কিছু সুস্বাদু ফলের ফটোগ্রাফি।।

হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি কিছু ফলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো।

বাংলাদেশ মূলত ছয় ঋতুর দেশ হলেও এখন দুই ঋতু হয়ে গেছে। এখন গ্রীষ্মকাল আর শীতকাল ছাড়া অন্য ঋতু গুলো তেমন লক্ষ করা যায় না। এখন ঋতু অনুযায়ী এই সময়টাতে গরম থাকলেও বৃষ্টি হওয়ার কথা। কিন্তুু গরমের পরিমান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অথচ সে অনুযায়ী বৃষ্টি হচ্ছে না। বৃষ্টির জন্য আমরা সবাই ভিক্ষুকের মত আকুতি মিনতি করছি। কিন্তু বৃষ্টির দেখা পাচ্ছি না। তবে আশার বাণী হলো এই মৌসুমে বেশ কিছু ফলের স্বাদ গ্রহন করা যায়। গ্রীষ্মকাল মানেই হলো ফলের ঋতু। এই ঋতুতে বাজারে বিভিন্ন ধরনের ফল দেখা যায়। আমি ধীরে ধীরে বেশ কিছু ফলের ফটোগ্রাফি করে জমা করেছিলাম। ভেবেছি আজকে সব গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে দিবো।

ক্যান্টালুপ ফল-

Device-Realme-53
Location

উপরের ফটোগ্রাফিতে যে ফলটা দেখতে পাচ্ছেন এটি একটি বিদেশি ফল। যার নাম হলো ক্যান্টালুপ ফল। দেখতে বাংলাদেশের তরমুজ ফলের মত মনে হয়। যার ফলে অনেকে এটাকে খরমুজ ফল বলেও ডেকে থাকে। তরমুজ গাছের মতই বিদেশের মাটিতে এটা চাষ হয়ে থাকে। বিদেশে থেকে এনে বাংলাদেশে বিক্রয় করা হয়। তবে বাংলাদেশেও এটা চাষ করার প্রক্রিয়া চলতেছে। এটার দাম কিন্তুু আকাশ ছোঁয়া। প্রতি কেজি ক্যান্টালুপ ফল সাড়ে তিনশো থেকে চারশো টাকা দরে বিক্রয় করে থাকে। আমি এই ফটোগ্রাফিটা চাষাড়া মোড় থেকে সংগ্রহ করেছিলাম।

হিম-সাগর আম

Device-Realme-53
Location

এখানে গ্রীষ্মকালের আরেকটি সুস্বাদু ফলের ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন। আর সেটা হলো আপনার আমার সবার পরিচিত আম। এই আমটার নাম হলো হিম সাগর। এই বছর আমের ফলন তেমন ভালো হয়নি। যার ফলে আমের দামও বেশি। এই আম গুলো ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করছিলো। এখানে সবার নিচে একটি ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন একটি আমের মধ্যে অনেক গুলো মাছি বসে আছে। এখানে আম বিক্রেতা এটা প্রমান করতে চাইছে যে,তার আমের মধ্যে কোন ফরমালিন নেই। যদি ফরমালিন থাকতো তাহলে তার আমের মধ্যে মাছি বসতো না। এখন এটা কতটুকু সত্য আমি নিজেও জানি না।

সুমিষ্ট রসালো লিচু

Device-Realme-53
Location

এখানে দেখতে পাচ্ছেন দুইটি লিচুর ফটোগ্রাফি। এই বছর বৃষ্টির অভাবে লিচুর ফলনও তেমন ভালো হয়নি। মোটামুটি ভাবে বাগানিরা একটি ফলন পেয়েছে। প্রথম দিকে লিচুর দাম তিনশো থেকে সাড়ে তিনশো টাকা ছিল। পরে হঠাৎ করে লিচু শর্ট দেখা দেয়। যার ফলে দামও বেড়ে যায়। একশো লিচুর দাম সাড়ে চারশো থেকে পাঁচশো টাকা। আমি ঈদের পরেও নানু বাড়িতে যাওয়ার সময় লিচু কিনেছিলাম। ঐ লিচু গুলো একটু বড় সাইজের ছিল। খেতে ভালোই লেগেছে।

দানাদার টকটকে লাল তরমুজ

এখানে রয়েছে একটি তরমুজের ফটোগ্রাফি। এটি আমাদের দেশি তরমুজ। এই ফটোগ্রাফিটা নিয়েছিলাম গত মাসের প্রথম দিক দিয়ে। তখন তরমুজের মৌসুম প্রায় শেষের দিকে ছিল। এই বছর তরমুজ নিয়ে অনেক তেলেসমাতি হয়েছে। শেষের দিকে সবাই তরমজু ভয়কট করেছিল। যার ফলে দামও কমে গেছিলো। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে সব কিছু সবম্ভব। যায়হোক এখানে অনেক গুলো তরমুজ ছিল। আর তরমুজের সাইজও বড় ছিল।

Device-Realme-53
Location

পুষ্টিগুন ভরপুর আপেল

Device-Realme-53
Location

এখানে দেখতে পাচ্ছেন বারোমাসি ফল আপেল। আপেল আমাদের খুবই কমন একটি ফল। গতমাসে এই ফটোগ্রাফিটা নিয়েছি। তবে এই বছর আপেলের দাম তুলনামূলক ভাবে কম। আম বাজারে আসার আগে দুইশো টাকা কেজি আপেল পাওয়া গেছে। আমি এই বছর প্রচুর আপেল খেয়েছি। আপেলের মধ্যে আবার দুই প্রকার দেখলাম। একটি আপেল বালুর মত লাগে, এটা তেমন ভালো লাগে না। যেটা কামড় দিলে কচকচ করে,সেটা খেতে খুবই ভালো লাগে।

পুষ্টিকর তাল ফল

Device-Realme-53
Location

এই বছর প্রচুর তালের ফলন হয়েছে। গ্রামগঞ্জে শহরে বন্দরে রাস্তাঘাটে যেখানেই যায়,সেখানেই তাল দেখতে পায়। তালের আঁশ খেতেও দারুন লাগে। একটার পরে একটা ফলের মৌসুম আসতেই থাকে। এই জন্যই সবাই বলে বাংলাদেশের মত এমন একটি দেশ কোথাও পাওয়া যাবে না। বাংলাদেশের মাটি সোনার চেয়েও খাঁটি। যেটা রোপন করা হয়,সেটাই ফলন হয়।

জাতীয় ফল কাঁঠাল

Device-Realme-53
Location

সর্বশেষ দেখতে পাচ্ছেন কাঁঠালের ফটোগ্রাফি। কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। এই ফটোগ্রাফিটা নিয়েছিলাম যাত্রাবাড়ি ফ্লাইওভারের নিচ থেকে। কাঁঠাল এমন একটি ফল যেটার মধ্যে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে। আমি কিছুটা শক্ত জাতীয় কাঁঠাল হলে খেতে পারি। জীবনে প্রচুর কাঁঠাল খেয়েছি। আমার দাদা কাঁঠালের ব্যবসা করতেন। যার ফলে প্রতিদিন একটি করে কাঠাল খাওয়া হতো। আমি একদিন দাদার সাথে পাহাড়ের দিকে কাঁঠাল কিনতে গেছিলাম। কাঁঠাল বিক্রয় করে কিছু টাকা লাভও হয়েছিল। কাঁঠাল নিয়ে আমার অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে।

বন্ধুরা আজকে এখান থেকেই বিদায় নিবো। আবার আগামীকাল নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো,ইনশাআল্লাহ। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার সুস্বাস্থ কামনা করি।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।