টেষ্ট ক্রিকেটে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারেনি টাইগার বাহিনী।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি-
গত মাসে পাকিস্তানের সাথে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়ে সিরিজ জয় করে বিশ্ব ক্রিকেটের আলোচনায় ছিল টিম বাংলাদেশ। পাকিস্তানে সিরিজ শেষ করে বাংলাদেশে এসেই ভারতের সিরিজ খেলার প্রস্তুুতি গ্রহন করতে থাকে টাইগার বাহিনী। সবার আশা ছিল পাকিস্তানের মত ভারতেও টিম বাংলাদেশ চমক দেখাবে। তবে এটা জানা থাকা দরকার যে, যে কোন খেলায় সব দেশের সাথে সমান খেলা হয় না। পাকিস্তানের টিম আর ভারতের টিম এক নয়। দুই দলের খেলার পার্থক্য আকাশ পাতাল ব্যাবধান। তাই খেলাটাও এমন ভাবেই খেলতে হবে। জয়ের আশা নিয়েই ভারতে গিয়েছিল টাইগার বাহিনী।
১৯ সেপ্টেম্বর সকাল দশটার সময় চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হয়। বাংলাদেশ টিম টস জিতলেও ভারতকে ব্যাট করার আমন্ত্রন জানায়। ভারতের পক্ষে যশস্বী জয়সওয়াল ও রোহিত শর্মা ব্যাটিং করতে আসে। ঐদিন প্রথম ইনিংসে রোহিত শর্মা, শুভমান গিল, কোহেলি, রাহুল কেউ তেমন ভাল ব্যাটিং করতে পারে নাই। শুভমান গিল শুন্য রানে আউট হয়ে যায়। সবাই হাসান মাহমুদের শিকার হয়। তবে যশস্বী জয়সওয়াল এক পাশ আগলে রেখে দাড়িয়ে ছিল। সেই ধীরে ধীরে রানের চাকা ঘুরাতে থাকে। তাকে সংঙ্গ দেয় ঋষভ পন্ত। যশস্বী জয়সওয়াল ১১৮ বল খেলে ৫৬ রান করে আর ঋষভ পন্ত ৫২ বলে ৩৯ রান।
১৪৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ভারত হতাশ হয়ে যাচ্ছিলো। তখন দলের হাল ধরেন অশ্বিন ও জাদেজা। তারা দুইজন শক্ত হাতে ব্যাট ধরে এগিয়ে যেতে লাগলো। তারা দুইজন প্রায় দুই শত রানের পার্টনারশীপ করে। জাদেজা ১২৪ বলে ৮৬ রান ও অশ্বিন ১৩৩ বলে ১১৩ রান তুলে। সে যেন টেস্টের মধ্যে ওয়ানডে খেলা শুরু করেছিল। সব মিলিয়ে ভারত ১০ উইকেট হারিয়ে ৩৭৬ রান করে।
প্রথম দিন বাংলাদেশ টিম নেমে তেমন ভালো করতে পারে নাই। ওপেনার দুইজন ২ রান করে মোট চার রান তুলে আউট হয়ে যায়। আর তখনই ধাক্কা খায় টাইগার বাহিনী। শান্ত, সাকিব, লিটন, মেহেদি এই চারজন ছাড়া কেউ দুই সংখ্যার ঘর অতিক্রম করতে পারে নাই। এর মধ্যে একজন শূন্য রানে মাঠ ছাড়ে। চার জন্য দুই সংখ্যার ঘর অতিক্রম করলেও কেউ ফিফটির দেখা পায়নি। চার জন মিলে ১০১ রান তুলে। সব মিলিয়ে ১৪৯ রান করে সব গুলো উইকেট হারায় শান্ত বাহিনী। মাথায় লিড থাকে ২২৭ রানের।
২২৭ রানে লিড থেকেও দ্বিতীয় ইনিংসের জন্য মাঠে নামে রোহিত ও যশস্বী জয়সওয়াল। দ্বিতীয় ইনিংসেও রোহিত ও কোহেলি সফল হতে পারে নাই। কোহেলি ১৭ রান করলেও মাত্র ৫ রান করে আউট হয়ে যায় রোহিত। প্রথম ইনিংসে সফল যশস্বী জয়সওয়াল দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যর্থ হয়। তবে প্রথম ইনিংশে শুন্য রান করা শুভমান গিল দ্বিতীয় ইনিংসে জ্বলে উঠে। তার সাথে সাপোর্ট দেয় ঋষভ পন্ত। দুই জন মিলে ভালোই রান তুলেছে। শুভমান গিল ১৭৬ বলে ১১৯ ও ঋষভ পন্ত ১২৮ বলে ১০৯ রান তুলে। মানে দুই জনই ওয়ানডে স্টাইলে খেলেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮৭ ও প্রথম ইনিংসের লিড ছিল ২২৭ রান। সর্বমোট ৫১৪ রানে লিড দিয়ে মাঠ ছাড়ে টিম ইন্ডিয়া।
প্রথম ইনংসে ব্যর্থ হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে আশার আলো জাগিয়ে ছিল, জাকের, সাদমান ও শান্ত। তবে তারা বেশি দুর যেতে পারে নাই। জাকির হোসেন ৩৩ , সাদমান ৩৫ ও শান্ত ৮২ রান করে আউট হয়ে যায়। তারপরে আর কেউ তেমন ব্যাট হাতে মাঠে দাড়াতে পারে নাই। শুধু সাকিব আল হাসান ২৫ রান তুলেছিল। ২৩৪ রানে সব গুলো উইকেট হারিয়ে ফেলে শান্ত বাহিনী। ফলাফল ২৮০ রানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত।
এখানে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ভালোই বল করেছিল। তবে শেষের দিকে সেটা ধরে রাখতে পারে নাই। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের বাজে বলিং হয়েছে। প্রথম এবং দ্বিতীয় দুই ইনিংসেই ভালো বল করেছে ভারত। রবিচন্দ্রন অশ্বিন বোলার হয়ে এক ইনিংসে ৬ উইকেট ও সেঞ্চুরি করায় তাকে ম্যান অফদা ম্যাচ নির্বাচিত করা হয়।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP