হঠাৎ করে ইকুরিয়ামে মাছ পালন করার শখ জাগলো।।
আমার ভালোবাসার কমিউনিটি-
সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের শখের পরিবর্তনও হয়। মানুষের একেক বয়সে একক রকম শখ জাগে। শিশু কালে যে শক থাকে, কৈশরে সেটা থাকে না। আবার কৈশরে যে শখ জাগে, সেটা যৌবন কালে থাকে না। এভাবেই সময়ের সাথে, বয়সের সাথে মানুষের অনেক শক, অভ্যাসের পরিবর্তন হয়। এই সময় এসে হঠাৎ করে আমার একুরিয়ামে মাছ পালন করার শক জাগলো। যদিও অনেক আগে থেকেই ইচ্ছা ছিল একুরিয়ামে মাছ পালন করার, তবে সুযোগ ছিল না। এখন বাড়িতে জায়গা আছে,সুযোগ আছে তবে আমার বাড়িতে যাওয়া হয় না।
চাকরির সুবাদে ঢাকা, নারায়গণঞ্জ আসার পরে ব্যাচলর লাইফ শুরু করি। মেসর মধ্যে একুরিয়াম রাখার তেমন ব্যবস্থা ছিল না। আর মেস লাইফে কখন কোথায় যাওয়া হয় সেটার কোন ঠিক নেই। ঠিক ভাবে মাছের যত্ন না নিলে মাছও মরে যায়। তাই ইচ্ছা থাকলেও তখন একুরিয়াম কেনার মত অবস্থা ছিল না। অবশেষে ফেমিলি এনে আলাদা বাসা নেওয়ার পরেও বিভিন্ন ঝামেলার কারনে প্রায় দেড় বছর কেটে গেলো। আবার সেই আগের শখ জেগে উঠলে একুরিয়াম কেনার চিন্তা ভাবনা করতে লাগলাম। ঈদের আগে হঠাৎ আমার এক কলিগ বললো সে একটি একুরিয়াম বিক্রয় করবে। তার বাসায় তিনটে একুরিয়াম রয়েছে। সে একটি একুরিয়াম বিক্রয় করে দিতে চাই। তখন আমি তাকে বললাম আমি তো একটি একুরিয়াম কেনার চিন্তা ভাবনা করতেছি। সে বললো তাহলে আমার একুরিয়ামটা নিয়ে নাও। সে বলার সাথে সাথে আমি রাজি হয়ে গেলাম।
অবশেষে ঈদের কয়েক আগে বাড়িতে যাওয়ার পূর্বে, সেই কলিগ নিজে আমাদের বাসায় এসে এক্সিজেনের মেশিন, ছোট ছোট বেশ কিছু নুড়ি পাথর সহ একটি এক ফিটের একুরিয়াম দিয়ে যায়। উপরের ছবিতে দেখলে খেয়াল করলে বিষয়টা বুঝতে পারবেন। একুরিয়ামটি দিয়ে যাওয়ার পরে আমি সব কিছু ভালো করে ওয়াশ করলাম। তারপর মেশিন সহ একুরিয়ামটি এক জাগায় সেটিং করলাম। তারপর জগ দিয়ে তিন জগ পানি দিয়ে মেশিনের মধ্যে বিদ্যুতের সংযোগ দিলাম। সাথে সাথে অক্সিজেন উৎপাদন শুরু হলো। তবে মাছ ছাড়া একুরিয়াম তো আর সুন্দর লাগে না। এখন মাছ কিনে আনতে হবে। যেহেতো ঈদের সময় অফিস থেকে নয়দিন ছুটিতে বাড়িতে চলে গেছিলাম, তাই আর ঈদের আগে মাছ কিনতে যায়নি। কারন নয়দিন মাছকে খাবার না দিলে ঈদের পরে এসে মাছকে কবর দিতে হতো,হা হা হা।
ঈদের পরে নারায়ণগঞ্জ এসেও মাছ কিনতে যাবো,যাচ্ছি করতে করতে দশ পনের দিন অতিক্রম হয়ে গেলো। তবে গতকাল সন্ধার পরে সেই কলিগকে সাথে নিয়ে মাছ কিনতে চলে গেছিলাম। আমাদের বাসার পাশেই চাষাড়া মোড়ে একুরিয়ামের মাছ সহ এজাতীয় বিভিন্ন জিনিষের অনেক গুলো দোকান রয়েছে। আগেই চিন্তা ভাবনা ছিল গোল্ডফিশ কিনবো। প্রথমে একটি দোকানে গিয়ে এক জোড়া গোল্ডফিশের দাম জিঙ্গেস করলাম। তারা একজোড়া গোল্ডফিশের দাম ১০০ টাকা চাইলো। তারপর সেখান থেকে বের হয়ে আরেকটি দোকানে গেলাম, সেখানে ৮০ টাকা চাইলো। তারপর আরেকটি দোকানে গেলাম সেখানে ৭০ টাকা চাইলো। যত দোকান চেইন্জ করতেছি ততই দাম কমছে। তবে কলিগ আর দোকান চেইন্জ করতে চাইলো না। সেখান থেকেই ৭০ টাকা দিয়ে এক জোড়া মাছ কিনে নিলাম। সাথে এক প্যাকেট খাবার নিলো ৪০ টাকা। আর একফিট ব্যাকগ্রাউন্ড পেপার নিলো পঞ্চাশ টাকা। র্সবমোট একশত ষাট টাকার জিনিষ পত্র কিনলাম।
