পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ উপলক্ষে পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। কিছুদিন আগে একটি কিন্ডারগার্টেন এর ফলাফল ঘোষণার অনুষ্ঠান দেখে খুবই মুগ্ধ হয়েছি। এই কিন্ডারগার্টেনটি আমাদের বাসার পাশেই। নাম হলো আদর্শ কিন্ডারগার্টেন।
গত ৩০ তারিখ এই কিন্ডারগার্টেনটি তাদের বাৎসরিক রেজাল্ট প্রকাশ করেছে। কিন্ডারগার্টেন কর্তৃপক্ষ রেজাল্ট প্রকাশ করার জন্য খুবই সুন্দর একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। কিন্ডারগার্টেনটি সম্ভবত প্লে থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত। সব মিলিয়ে তাদের স্টুডেন্ট হবে একশত থেকে দেড়শো এর মত। এদিকে যতগুলি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে সব থেকে ভালো কিন্ডার গার্টেনের নাম হলো আদর্শ কিন্ডারগার্টেন।
গত ৩০ তারিখ আমি অফিস থেকে আসার পথে হঠাৎ করে কনসার্টের শব্দ শুনতে পাই। তারপর কোথায় থেকে এই শব্দ আসতেছে সেটা খোঁজ করতে করতে কিন্ডারগার্টেনের ভিতরে চলে যাই। গিয়ে দেখি কিন্ডারগার্টেন কর্তৃপক্ষ তাদের বাৎসরিক রেজাল্ট প্রকাশ করার জন্য খুব সুন্দর একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন।
কনসার্টের মধ্যে উপস্থিত হওয়া মানুষের জন্য পিঠা উৎসবের আয়োজন ও করা হয়েছে। সেই সাথে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের রয়েছে। সবকিছু আয়োজন করা হয়েছে কিন্ডারগার্টেন এর পক্ষ থেকে। এ বিষয়টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ঐদিন সমস্ত স্টুডেন্টদের গার্জিয়ান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল। আসরের পর থেকে অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রথমদিকে কিন্ডারগার্টেনের ছোট ছোট বাচ্চারা কবিতা আবৃত্তি, বিভিন্ন ধরনের নিত্য, বিভিন্ন ধরনের গান পরিবেশন করেছে।
মাগরিবের পর থেকে শুরু হয় অনুষ্ঠানের মূল বিষয়। মাগরিবের নামাজের পরে একদল ইসলামিক সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর শিল্পীদের আগমন ঘটে। তারা বিভিন্ন ধরনের ইসলামী সংগীত পরিবেশন করে। ইসলামী সংগীত গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। নতুন নতুন ইসলামী সংগীত তারা পরিবেশন করেছে।
ইসলামী সংগীত পরিবেশনের পরে শুরু হয় বাস্তব ভিত্তিক নাটক। নাটকগুলি বাংলাদেশের বর্তমান চিত্রের আলোকে তৈরি করা হয়েছিল। সবাই অভিনয় করে সুন্দরভাবে বিষয়গুলো ফুটিয়ে তুলেছে। অনুষ্ঠানের শেষের দিকে একটি নাটকের মাধ্যমে এক চেয়ারম্যানের চরিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। যে চেয়ারম্যান ক্ষমতা পেয়ে সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার জুলুম করেছে। ফলাফল সে দুনিয়াতেই পেয়েছিল। তার ছেলে মেয়েগুলো প্রতিবন্ধী হয়েছিল। জীবনের শেষ বয়সে সে চিকিৎসা হীন অবস্থায় মারা গিয়েছিল। সব মিলিয়ে নাটকের বিষয়গুলো খুবই সুন্দর ছিল।
সর্বশেষ স্টুডেন্টদের গার্জিয়ানদের মতামত জানার সুযোগ দিয়েছিল। অনেক গার্জিয়ান তারা তাদের ছেলেমেয়েদেরকে এই কিন্ডারগার্ডেনে শিক্ষালাভের জন্য দিয়ে অনেক হ্যাপি। অনুষ্ঠানের একেবারে সবার শেষে ২০২৪ সালের বাৎসরিক পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এই কিন্ডারগার্টেনে দেখলাম ৯৮% স্টুডেন্ট পাস করেছে।
স্টুডেন্টরা পাস করে খুবই আনন্দিত হয়েছে। সব মিলিয়ে ওই দিনের অনুষ্ঠানটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে পিঠা উৎসব দেখে। আমি আর আমার এক কলিগ সেদিন সেখানে গিয়েছিলাম। আমরা দুজনে মিলে বেশ কিছু পিঠাও খেয়েছি। সব মিলিয়ে ওইদিনের অনুষ্ঠানটি আমাদের সবার কাছে ভালো লেগেছে। প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান যদি এভাবে তাদের বাৎসরিক রেজাল্ট প্রকাশ করে, তাহলে স্টুডেন্ট এবং গার্জিয়ান সবাই খুশি হয়।
যাইহোক আজকে আর কথা বাড়াচ্ছি না। এখান থেকে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিবো। আপনারা সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। সবার কাছে দোয়া কামনা করি।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
Device- Realme C53
Location - Fatullah, Narayanganj, Dhaka.
Time- 7.00 pm
Date- 30-12-2024
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Task Done

বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। এভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এর মাধ্যমে যদি রেজাল্ট দেয়া হয় বাচ্চারা বেশ আনন্দ পায়। এবং পড়ালেখার প্রতি তাদের আগ্রহ তৈরি হয়। সেই সাথে গার্ডিয়ানরাও বেশ আনন্দিত হবে এই ধরনের স্কুলে তাদের বাচ্চাদের পড়াতে পেরে। আর সেই সাথে পিঠার মেলাটি অনুষ্ঠানটির মধ্যে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
জী ঠিক বলেছেন এভাবে রেজাল্ট দিলে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়ে। ধন্যবাদ।