গ্রাম বাংলার অসাধারন কিছু দৃশ্য।।
9/30/2024 8:32 PM
বাংলা ভাষার মাধ্যমে শেয়ার করো তোমার মনের অনুভূতি
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি গ্রাম বাংলার চমৎকার কিছু চিত্র আপনাদের সাথে তুলে ধরবো। এসব দৃশ্য গ্রামে না গেলে কখনো দেখা সম্ভব নয়।
আমি অফিস থেকে দুই দিন ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। তবে গরমের কারনে ছুটিটা তেমন ভালোভাবে কাটাতে পারি নাই। এক তো গ্রামে কারেন্ট থাকে না, দ্বিতীয় তো প্রচুর রোদ আর গরম ছিল। বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব থেকে বড় সমস্যা হলো রাস্তা। নারায়গঞ্জের কাঁচপুর সেতু থেকে সিলেট পর্যন্ত ডাবল লাইনের কাজ ধরেছে। আবার সরাইল বিশ্বরোড থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত ডাবল লাইনের কাজ ধরেছে। দুই তিন বছর হয়ে গেছে কাজ ধরেছে এখন পর্যন্ত অর্ধেক কাজও হয়নি। সারা রাস্তায় কাজ ধরার ফলে অবস্থা খুবই খারাপ। বৃষ্টিবাদল হওয়ার পরে রাস্তায় বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে। গাড়ি রাস্তা দিয়ে গেলে নৌকার মত এদিক সেদিক ধুলখাই। বাংলাদেশের সরকারি কাজ হলো কচ্চপের মত। ধীরে ধীরে কয়েক দশক লাগিয়ে কাজ করা হয়। যেন এই কাজ দেখিয়ে পাঁচ বছর পরে আবার ক্ষমতায় থাকা যায়। বাঙালী মানুষের কথা বলে লাভ নেই। মানুষের যাওয়া আসা করতে প্রচুর কষ্ট হচ্ছে। তবে কে দেখে কার কষ্ট। এই জন্যই বাড়িতে ধীর্ঘদিন পর পর যায়। যায়হোক আজকে গ্রাম বাংলার চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করছি।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন নদীর কিনারে তিনটি নৌকা বাঁধা আছে। এগুলো দিয়ে জেলেরা মাছ শিকার করে। গ্রামের ছোট তিতাস নদী। নদীতে তেমন কোন ঢেউ নেই। যার ফলে ছোট নৌকা হলেও সমস্যা নেই। তাছাড়া এগুলো দিয়ে ছোট ছোট জাল দিয়ে মাছ ধরে। আমাদের তিতাস নদীতে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। আর তিতাস নদীর মাছে প্রচুর স্বাদ পাওয়া যায়। চাঁদপুরের ইলিশে যেমন স্বাদ বেশি ঠিক তেমনি তিতাস নদীর মাছেও স্বাদও বেশি।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন কিছু বাচ্চা বড়শি দিয়ে নদী থেকে মাছ ধরতেছে। বর্ষাকালের পানি চলে যাওয়ার সময় বিভিন্ন গর্ত বা খেতের মধ্যে পানিতে মাছ পাওয়া যায়। জাল বড়শি ট্রেডা দিয়ে এসব মাছ ধরা যায়। আমি বিকাল বেলা নদীর পাড় দিয়ে হাটার সময় তাদেরকে দেখে ফটোগ্রাফি করেছি। বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে অনেক ধৈর্য লাগে। একটি বাচ্চা মনযোগ সহকারে তার বড়শির দিকে তাকিয়ে আছে। দৃশ্যটা আমার কাছে দারুন লেগেছে।
বর্ষার পানি চলে যাওয়াতে উঁচু স্থানের কিছু কিছু জমি শুকিয়ে গেছে। সেই জমিতে পানি থাকা অবস্থায় নৌকা রাখা ছিল। এখন বর্ষার পানি চলে যাওয়াতে নৌকা মাটির সাথে লেগে আছে। এখন পানিও নাই, নৌকারও দরকার নেই। পানি থাকলে এই নৌকার কদর থাকতো। এটাও একটি শিক্ষা দিচ্ছে, যতক্ষন তোমার দরকার হবে, ততক্ষন তুমি দামি। যেই দরকার শেষ তখনই অবহেলার পাত্র হয়ে যায়।
রাস্তা দিয়ে হাটার সময় বড় রাম ছাগল দেখে একটি ফটো ক্যাপচার করে নিলাম। পিছনে খালি জমিতে আরো কিছু ছাগল দেখা যায়। এই ছাগটি ঘাস খেতে খেতে পেঠ ভরে গেছে। সেই জন্য হয়তো বাড়ির দিকে রওয়ানা দিচ্ছে। জমিতে ছাগলের মালিককে বসে থাকতে দেখা যায়। আমি ফটোগ্রাফি করার সময় মালিক আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। ছাগল পালন করলে অনেক লাভ আছে। বাজারে ছাগলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
