বাৎসরিক বনভোজন উপলক্ষে কক্সবাজার ভ্রমন-চতুর্থ পর্ব।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে বাৎসরিক বনভোজন উপলক্ষে কক্সবাজার যাওয়ার অনুভূতি চতুর্থ পর্ব শেয়ার করবো।
বন্ধুরা আমি আপনাদের বলেছিলাম যে, এই বছর আমাদের পিকনিক টা আমার জন্য মোটেও সুখের হয়নি। তার কারন ছিল আমার অসুস্থতা। এখন যখন ব্লগ লিখতেছিলাম, মোটামুটি কিছুটা সুস্থ। কিন্তুু চোখের মধ্যে আবার আরেক রোগ দেখা দিয়েছে। আমাদের গ্রামের ভাষায় তেলঙ্গা বলে। সে বিষয় নিয়ে বিস্তারিত শেয়ার করবো। আজনে অন্য দিকে না যায়।
আমি ৯টার দিকে প্রথমে বিচে নেমে তো সাথে সাথে উঠে গেছিলাম। সমুদ্রের পাড়েই এক জাগায় ৪০ টাকা দিয়ে গোসল করলাম। যারা কক্সবাজার ঘুরতে গিয়ে হোটেল ভাড়া নেয় না, তারা এসব গোসলখানাতে গোসল করে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন বিশেষ দিবসে মানুষ জন বেশি হয়ে যায়। তখন ভাম্যমান গোসলখানা গুলো বেশি ব্যবহার হয়। এই বিষয় গুলো জানা থাকা ভালো। কোথায় গেলে ঐ জায়গার বিষয়ে জানা থাকলে বিপদ এড়াতে পারবেন।
তো আমি গোসল করে আবার বিচে গিয়েছিলাম তবে সেখানে বেশিক্ষণ থাকি নাই। অল্প একটু পানিতে নেমে কিছু ফটোগ্রাফি করেছি। তবে একটি বয়া ভাড়া নিয়েছিলাম। সেটা নিয়ে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়েছি। সাড়ে এগারোটার দিকে কিছু মানব জলপরীকে দেখলাম একেকজন একটি করে সার্ফার নিয়ে জলে নামছে। তারা সাঁতারে অভিজ্ঞ থাকার করনে সার্ফার গুলো ব্যবহার করে। এগুলো নিয়ে তারা অনেকটা গভীরে যেতে দেখলাম।
বিচের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে আমি একা একা হোটেলের দিকে রওনা দিলাম। লাবনি পয়েন্ট থেকে উঠলে জল তরঙ্গ রিসোর্টের পাশেই এই ঝাউবন গাছ গুলো দেখা যায়। এখানে অল্প কিছু গাছ রয়েছে। তবে মেরিন ড্রাইবে গেলে প্রচুর ঝাউ গাছ দেখা যায়। আমরা হিমছড়িতে যাওয়ার পথে সে গুলো দেখেছিলাম।
আমি হোটেলে গিয়ে সবার আগেই গোসল করে ফ্রেস হয়ে নিলাম। যারা কক্সবাজার যাবেন তাদের জন্য একটি টিপস রইল, কক্সবাজার গেলে অবশ্যই পর্যাপ্ত কাপড় তথা গোসল করার টি-শার্ট, থ্রি কোয়াটার প্যান্ট, গামছা বা তোঁয়ালে আর অবশ্যই স্যান্ডেল নিয়ে যাবেন। তা না হলে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে সে গুলো কিনতে হবে। একটু সচেতন হয়ে যদি এ গুলো নিয়ে যান তাহলে সেই অর্থ দিয়ে ভার্মিজ মার্কেট থেকে অনেক কিছু কিনতে পারবেন।
তো আমি সবার আগে হোটেলে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। এবার আমাদের যাত্রা মেরিন ড্রাইভ হয়ে হিমছড়ি। কিন্তুু বিচ থেকে গোসল করে এসে আমার এত খিদা লেগেছে বলে বুঝানো যাবে না। সকালের রুটি আর ডিম ভাজি সাগরেই শেষ হয়ে গেছে। সে জন্য লাঞ্চ করার আগে হালকা কিছু খাওয়া দাওয়া করে নিলাম। এবার আমাদের হিমছড়ি পালর, দেখা হবে পরের পর্বে.....
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি সি-৫৩ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ১৭-০১-২০২৫ |
সময় | ১২.০০ AM |
স্থান | কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
@joniprins, [12/30/2024 3:52 PM]
Click Here For Join Heroism Discord Server
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
আপনার সুস্থতা কামনা করছি।ট্যুরে গিয়ে অসুস্থ হয়ে গেলে তো বড়ই মুশকিল ভাই। কক্সবাজার না গেলেও আপনার পোস্টের ফটোগ্রাফি দেখে ভালোই উপভোগ করলাম কিন্তু। আপনি তাহলে জলপরী কেও দেখেছেন কক্সবাজার সমুদ্রপাড়ে হা হা হা। কক্সবাজার যাওয়ার জন্য সুন্দর একটা টিপস দিয়ে দিছেন। সব মিলিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণের আপনার চতুর্থ পর্বটি ভালই লেগেছে আমার কাছে।
Tsak Done
কক্সবাজারের সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন জেনে ভালো লাগলো। বাৎসরিক বনভোজন উপলক্ষে আপনারা সেখানে উপস্থিত হয়েছেন। আমি প্রথম পর্যায়ের পোস্ট দেখেছিলাম বাসে যাওয়ার বিষয়টা। এর পরের গুলো খেয়াল করা হয়নি তবে আজকে আবারো দেখতে পারলাম এই পোস্ট। অনেক ভালো লাগলো। একদিকে উঁচু উঁচু গাছের সৌন্দর্য অনেক, এদিকে সমুদ্র পানির ঢেউ। এছাড়া অনেকেই অনেক আনন্দ করে থাকে এগুলো সত্যিই অনেক ভালো লাগে।
বাৎসরিক বনভোজন উপলক্ষে আপনারা কক্সবাজারে উপস্থিত হয়েছেন এবং সেখানে অনেক আনন্দ উল্লাসে দিন কাটিয়েছেন দেখছি। এমন মধুর মুহূর্ত গুলো সারা জীবনের জন্য স্মৃতি হয়ে থাকে। আরো সুন্দর স্মৃতি হয়ে থাকার সুযোগ রয়েছে এই কমিউনিটির জন্য। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার এই ভ্রমণ পোস্ট দেখে।