স্বরচিত কবিতা-“মুসাফির’’।। By joniprins
হ্যালে বন্ধুরা,আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আপনাদের সাথে একটি কবিতা শেয়ার করবো। আশা করি কবিতাটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো ভালো লাগবে।
কবিতার মূলভাব-
আমার আজকের কবিতাটি ইহকাল এবং পরকাল কে কেন্দ্র করে রচনা করা হয়েছে। কবিতার নাম দেওয়া হয়েছে মসাফির। মুসাফির শব্দের শাব্দিক অর্থ হলো- পথিক, পর্যটক, ভ্রমন কারী,যাত্রী,রাহী। আর পারিভাষিক ভাবে বলা যায়,ক্ষনস্থায়ী ভ্রমন কারীকে মুসাফির বলা যায় বা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্বল্প সময়ের জন্য ভ্রমনকারীকে মুসাফির বলা হয়। আমি এখানে মুসাফিরের স্বল্প সময়কে পৃথিবীর সময়ের সাথে তুলনা করেছি। আমাদের ইহজীবনের ৬০/৭০ বছর জীবনকে স্বল্প সময়ই বলা যায়। সময় কিভাবে যেন অতিক্রম হয়ে যায় বুঝায় যায় না। দেখতে দেখতে জীবনের সময় অতিক্রম হয়ে যাচ্ছে।
আমাদের চার পাশে কত মানুষ ছিল। ধীরে ধীরে তারা চলে যাচ্ছে। কত চেনা পরিচিত মানুষ আজ অচেনা হয়ে গেছে। কত মানুষ চোখের সামনে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেছে। কত রাজা বাদশাহদের ময়ূর সিংহাসন পড়ে আছে অথচ তারা দুনিয়োতে নেই। কত কোটি টাকার সম্পদ ফেলে মানুষ দুনিয়া থেকে চলে গেছে। যখন শরীরে শক্তি থাকে,সামর্থ থাকে তখন মানুষ অহংকার ছাড়ে না, মৃত্যুর ভয় কাজ করে না অথচ একবার চিন্তা করে না,প্রাণ পাখি উড়ে গেলেই লাশ। মানুষ আসার সিরিয়াল আছে কিন্তুু যাওয়ার সিরিয়াল নেই। বাবার আগে ছেলে যায় দাদার আগে নাতি চলে যায়। দুনিয়টা হলো একটি ক্ষনস্থায়ী জায়গা। এখানে মানুষ আসে কিছুদিন সময় কাটিয়ে আবার চলে যায়। পরিক্ষার হলের মত সময় চলে যায়। নির্ধারিত সময়ের পরে আর কেউ দুনিয়াতে থাকতে পারে না। যত বড় ক্ষমতাশালী হোক না কেন,মৃত্যুকে কেউ পরাজিত করতে পারে না। যার স্বাক্ষী আমাদের চারপাশে,পৃথিবীর আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সুতরাং সময় থাকতে আমাদের দুনিয়াতে আসার উদ্দ্যেশ্যে সম্পর্ক অবগত থাকতে হবে। যায়হোক এবার কবিতাটি আবৃতি করা যাক...।
মুসাফির
সবাই আমরা পথিক মোরা
এই দুনিয়ার মাসাফির
ভাগ্যে মোদের যাহা আছে
ঘটবে খুব শীঘ্রই।
বাবার কাঁধে ছেলের লাশ
চোখের পানি জড়ে
মায়ের আগে মেয়ে যায়
এমন ঘটনাও ঘটে।
দাদার সাথে নাতি কাধেঁ
কবর পাশে বসে
ভাইয়ের ছোট বোন আছে
বাবা চলে গেছে।
আজ আছে কাল নেই
সকাল বেলা শুনি
এক সাথে জন্ম মোদের
তার কবর খুড়ি।
পথিক হয়ে জন্ম নিয়েছি
স্থায়ী ঠিকানা নাই
যেথায় যায় সেথায় শুনি
জায়গা নিয়ে লড়াই।
ঘর বাড়ি সব পড়ে রবে
মালিক চলে যাবে
খাট পালং ছেড়ে তুমি
মাটির ঘরে শুবে।
কি নিয়ে যাবে তুমি
একবার ভেবে দেখো
রাজা বাদশাহও গেছে চলে
ময়ূর সিংহাসন ফেলে।
সময় থাকতে ফিরে এসো
বেলা চলে যাবে
শেষ বিদায় চলে এলে
রক্ষা নাহি পাবে।
বন্ধুরা এই হলো আমার আজকের স্বরচিত কবিতা। আশা করি কবিতাটি সবার কাছে ভালো লাগবে। দেখতে দেখতে জীবনের ২৮ বছর সময় চলে গেছে। যদি ভাগ্য ভালো থাকে তাহলে হয়তো আর ২০/২৫ বছর হায়াত পাবো। আর যদি এর আগেই মৃত্যুর দূত চলে আসে তাহলে পরেপারে চলে যেতে হবে। আমার কাছে দুনিয়াটা মুসাফিরের সময় থেকেও ছোট মনে হয়। যায়হোক আশা করি কবিতার মর্মার্থ সবাই বুঝতে পারবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
