বর্তমানের ভাইরাল বাক্য “মুরুব্বি মুরুব্বি উহু হুহু” নিয়ে কিছু কথা।।
বাংলা ভাষাভাষীর মিলন মেলা-
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে একটি মজার পোষ্ট শেয়ার করবো। টাইটেল পড়েই অনেকের হাঁসি পাচ্ছে, তাই না... আশা করি ব্লগটি পড়লে আরো বেশি হাঁসি পাবে। ভাইরাল বাক্য “মুরুব্বি মুরুব্বি উহু হুহু”।😝
বন্ধুরা বর্তমানে সামাজিক মাধ্যম টিভি, ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার সহ অনলাইনে, অফলাইনে সব জাগায় একটি বাক্য ভাইরাল হয়েছে। আর সেই বাক্যটি হলো “মুরুব্বি মুরুব্বি উহু হুহু”। বাসা অফিস রাস্তা দোকান-বাজার গাড়ি রেস্টুরেন্ট যেখানে যাবেন, সেখানেই এই শব্দ গুলো শুনতে পাবেন। বাংলাদেশের মানুষ হলো হুজুগে মানুষ। যখন যেটা পায়, সেটা নিয়েই মাতামাতি শুরু করে। এই শব্দ গুলো এখন রিকশা চালক, বাস চালক, অটো চালক, স্টুডেন্ট সবখানে সবাই ব্যবহার করছে।
“মুরুব্বি মুরুব্বি উহু হুহু” এই শব্দ গুলো প্রথম শোনা যায় একটি মাহফিলের মধ্যে। কুমিল্লা জেলার একজন বিখ্যাত ইসলামি বক্তা হযরত মাওলানা মোস্তাক ফয়েজী। তিনি খুবই মজার একজন মানুষ। তিনি মাহফিলে শ্রোতাদের প্রচুর আনন্দ দেন। তিনি দেশে যে সময় যে পরিস্থিতি থাকে সেই বিষয় নিয়ে শ্রোতাদের সাথে আলোচনা করেন। হাক্কানী একজন আলেম, খুবই ভালো মানুষ। আমি তিনির অনেক আলোচনা শুনেছি। তিনি মজার ছলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে থাকেন। মানুষ আনন্দ পাওয়ার পাশাপাশি শিক্ষাও গ্রহন করে থাকে।
তিনি একদিন এক মাহফিলে ওয়াজ করতেছিলেন। ওয়াজ করার মাঝখানে একজন মুরুব্বী বা বয়স্ক মানুষ মাহফিল থেকে উঠে যাচ্ছিলো। তখন সেই বয়স্ক মানুষটিকে লক্ষ করে বলেছিলেন “মুরুব্বি মুরুব্বি উহু হুহ” তার মানে তিনি বুঝাতে চেয়েছেন, এখন মাহফিল থেকে উঠে যাবেন না। মাওলানা সাহেব বলেন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করলে, মানুষ যদি অর্ধেক শুনে চলে যায়, তাহলে সম্পূর্ণ বিষয়টা বুঝতে পারে না। হয়তো এর মাধ্যমে মানুষের মনে ভুল ম্যাসেজ যেতে পারে, এই জন্য তিনি ঐ বয়স্ক মানুষকে এই শব্দ গুলো ব্যবহার করে উঠতে নিষেধ করেছিলেন। বিষয়টা খুবই সিম্পল।
কিন্তুু বাংলাদেশের মানুষ তো পন্ডিত। তারা সবসময় একটু বেশি বুঝার চেষ্টা করে। যার ফলে এই শব্দ গুলো এখন এমন পর্যায়ে ব্যবহার করা শুরু করেছে যা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিছুদিন আগে বাসে চড়ে এক জাগায় যাচ্ছি, জ্যামের কারনে বাস থেমে থেমে যাচ্ছে। হঠাৎ করে দেখলাম একজন অটো ড্রাইভায় একটু ফাঁকা পেয়ে জ্যামের মধ্যেই তার অটো নিয়ে বাসের সামনে যাওয়া চেষ্টা করছে। এমন সময় বাসের ড্রাইভার অটো ড্রাইভার কে সংবোধন করে বললেন “মুরুব্বি মুরুব্বি উহু হুহ” আর সাথে সাথে অটো ড্রাইভার সহ বাসের সব যাত্রী হেঁসে দিললো,হা হা হা।