এখানে একটি চিত্র দেখতে পাচ্ছেন একটি বড় ট্রলার বা নৌকা নদী দিয়ে চলে যাচ্ছে। ট্রলারের মধ্যে কিছু শ্রমিক বসে আছে। আমি সন্ধার সময় ফটোগ্রাফিটা করেছি। শ্রমিকরা কোথাও ট্রলারে করে বালু নিয়ে গেছিলো। সারাদিনে ট্রলার থেকে বালু নামিয়ে খালি ট্রলার নিয়ে বাড়ির দিকে রওয়ানা দিয়েছে। দিন শেষে সবাইকে বাসায় ফিরতে হয়। সন্ধার হয়ে গেছে তাই আমি বাসার দিকে রওয়ানা দিলাম।
বন্ধুরা কেমন হলো আমার আজকের ব্লগ। আশা করি সবার কাছে দৃশ্য গুলো ভালোই লাগবে। গ্রাম বাংলা চিত্র সত্যিই দারুন। এই গুলোর টানে বার বার ফিয়ে যায় সেই গ্রামে। আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
Device-Mobile
Model-Realme 53
Location-Bramanbaira,Dhaka, Bangladesh.
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
@joniprins, [9/30/2024 8:32 PM]
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
গ্রামীণ সৌন্দর্য যত দেখি তত ভালো লাগে। আর এরকম সুন্দর দৃশ্য গুলো দেখলেই ছবি তুলতে ইচ্ছে করেন। ভাই আপনি চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সবাইকে দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
জী ভাইয়া প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফিতে গ্রামীন জীবনের চিত্র ফুটে উঠেছে। ধন্যবাদ।
অফিস থেকে দুদিন ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলেন কিন্তু সেখানে বিদ্যুৎ সমস্যা আর প্রচন্ড রোদের কারণে সেখানে ভালো একটি সময় অতিবাহিত করতে পারেননি।তারপরেও গ্রামে গেলে অন্যরকম একটা প্রশান্তি পাওয়া যায়।যা অন্য কোথাও গেলে পাওয়া যায় না।আপনি গ্রামে গিয়ে নদীর ধারে গিয়ে সেখানে মনে হচ্ছে খুব সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন।সেখানকার কিছু ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।
জী ভাইয়া গ্রামে গিয়ে আর কিছু না হলেও চমৎকার কিছু দৃশ্য ক্যাপচার করেছি। ধন্যবাদ।
আসলে গ্রাম বাংলার এই ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। কেননা আপনি গ্রাম বাংলার যেখানেই তাকাবেন সেখানেই বিভিন্ন ধরনের টপিক খুঁজে পাবেন ফটোগ্রাফির জন্য। আজও আপনি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর সুন্দর কতগুলো গ্রাম বাংলার ছবি তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া ঠিক বলেছেন, গ্রাম বাংলার যেদিকে তাকায় এমন হাজারো চিত্র চোখে পড়ে। ধন্যবাদ।
বাংলাদেশের এটাই একটা সমস্যা ভাই। এরা যেকোনো কাজে অনেক সময় লাগিয়ে দেয়। মানুষের দূর্ভোগের কথা চিন্তা করে না। এমন দৃশ্য অনেক বছর দেখিনা। গ্রামে গেলেই এমন অসাধারণ সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়। চমৎকার ছিল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ভাই। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
জী ভাইয়া দৃশ্য গুলো সত্যিই চমৎকার লেগেছে। ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনি দেখতেছি অফিস থেকে দুই দিনের ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ভালোই ফটোগ্রাফি করেছেন। আসলে বর্তমান সময়ে গরমের কারণে কোন কিছুই ভালো লাগেনা। যেমনটি আপনি ভালোভাবে ছুটি কাটাতে পারেন নাই গরমের কারণে। আর গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য মানুষকে এমনিতে মুগ্ধ করে। ভালো লাগলো আপনার গ্রাম বাংলার চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।
জী আপু অবশেষে গরমের পরে কিছুটা বৃষ্টি আসলো। ধন্যবাদ।