আপনি বাস্তবতা নিয়ে চমৎকার একটি কবিতা আবৃত্তি করেছেন।সত্যি ভাইয়া আমাদের শরীরে যতক্ষণ শক্তি থাকে ততক্ষণ আমরা কাউকে পরোয়া করি না। আপনি মুসাফির নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন। সত্যি কবিতার প্রতিটি লাইনি অনেক সুন্দর ছিল । ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি কবিতা আবৃত্তি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী আপু আমরা সবাই দুইদিনের মুসাফির। তবে সেটা কেউ মানতে চায় না। একদিন ঠিকই সময় সেটা বুঝিয়ে দিবে। ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই জীবনে আমরা সবাই মুসাফির। তারপরও এই অল্প জীবনে আমাদের বাহাদুরির কোন শেষ নেই। আমরা সম্পদের পাহাড় গগড়তে অন্যের ক্ষতি করতেও পিছপা হইনা। কিন্তু মরে গেলে এগুলো যার যার জায়গায় পড়ে থাকবে। খালি হাতে আমাদেরকে চলে যেতে হবে। যাই হোক ইহকাল এবং পরকাল নিয়ে খুব সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন।
জী আপু ক্ষনিকের মুসাফির আমরা। তবে সেটা বুঝলেও মানতে চাই না। ধন্যবাদ।
মানুষ আসবে যাবে, এটাই প্রকৃতির নিয়ম।আর মানুষের মরণ কখন চলে আসবে, তা কেউ কখনো বলতে পারবে না।আসার সিরিয়াল আছে কিন্তু যাওয়ার কোন সিরিয়াল নেই। আমাদের চোখের সামনে কত মানুষ হারিয়ে যাচ্ছে, কেউ আর ফিরে আসছে না। আপনি আজকে খুবই সুন্দর একটি কবিতা লেখে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার লেখা কবিতা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
জী ভাইয়া আসার সিরিয়াল আছে,যাওয়ার সিরিয়াল নাই। তারপরও আমরা বুঝতে পারি না। ধন্যবাদ।
সত্যি কথা বলছেন আপনি আমরা আসলে দুনিয়াতে দুই দিনের মেহমান। এখানে আমরা মুসাফির। কখন যে কার ডাক পড়বে তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই। আপনার কবিতাটি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। এই কবিতা পড়ে পরকালের অনুভূতি বেশ কাজ করলো। এত সুন্দর একটি কবিতা উপহার দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মাঝে মাঝে ইহজীবন ও পরজীবন নিয়ে লিখতে মন চাই। সে জায়গা থেকে কবিতাটি লিখছি। ধন্যবাদ আপু।
খুবই সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। আপনার কবিতাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো মুসাফির এই কবিতাটি অনেক ভালো লেগেছে আমার। কবিতার ভাষাগুলো ছিল অসাধারণ।
ধন্যবাদ ভাইয়া,আপনাদের উৎসাহ পেলে আরো লেখার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ।
মুসাফির সম্পর্কে আপনি খুব সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন৷ আপনার কাছ থেকে এরকম সুন্দর একটি কবিতা পড়ে খুব ভাল লাগলো৷ এই কবিতা যে টাইটেল ছিল সে টাইটেল দেখে এই কবিতা সম্পর্কে হালকা একটু ধারণা পেয়ে গেলাম৷ যখন এই কবিতাটি পুরোপুরি পড়ে নিলাম তখন অনেকটাই ভালো লাগলো৷
জী ভাইয়া টাইটেলের মধ্যেই কবিতার মগজটা ফুটিয়ে তুলেছি। ধন্যবাদ।
হুম ভাই৷ এটি দেখেই তো আমার অনেক ভালো লেগে গেল৷
এই পৃথিবী ক্ষণস্থায়ী আমাদের জীবনটাও একটা পরীক্ষা ক্ষেত্র। কিছুদিনের জন্য এই পৃথিবীতে মানুষ এসেছি যেখানে রেখে যাবে তাদের স্মৃতি আবার বিদায় নিতে হবে। এই চিন্তা ভাবনা গুলো মাথায় যখন ঘুরপাক খায় মনে হয় পৃথিবীর সকল সুখ সকল কিছু ফেলে সঠিক জীবনের জন্য নিজেকে মগ্ন রাখি। তবুও জীবনের এই যাত্রায় আমরা অনেক স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে ছুটে চলি। আপনার কবিতাটি পড়ে সেই অনুভূতিটাই উপলব্ধি করতে পারলাম। যেখানে বাবার চেয়ে ছেলে আগে মৃত্যুবরণ করছে। এরকম ঘটনা নিজের চোখে অনেক দেখলাম সত্যিই খারাপ লাগে ।
জী ভাইয়া ঠিক বলেছেন, পৃথিবীটা আমাদের জন্য পরিক্ষার হল, তথা ক্ষণস্থায়ী জীবন। ধন্যবাদ।