জুম্মার নামাজ শেষে মিষ্টির প্যাকেট। 😋😋
ভালোবাসার এক অনন্য প্লাটফর্ম-
ইসলাম ধর্মে জুম্মার নামাজ,তারাবীহ নামাজ বা যে কোন নামাজ শেষে মসজিদে তাবারক দেওয়ার একটি প্রচলন রয়েছে। তবে তাবারক দিতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই, এটা কোন ফরজ, ওয়াজিব বা সুন্নাত না। কেউ মন চাইলে সওয়াবের নিয়তে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদেরকে তাবারাক দিয়ে থাকে। তাবারক হিসাবে কি আইটেম দিবে সেটাও কোন নির্ধারিত নিয়ম নেই। যার যে খাবার মন চাই যে কোন ধরনের খাবার তাবারক হিসাবে দিতে পারে। আর মুসল্লিরাও খুবই খুশি মনে সেই তাবারক গ্রহন করে থাকে। আমাদের দেশে তাবারক হিসাবে জিলাপিটাই বেশি দিয়ে থাকে। এছাড়াও হালুয়া-রুটি, খিচুড়ি, বিরিয়ানী, মিষ্টি-নিমকি, খুরমা-খেজুর এসব খাবারও তাবারক হিসাবে খেয়েছি। আমি মাদ্রাসাতে পড়াশোনা করার ফলে জীবনে অনেক তাবারক পেয়েছি। এমনও দিন গেছে দুই প্যাকেট তিন প্যাকেটও তাবারক পেয়েছি।
আমাদের গ্রামে ২৫টি মসজিদ রয়েছে। ছোট সময় জুম্মার নামাজ বা তারাবীহ নামাজ পড়ার আগে খোঁজ খবর নিতাম কোন কোন মসজিদে তাবারক দিবে। যে মসজিদে তাবারক দিতো সেই মসজিদেই নামাজ পড়তে যেতাম,হে হে হে। আমি সর্বউচ্চ তিন প্যাকেট পর্যন্ত তাবারক পেয়েছি। ছোট সময় নামাজ, রোজা, তাবারক নিয়ে অনেক স্মৃতি রয়েছে। রমজান, শবেবরাত, শবেকদর, দশই মরহররম এই দিন গুলো আমরা উৎসবের মত পালন করতাম। এলাকার ছেলেপেলে মিলে এই দিন গুলোতে খুবই আনন্দ করতাম। আলিয়া মাদ্রাসায় পড়ার সময় দেখতাম প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন মাজারেও তাবারক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তবে ঐসব জাগায় আমার খুব কমই যাওয়া হতো।
গতকাল ২৮ শে জুন শুক্রবার ঈদের ছুটির সাথে সমন্বয় সাপেক্ষ আমাদের অফিস খোলা ছিল। ঈদের সময় আমাদের অফিস নয়দিন ছুটি ঘোষনা করা হয়েছিল। সরকারি ছুটি তিনদিন ও একদিন শুক্রবার বাদ দিয়ে মোট পাঁচদিন আমাদের সমন্বয় ডিউটি করে দিতে হবে। গতকাল ডিউটি করার পরে তিনদিন সমন্বয় ডিউটি শেষ হয়েছে। আরো দুইদিন বাকি আছে। এগুলো ধীরে ধীরে ডিউটি করে দিতে হবে। প্রাইভেট কোম্পানিতে কঠিন ভাবে হিসাব নিকাশ করা হয়। কোন কিছুতে চুল পরিমান ছাড় দেয় না।
যায়হোক গত কাল ১২:১৫ মিনিটে জুম্মার নামাজের আজান দেওয়ার পরে, আমি আর আমার এক কলিগ অফিস থেকে অজু করে পাশের একটি মসজিদে চলে যায়। আপনারা সবাই জানেন শহরের দিকে মসজিদ যেমন বেশি ঠিক তেমনি মানুষও বেশি। শুক্রবারে আজানের সাথে সাথে মসজিদে না গেলে জায়গা পেতে কষ্ট হয়। আমরা আজান দেওয়ার বিশ মিনিটের মধ্যেই মসজিদে হাজির হয়ে যায়। খতিব সাহেব হুজুর প্রথমে বাংলা ভাষায় বিভিন্ন ওয়াজ নসিহত বা উপদেশ দিলেন। তারপর যারা যারা কাবলাল জুমুআর ৪ রাকাত সুন্নাত নামাজ আদায় করেনি,তাদেরকে সেই নামাজ আদায় করার সুযোগ দেন। আমরা আগেই পড়েছিলাম। তাই আমাদের আর কোন নামাজ পড়তে হয়নি। সুন্নাত নামাজ শেষ হলে মোয়াজ্জেন সাহেব হুজুর আজান দিলেন। তারপর খতিব সাহেব খুৎবা দিয়ে নামাজ শুরু করলেন। ২ রাকাত নামাজ শেষ করে খতিব সাহেব হুজুর দেশ ও জাতির কল্যান কামনায় দোয়া মোনাজাত করেন।
জামায়াতের সাথে জুম্মার দুই রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করার পরে আবার ৪ রাকাত সুন্নাত নামাজ আদায় করতে হয়। সেই নামাজ আদায় করে গেইটে আসার পরে দেখতে পেলাম যারা যারা মসজিদ থেকে নামাজ আদায় করে বের হচ্ছে তাদের সবার হাতে এক প্যাকেট করে তাবারক দিচ্ছে। একটি ছোট কভার ভ্যান দিয়ে প্যাকেট গুলো নিয়ে এসেছে। মানুষ যেমন বেশি ছিল,ঠিক তেমনি প্যাকেটও ছিল অনেক। নামাজ পড়ার সময় মোবাইল নিয়ে যায়নি,যার ফলে ছবি তুলতে পারি নাই। আমি আর আমার কলিগ দুই জনে দুই প্যাকেট নিয়ে ধীরে ধীরে হেঁটে হেঁটে অফিসের ভিতরে চলে আসলাম। বাসা থেকে লাঞ্চ নিয়ে গেছিলাম, লাঞ্চ করে চারটার দিকে প্যাকেট খুলে দেখি, প্যাকেটের ভিতরে একটি সাদা মিষ্টি ও একটি নিমকি রয়েছে। ছোট একটি প্যাকেটে খুব সুন্দর ভাবে এগুলো দিয়েছে।
মিষ্টি, নিমকি, জিলাপি এগুলো আমার খুবই প্রিয়। গরম গরম জিলাপি খেতে দারুন লাগে। মিষ্টি খাচ্ছি আর যে লোক এগুলো দিয়েছে তার জন্য দোয়া করলাম। ঐ ব্যাক্তি যে উদ্যেশ্যে এই তাবারক দিয়েছে, সৃষ্টিকর্তা যেন তার মনের হালাল ইচ্ছা গুলো পুরন করে দেন। মিষ্টি শেষ করে নিমকিতে কামড় দিলাম, আহ কি স্বাদ...। শুক্রবারে নামাজ পড়তে গেলে লাভ আছে, তাবারক হিসাবে মিষ্টি আর নিমকির প্যাকেট পাওয়া যায়,হি হি হি।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | জুম্মার নামাজ শেষে মিষ্টির প্যাকেট।। |
স্থান | শিবু মার্কেট,নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২৮/০৬ /২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
তাবারক হিসেবে যেটাই দেওয়া হোক খেতে কিন্তু খুবই ভালো লাগে। এটা ঠিক বলেছেন বেশিরভাগ মসজিদেই জিলাপি দেওয়া হয়। আপনার মিষ্টির প্যাকেটের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো বেশ ভালো লাগলো। ছোটবেলায় যে মসজিদে তাবারক দেওয়া হতো, খুঁজে সেই মসজিদে যেতেন জেনে বেশ মজা পেলাম। ছোটবেলার কিছু স্মৃতি শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ব্লগটি পড়ে গঠনমূলক একটি মন্তব্য করেছেন,সে জন্য ধন্যবাদ।
আমি ছোটবেলায় তবারকের লোভে শুক্রবারের দিন মসজিদের মধ্যে নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম। জুমার নামাজ শেষে যখন তবারক প্রদান করা হয় তখন আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি দেখছি জুমার নামাজ আদায় করে বের হ ওয়ার সময় বেশ কিছু তবারক পেয়েছেন। ভাইয়া আপনার তবারক গুলো দেখে আমার লোভ লেগে গেল 🫣।
ছোট সময় তাবারক পেতাম যেখানে,আমিও যেতাম সেখানে,হে হে হে। ধন্যবাদ।
বাহ! তাহলে তো বেশ ভালো হলো। তাবারক আমারও বেশ ভালো লাগে। তবে আমরা তো মেয়ে মানুষ মসজিদে যেতে পারি না জুমার দিন। কিন্তু অনেক সময় দেখি যে মসজিদে কিংবা মাদ্রাসায় বিরানি কিংবা খিচুড়ি দেওয়া হয়। অনেক সময় সেখান থেকে আনা তাবারক খেয়েছি বেশ ভালো লাগে। প্রায় সময় আমরা তাবারক গুলো নিয়ত করে খেয়ে থাকি। আপনি তো ছোটবেলায় মাদ্রাসাতে পড়ার সময় মসজিদে যাচাই-বাছাই করে যেতেন কোন মসজিদে তাবারক দেই হা হা হা। ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি পড়ে।
জী অনেক সময় দেখা যায়,তাবারক অতিরিক্ত হলে,বিভিন্ন বাড়িতেও বন্টন করে দেওয়া হয়। ধন্যবাদ।
আসলে ছোট বেলায় জুমার দিনে নামাজ শেষে এমন তবারক দিতো। আর এই তবারক আমার ভীষণ ভালো লাগে। তবে বেশিরভাগ সময় জিলাপি দিতো। আর ছোট ছেলে ফলে তবারক খাওয়ার জন্য শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করতে যেতো। আজকে আপনার পোস্ট পড়ে সেই দিনের কথা গুলো মনে পরে গেলো। ধন্যবাদ পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া অধিকাংশ সময় জিলাপিই পেয়েছি। ধন্যবাদ।
https://x.com/ArianKh29670721/status/1807132059934351664?t=tQuXbFXN7EWpLrSRA5EPuA&s=19
জুম্মার নামাজ শেষে মিষ্টির প্যাকেট আমিও অনেক পেয়েছি। বেশির ভাগ সময় জিলাপি পেয়ে খেয়েছি। আপনি তো মিষ্টি, নিমকি, জিলাপি সব একসাথে পেয়েছেন। ছোট সময় আমি জিলাপির লোভে জুমার নামাজ পড়তে যেতাম। যাইহোক আপনি খেয়ে দোয়া করেছেন যেনে ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাই।
মিষ্টি আর নিকমি পেয়েছি। জিলাপি দেয়নি ভাইয়া। জিলাপির জন্য আন্দোলন করতে হবে,হা হা হা। ধন্যবাদ।