এখন যারা ঘুষ খায়, যারা চাঁদাবাজি করে, যারা ট্রাফিক সিগন্যাল মানে না, যারা অন্যায় কাজ করে সবাইকে এই শব্দ গুলো বলে থাকে। মানে এই শব্দ গুলো এখন বিনোদনের শব্দে পরিনত হয়েছে। সবাই এই শব্দ গুলো ব্যবহার করে অনেক আনন্দ পায়। গত পরশুদিন দেখলাম এই শব্দ গুলো দিয়ে গান বানিয়ে ফেলেছে। এটা একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে। গান বানানো ঠিক হয়নি। যেহেতু মাওলানা মোস্তাক ফয়েজী একজন আলেম মানুষ। তার কণ্ঠসুর ব্যবহার করে গান বানানো ঠিক হয়নি। হয়েতো এই শব্দ গুলো গায়করা নিজের কণ্ঠসুরে ব্যবহার করুক। মাওলানা সাহেবের কণ্ঠের সুর দিয়ে গান বানানোটা আমি সাপোর্ট করতে পারলাম না। এটা অবশ্যই নিন্দনীয়।
যায়হোক হুজুগে বাঙ্গালী নতুন আরেকটি বিষয়ে না পাওয়া পর্যন্ত এই শব্দ গুলো ব্যবহার করেই যাবে। তবে আমি জানি এই গুলো বেশিদিন স্থায়ী হবে না। বিনোদনের খোরাক তো নতুন কোন ইস্যু পেলেই ভুলে যাবে। তবে এই শব্দ গুলো দিয়ে মানুষ খুবই আনন্দ পেয়েছে। এটা স্বীকার করতে হবে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
আসলে আমার মতে এই শব্দ এখন ব্যবহার না করাই উত্তম। কেননা, আমরা ইতোমধ্যে এই শব্দ ব্যবহার করে অনেক বিনোদন নিয়েছি। এখন আমাদের উচিত এই শব্দ টা ভুলে যাওয়া।আর এই শব্দ ব্যবহার করে গান তৈরি করা মোটেও ঠিক হয়নি আমার মতে। আসলে আমরা বাঙ্গালী জাতি, যখন যে রকম হুজোগ আসে তখন আমরা সেই বিষয়ের মধ্যে আসক্ত হয়ে পড়ি।
জী ভাই বাঙ্গালী একটা জিনিষ পেলে সেটা তিক্ত করা ছাড়া ছাড়ে না। ধন্যবাদ।
ফেসবুক অথবা ইউটিউবে ঢুকলে বেশ কিছু ফানি ভিডিওতে এই শব্দটা লক্ষ্য করছি। বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এভাবে অনেক বাক্য এর আগেও জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল এবং বিভিন্ন বাক্যের তলে চাপা পড়েছে। তবে শব্দটা আজকে টিকটক ফানি ভিডিও খারাপ অঙ্গভঙ্গিতে বেশি ব্যবহার হচ্ছে। এগুলো মোটেও আমাদের সুশীল সমাজের জন্য কামনায়।
জি ভাই সাধারণ বিনোদনের জন্য ব্যবহার করতে পারে, কিন্তু শব্দটা অতিমাত্রায় ব্যবহার করছে বিভিন্ন জায়গায়। যা আমাদের কারো কাম্য নয়।
আসলে ভাইয়া এই শব্দটি যারা এভাবে ভাইরাল করেছে আমি তাদের প্রতি নিন্দা প্রতিবাদ জানাই। কেননা আমাদের একজন বড় বক্তা তিনি মাহফিলে একজন বয়স্ক চাচা উঠে যাচ্ছিলেন তাই তাকে তার মত করে মাহফিলে বসতে বলেছিলেন। কিন্তু এই ছোটখাটো একটা বিষয় নিয়ে মানুষ অনেক মাতামাতি করেছে। সত্যিই এটা আজকে দেখছি অনেক গানে বাজছে। আরও একটা বিষয় সকলেই একই ডায়লগ দিচ্ছে। সত্যি বাঙালি না বুঝে শুনে এক কান্ড করে বসে থাকে। তবে ভাইয়া পোস্ট দেখে কিন্তু প্রথমে আমি একটু হাসি পেয়েছিলাম। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
জি ভাই যখন শব্দটা আমি গানের মধ্যে শুনলাম, তখন খুবই খারাপ লেগেছে। সেজন্যে আজকের ব্লগ টি লিখলাম। ধন্যবাদ।
হাহাহাহা ভাইরাল উক্তিটি সত্যি মজার তবে এনার নামে অভিযোগ এসেছে বৈষম্যের তা জানেন কি।অভিযোগ হলো মুরুব্বি কে উহু হুহু বলার কিছু মাস বা দিন পর একটি মেয়ে উঠে যাচ্ছি আর এনি মেয়েটিকে সুন্দর করে বলেছে সোনামণি বসো বসো আর এতেই আমাদের হাস্যরসিক বাঙ্গালী এনার সেই উক্তি ভাইরাল করে দিয়ে বলেছেন মওলানা ও বৈষম্য করলো তাহলে হাহা। বেশ ভালো লাগছে বৈষম্য টি কিন্তুু🤣।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।