সকালবেলা ছোট বোনকে নিয়ে পিজি হাসপাতালে।। ।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। মানুষ কখন যে অসুস্থ হয়ে যায় সেটা কেউ বলতে পারে না। সুস্থতা অসুস্থতার বিষয়টা সম্পূর্ণ সৃষ্টিকর্তার হাতে। তিনি কখন কাকে কি রোগ দিয়ে পরীক্ষা করেন সেটা আমরা কেউ জানিনা। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন আমি গত প্রায় দেড় মাস যাবত একটি কঠিন রোগে ভুগতেছি। দীর্ঘদিন ওষুধ কন্টিনিউ করে যাওয়ার ফলে এখন কিছুটা মোটামুটি সুস্থতার দিকে যাচ্ছে, আলহামদুলিল্লাহ।
কয়েকদিন আগে গ্রাম থেকে আমার আম্মু ফোন করে জানিয়েছিল আমার ছোট বোন নাকি অসুস্থ। আমি যেন আমার ছোট বোনের মোবাইলে ফোন দিয়ে তার খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করি। আম্মু ফোন রাখার পরে সাথে সাথে আমার ছোট বোনের মোবাইলে ফোন দিলাম। জিজ্ঞেস করলাম তার কি সমস্যা। সে তখন বলল তার গলার মধ্যে নাকি সমস্যা হয়েছে। গত এক বছর আগে আমাদের উপজেলা সদর থেকে ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ খাচ্ছে। এতদিন কম থাকলেও দিন দিন সেটা বাড়ছে। এখন আগের ডাক্তারের লিখে দেওয়া ওষুধ খাওয়ার ফলে ও গলা ফুলা কমছে না। সেজন্য আমি তাকে বললাম সে যেন যথা সম্ভব সবকিছু গুছিয়ে তাড়াতাড়ি ঢাকায় চলে আসে। ঢাকাতে বড় কোন ডাক্তারের মাধ্যমে ট্রিটমেন্ট করাবো।
আমার ছোট বোন তার হাজবেন্ডের সাথে কথা বলে গতকাল আমার বাসায় এসেছে। আমার ছোট বোনের গলার মধ্যে যে প্রবলেম সেটা দেখে আমি বুঝতে পারলাম, তার থাইরয়েডের প্রবলেম রয়েছে। গতকাল রাতে কয়েকজনের সাথে পরামর্শ করে পিজি হাসপাতালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। যে হাসপাতালের বর্তমান নাম হলো বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। রাতের বেলা অফিসের এক কলিগের সাথে যোগাযোগ করে তার এক পরিচিত জনের নাম্বার নিলাম। যিনি বর্তমানে পিজি হাসপাতালে কোন একটি পোস্টে জব করে।
ওই পরিচিত লোকের সাথে যোগাযোগ করে সকাল সাতটার সময় আমরা বাসা থেকে বের হয়। অটো নিয়ে সাইনবোর্ড গিয়ে সেখান থেকে রজনীগন্ধা বাসে চড়ে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় তথা পিজি হাসপাতালের সামনে গিয়ে নামলাম। সকাল বেলা রাস্তায় তেমন যানজট হয়নি, যার ফলে এক ঘন্টার মধ্যে সেখানে গিয়ে পৌঁছে যায়। কিন্তু তখনো ডাক্তার আসে নাই। যার ফলে আমরা অপেক্ষা করতে লাগলাম।
পিজি হাসপাতালের পরিবেশ মোটামুটি অনেক ভালো। সব কিছু পরিষ্কার পরিছন্ন ছিল। সকাল আটটার সময় হাসপাতালের ক্যানটিনে নাস্তা করলাম। নয়টার দিকে টিকেট কেটে ডেন্টাল ভবনের পাঁচতলায় গেলাম। প্রচুর পরিমাণে রোগী ছিল। সব থেকে বেশি ছিল চর্ম রোগী। সারা বাংলাদেশে চর্ম রোগটা বেড়েছে। মানুষ যা খায় সবই ক্যামিকেল। খাবারে ভেজাল থাকার কারনে মানুষের আজ এই অবস্থা। যায় হোক আমরা গিয়ে সিরিয়ালে দাড়ালাম। দশ মিনিট পরে আমাদের রোগীর ডাক আসলো।
ডাক্তার শুধু পাঁচটি টেষ্ট লিখেছেন, কোন ঔষধ লিখে নাই। কাগজ নিয়ে এই ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে গেলাম। সেখানে সব ধরনের টেস্ট করা হয়। আন্ডারগ্রাউন্ডে আমাদের চারটি টেস্টের টাকা নিলো ১৬২০ টাকা। টাকা পেমেন্ট করে ব্লাড দেওয়া হলো। কিন্তু আমাদের মূল টেস্ট গলার আল্ট্রাসনোগ্রাফি সেটাই রয়ে গেলো। সেখানে একদিনে সম্ভবত ৯০ জনের আল্ট্রাসোনোগ্রাফী করতে পারে। আল্ট্রাসোনোগ্রাফী আবার বিভিন্ন প্রকার আছে। থাইরডের মাত্র পাঁচজন নেয়। বুঝতে পারলাম সেখানে আজকে আর নতুন কোন রোগীর আল্ট্রাসোনোগ্রাফী করাবে না। বিকল্প চিন্তা করতে লাগলাম। কয়েক জনের সাথে পরামর্শ করে বুঝতে পারলাম এখানের রিপোর্ট সব থেকে ভালো। তাই এখান থেকে করাতে পারলেই ভালো। আর এখানে আল্ট্রাসোনোগ্রাফী করাতে হলে খুব সকালে যেতে হবে।
আগামীকাল আবার সকাল সকাল যেতে হবে, সবার কাছে দোয়া চাই গলার আল্ট্রাসোনোগ্রাফীটা যেন সেখানে করতে পারি, রিপোর্ট যেন ভালো আসে। আগামী কাল আবার আপডেট পোস্ট করবো।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি সি-৫৩ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ১৯-০২-২০২৫ |
সময় | সকাল ৯.০০ |
স্থান | বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়,ঢাকা |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
@joniprins, [12/30/2024 3:52 PM]
Click Here For Join Heroism Discord Server
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Done