শিক্ষক দিবস ও ভিন্ন ভাবে সম্মানিত শিক্ষকদের স্মরন করার চেষ্টা। [১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য]
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি আবার আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। সবার সুন্দর ভবিষ্যৎ ও শারিরীক সুস্থতা কামনা করে আজকে আমি নতুন পোষ্টটি সেয়ার করলাম..।
গতকালকে @swagata21 দিদি কমিউনিটির এনাউন্সমেন্টে “ শিক্ষক দিবস” নিয়ে কিছু কথা সেয়ার করেছেন। দিদিরি কথা গুলো আমার কাছে খুব ভাল লেগেছে। তাই ভাবলাম আজকে শিক্ষক দিবস হিসাবে কিছু করা যাক। সেই চিন্তার সূত্র ধরেই আজকে “ শিক্ষক দিবস”হিসাবে কিছু মগ ডিজাইন দিয়ে তাদেরকে স্বরন করা চেষ্টা করলাম।
সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস পালন করা হয় ৫ অক্টোবর, কিন্তু ভারতে শিক্ষক দিবস পালন করা হয় ৫ সেপ্টেম্বর । স্বাধীন ভারতের প্রথম সহ-রাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন ৫ সেপ্টেম্বর, ১৮৮৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন।ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন ১৯৬২ সালে, রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর , তিনির ছাত্ররা তিনির জন্মদিন উদযাপনের অনুমতি চেয়ে অনুরোধ করলে। তিনি তাঁদেরকে এইদিনকে শিক্ষক দিবস হিসাবে পালন করতে বলেছিলেন। তখন থেকে ভারতবাসি ৫ সেপ্টেম্বরকে শিক্ষক দিবস হিসাবে পালন করে আসতেছে।
প্রখ্যাত পণ্ডিত, দার্শনিক, এবং ভারতরত্ন প্রাপক ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণান চেন্নাইয়ের প্রেসিডেন্সি কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছিলেন। তিনি অন্ধ্র প্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ১৯৫২ সালে ভারতের প্রথম সহ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ১০ বছর পর,১৯৬২ সালে ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহন করেছিলেন।
পিতা - মাতা সন্তান জন্ম দিলেও একজন শিশুকে মানুষ হিসাবে গড়ে তুলার জন্য প্রথম দায়িত্ব নেন, যে কোন একজন সম্মানিত শিক্ষক বা শিক্ষিকা। শিক্ষকরাই সন্তানের জন্মকে সার্থক করে তুলেন। তাদের অক্লান্ত শ্রমের মূল্য কোন ছাত্র-ছাত্রীই পরিশোধ করতে পারবে না।
আমি তখন খুব ছোট মাত্র সপ্তম শ্রেণীতে পড়ি। আমাদের ক্লাসে একজন স্যার বলেছিলেন, একজন শিক্ষক তোমার থেকে দু অক্ষর হলেও বেশি জানে। তাই সে তোমাকে পড়াতে আসে, তোমার সামনে বসে। সুতরাং প্রত্যেক শিক্ষককে সম্মান করতে শিখো তাদের সাথে বেয়াদবি করবা না। স্যারের কথাটা আমার এখনো খুব মনে পড়ে। তখনই স্যারের বয়স ছিল প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ বছর। জানিনা স্যার এখনো বেচে আছে কিনা, তবে শিক্ষক দিবেস হিসাবে স্যারকে খুব মনে পরে।
মা-বাবার পরে যিনি আলোকিত বিশ্ব গড়ার স্বপ্ন দেখান তিনি হলেন শিক্ষক। আজকে আমার সম্মানিত শিক্ষক শিক্ষিকাদের খুব মনে পড়ছে। তাদের সুশিক্ষার কারনে আজ দুটো অক্ষর শিখতে পেরেছি। আমার সাথে কত ছাত্র ছা্ত্রী ভর্তি হয়েছিল। কত ছাত্র-ছাত্রী ছিটকে পড়ে গেছে , কত ছাত্র-ছাত্রী পড়া শোনা ছেড়ে দিয়েছে তার কোন সঠিক হিসাব নেই। সম্মানিত শিক্ষকদের দোয়ায় আমি আজও টিকে আছি।
সর্বশেষে একটি কথায় বলবো, শিক্ষকরা হলেন মাথার তাজ। তাদেরকে সদাসর্বদায় সম্মান করতে হবে। সর্বদায় তাদের পাশে থাকতে হবে। শিক্ষা নিয়ে কারো সাথে গর্ব বা অংহকার করা যাবে না। শিক্ষকদের সাথে বেয়াদবি করা যাবে না। আমার নিজের চোখে দেখা কত ছাত্র শিক্ষকদের সাথে বেয়াদবি করে ধংস হয়ে গেছে। এই দিনে বিশ্বের সকল শিক্ষকদের সম্মানের সাথে স্মরন করলাম।
বিঃ দ্রঃ সব গুলো মগ ডিজাইন আমি নিজে তৈরী করেছি।
বন্ধুরা কেমন হলো আজকের পোষ্টি, কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। আবার দেখা হবে, নতুন কিছু বিষয় নিয়ে। ততদিন পর্যন্ত ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন। নিজের চারপাশ নিজে পরিষ্কার রাখবেন। ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।
আসলেই ঠিক বলেছেন স্বাগত আপু শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বিশেষ মূল্যবান কিছু কথা লিখেছেন। এই কথাগুলো বুঝতে পারা কিংবা যথাযথ প্রয়োগ করাটা আমাদের জন্য সত্যি ই গর্ভের বিষয়। একজন শিক্ষক আমাদের জীবনে অনেক মূল্যবান ভূমিকা পালন করে। আপনি যখন সপ্তম শ্রেণীতে পড়তেন আপনার শিক্ষক সত্যিই মূল্যবান একটি কথা বলেছেন, শিক্ষার্থীরা আমাদের থেকে দুইটা অক্ষর হলেও বেশি জানে। আপনার কথাগুলো পড়ে সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো।
জী আপু স্যারকে খুব মিস করি। ধন্যবাদ।
সবার আমি ছাএ। আমার এক স্যার বলেছিলেন তুমি যার থেকে একটা অক্ষর শিখতে পারবে তিনিই তোমার শিক্ষক। সত্যি শিক্ষকের মর্যদার কথা মুখে বলা বোকামি। সৃষ্টিকর্তা শিক্ষক কে সর্বোচ্চ আসন দিয়েছেন। অনেক ভালো আলোচনা করেছেন ভাই।।
স্যার ঠিকই বলছে ভাইয়া,যার কাছে এক অক্ষর শিক্ষা হয় সেই শিক্ষক।