বাসায় এসে প্রথমে ব্যাকগ্রাউন্ড পেপারটি লাগিয়ে নিলাম। তারপর ধীরে ধীরে প্যাকেটের পানি সহ মাছ গুলো একুরিয়ামে ছেড়ে দিলাম। গোল্ডফিশ দুইটি এদিক থেকে সেদিক ঘুরতে লাগলো। দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিলো। দোকানদারকে খাবারের কথা জিঙ্গেস করেছিলাম। তিনি বললেন দুটি মাছের জন্য সকালে চারটি ও রাতে চারটি খাবার দিতে। খাবারের পরিমান শুনে মনে মনে হাসলাম আর বললাম গোল্ডফিশও আমার মত ডায়েট করে,হা হা হা। আমি বাসায় এসে খাবারের প্যাকেট খুলে কিছু খাবার দিলাম। প্রথমে আমি দশটা খাবার দিয়ে দিলাম। পরে এগারোটার সময় আবার দশবারোটা খাবার দিলাম। তারপর কলিগকে ফোন করে বললাম দুই বারে চল্লিশটা খাবার দিয়েছি। কলিগ তখন ধমকের সুরে বললো এত খাবার দিলে মাছের পেটে গ্যাস হয়ে ফুটে মারা যাবে। চল্লিশ টাকা দিয়ে যে খাবার দিলো দশটা করে খাবার খাওয়ালেও পাঁচ মাস চলে যাবে। খাবার দেওয়ার সাথে সাথে মাছ গুলো গাপুস গোপুস করে খাবার খেতে লাগলো,হে হে হে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | হঠাৎ করে ইকুরিয়ামে মাছ পালন করার শখ জাগলো।। |
স্থান | নারায়নগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ১৩/০৭/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আমার বউয়ের ও শখ একুরিয়ামে মাছ পালার। কিন্তু আমার আবার বন্দী করা পছন্দ না।
আপনার একুরিয়াম এবং মাছগুলো খুবই সুন্দর লাগছে।
এই মাছ গুলোর বৈশিষ্ট্যই হলো বন্দি থেকে মানুষকে আনন্দ দেওয়া। তাছাড়া আমি তো খাবার খাওয়াচ্ছি। ধন্যবাদ।
অবশেষে আপনার ইচ্ছে পূর্ণ হলো জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। গোল্ড ফিশ গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তবে কখনো কেনা হয়নি। এগুলো খুব কম খাবার খায় বুঝতে পারছি ভাইয়া। চল্লিশ টাকার খাবারেই অনেকদিন চলে যাবে মনে হচ্ছে। ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
জী ভাইয়া যে খাবার কিনেছি,অনেক দিন চলে যাবে। ধন্যবাদ।
আসলে ভাই ইকুরিয়ামের মধ্যে যখন বৈচিত্র্যময় রঙ্গিন মাছ চলাফেরা করে তখন দেখতে খুব ভালো লাগে। ইকুরিয়ামে মাছ চাষ করা আমার খুব শখের। ইকুরিয়ামে মাছ রাখা খুবই শখের কাজ। ইকুরিয়ামে মাছ গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
জী ভাইয়া আসলে একুরিয়ামে মাছ পালন করা শখের কাজ। ধন্যবাদ।
খুব হাসি পেলো এটা পড়ে যে যতোই দোকান চেন্জ করে দাম শুনেছেন ততই দাম কমছে মাছের। আপনার মতো আমার মেয়েও একুরিয়ামে মাছ পালন করার খুব ইচ্ছে ভাবছি এবার জন্মদিনে একুরিয়াম কিনে দেবো খুশি হবে।আপনার কলিগের কাছে কেনা একুরিয়াম টি বেশ সুন্দর। গোল্ড ফিস আপনার মতো ডায়েট করছে লেখা দেখে হাসলাম আবারও। কলিগকে মজা করে বলেছেন ৪০টি দিয়েছেন খাবার আর তিনি ভেবেছে সত্যি বলছেন। ধন্যবাদ সুন্দর পোষ্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
মাত্র চারটা খাবার দিতে বলেছে,তারমানে অবশ্যই মাছ ডায়েট করে, হা হা হা।