিয়েছে বিভিন্ন ধরনের এলোপ্যাথিক ওষুধ খাওয়ার পরে চলে গেছে। কিন্তু ভিতর থেকে স্বমূলে বিনাশ হয়নি। যার ফলে দু এক মাস পর পর এ রোগটি দেখা দিচ্ছে। এটা নিয়ে অনেকের সাথে পরামর্শ করলাম। সবাই বলতেছে অনেকেই নাকি এই রোগে আক্রান্ত রয়েছে। বিভিন্ন ডাক্তার কবিরাজ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়েও কোন ফলাফল পাচ্ছে না। অবশেষে ইন্টিহিস্টামিন জাতীয় বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট কন্টিনিউ খেয়ে যাচ্ছে।
আমি চিন্তা করলাম যেভাবেই হোক এ রোগটিকে স্বমূলে বিনাশ করতে হবে। তা না হলে মৃত্যু পর্যন্ত দুঃখ দুর্দশা ভোগ করতে হবে। সেজন্য অনেক খোঁজাখুঁজি করে একজন হোমিও ডাক্তারের শরণাপন্ন হলাম। শরীয়তপুর হোমিওপ্যাথি কলেজের অধ্যাপক ডা: ওসমান গনী সাহেব। তিনি আমাকে তিন মাস তিনির কাছ থেকে ওষুধ খাওয়ার সাজেশন দিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে দশ দিনের ঔষধ দিয়েছেন। সাথে একটি সাবান দিয়েছেন, একটি নিম তেল দিয়েছেন। দশ দিন ঔষধ খাওয়ার পরে তিনির সাথে দেখা করতে বলেছেন।
গতকাল থেকে তিনির ওষুধ কন্টিনিউ করে যাচ্ছি। সমস্যাটা হলো যে জায়গার মধ্যে আগে চুলকাতো সেই জায়গাটা ভালো হচ্ছে, তবে আবার নতুন জায়গায় ইনফেকশন হচ্ছে। মানে পুরাতন জায়গায় ভালো হয় নতুন জাগায় চুলকানো শুরু হয়। কি যে একটা বিরক্তিকর অবস্থা সেটা আপনাদেরকে লিখে বুঝানো সম্ভব না। যারা এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে তারাই বিষয়টা বুঝতে পারবে।
গতকাল থেকে কিছুটা কম দেখতেছি। তবে ডাক্তার বলেছে ওষুধ খাওয়ার পরে যদি রোগটা আরো বৃদ্ধি পায়। তাহলে ভালো। তাতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ওষুধের মাধ্যমে ভিতর থেকে একসাথে বের করে আনবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ার চেষ্টা করছি, বাকিটা সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা। সবার কাছে দোয়াপ্রার্থী যেন এই বীভৎসা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পায়। শুনেছি যারা করোনার ভ্যাকসিন দিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এই রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে। সেটা কতটা সত্য সেটা আমি জানিনা।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
মডেল রিয়েলমি সি-৫৩
ফটোগ্রাফার @joniprins
তারিখ ১৩-০১-২০২৫
সময় রাত ১০.৩০
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
@joniprins, [12/30/2024 10:54 PM]
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
চিন্তা করবেন না ভাই, ডাক্তারের নির্দেশনা মেনে চলুন এবং ধৈর্য রাখুন। ওষুধের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এমন হতে পারে, যা স্বাভাবিক। নিয়মিত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ রাখুন এবং বিশ্রাম নিন। আল্লাহ আপনাকে দ্রুত সুস্থতা দান করুক।
জী ভাই দোয়া চাই আল্লাহ যেন তারাতারি সুস্থ করে দেন। ধন্যবাদ।
আসলে প্রতিনিয়ত খাদ্যদ্রব্য এত পরিমাণ বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করা হয় এতে করে খাদ্যের গুণগত মান কমে যায়। আর এর ফলে আমাদের শরীরে এই এলার্জির মত মারাত্মক রোগের সৃষ্টি হয়। আসলে এই এলার্জির কারণে আপনাকে কিন্তু অনেক বেছে বেছে খাবার খাওয়া উচিত। যাইহোক আপনার সুস্থতা কামনা করছি।
জী ভাইয়া সতর্ক হয়ে খাওয়া দাওয়া করতে হবে। ধন্যবাদ।
ভাইয়া ঠিক বলেছেন দেশের প্রায় অনেক মানুষের এই এলার্জির সমস্যা রয়েছে। আমার ছেলে খুবই ছোট কিন্তু তার ও দেখি এই সমস্যা রয়েছে। এটা নাকি আবার বংশগত ও হয়ে থাকে। আমার ছেলের সেজন্যই এলার্জির সমস্যা দেখা দেয়। অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগলে এই সমস্যা হয়। তবে এটা ঠিক বলেছেন যারা করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছে তাদের এই সমস্যা গুলো বেশি দেখা যাচ্ছে। আমার মা এবং শ্বাশুড়ি দু'জনের এই সমস্যা বেশি দেখা দিয়েছে। আমার শ্বাশুড়ি কে ও ডাক্তার এমন একটি সাবান দিয়েছে আর সাথে বেশ কিছু ঔষধ দিয়েছে। আমি আল্লাহর রহমতে এখনও সুস্থ রয়েছি কারণ করোনার টিকা একটিও নেইনি। যাই হোক আপনার জন্য দোয়া রইল যেন এই ঔষধ গুলো খাওয়ার পর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেন।
জী আপু দোয়া চাই। আল্লাহ তায়ালা সবাইকে যেন সুস্থ রাখে। ধন্যবাদ।
Task Done
আসলে ভাই এলার্জির কারনে আমাদের জীবন অতিষ্ঠ। প্রত্যেক পরিবারে সদস্যদের মধ্যে এলার্জির সমস্যা রয়েছে। আপনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করি। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
জী ভাই সবার ফেমিলিতেই এই সমস্যাটি রয়েছে। ধন্যবাদ।
ভাইয়া আমি জানি এই এলার্জির কত কষ্ট। যদিও এর আগে আমার এলার্জিজনিত কোন সমস্যা ছিল না। কিন্তু গত ৫-৬ মাস এলার্জির জন্য অনেক কষ্ট পাচ্ছি। কত ওষুধ খাচ্ছি ওষুধ দিচ্ছি কিন্তু কিছুই হচ্ছে না। আর কত কিছু যে মেনে খেতে হয়। আপনি একসাথে গরুর মাংস আর হাঁসের মাংস খাওয়ার কারণে এত বেশি হয়ে গেছে। আপনার মত আমার ঔষধ খেয়ে বেশি হয়েছিল কিন্তু এখন অনেক কমে গেছে। আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল।